somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

--- কেন বেগম জিয়া নয় ?

০৫ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন দেশে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাকে আশ্চর্য বলে মনে হয় না। আর যারা আমাদের বাংলাদেশে ঘটে কোন ঘটনাকে অঘটন বা আশ্চর্যের ঘটনা মনে করেন তারা সম্ভবত বাংলাদেশে বসবাস করপন না। বা করলো ও তাদের লাইফ স্টাইল বাংলাদেশের সাথে যায় না বা করো বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারনার যথেষ্ট অভাব। আর যেই কথা গুলি বললাম এই গুলিই সত্য। তাই বাংলাদেশে ঘটনার পর যে সকল ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়া মানেই সম্ভববত নিজের কিছু মানষিক শক্তির অপচয় করা ছাড়া আর কিছু ই নয়। সম্প্রতি ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম নাকি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়ে ফিরে এসেছেন । চিকিৎসার জন্য একজন মানুষ যার সাধ্য আছে তিনি বিদেশ যাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে কেন হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বিদেশে চিকিৎসা যাত্রা নিয়ে এত আলোচনা? কারন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হাজী মোহাম্মদ সেলিম। ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তাঁর স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই দম্পতির অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ২৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে হাজি সেলিম এবং তাঁর স্ত্রী ২০১৩ সালে পৃথক আপিল করেন। হাজি সেলিমের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট সাজা বাতিল করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। দুদকের আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্টে হাজি সেলিমের আপিলের ওপর আবার শুনানি করতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩১ জানুয়ারি হাজী সেলিমের আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর করা আপিলটিও শুনানির জন্য ওঠে। হাজী সেলিম দম্পতির করা পৃথক আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তাঁর আপিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় জামিনে আছেন হাজী সেলিম। তবে ২৫ এপ্রিল হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায়ের যাবতীয় নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এ বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। আইন অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে হাজী সেলিম দেশের আইনকে তোয়াক্কা না করেই অতি গোপনে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পারি দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির মন্তব্য " হাজী সেলিমকে দেশত্যাগে সহায়তাকারীরা অপরাধ করেছেন "। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলমের মন্তব্য , " সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় হাজি সেলিমের সংসদ সদস্য পদ আর নেই। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে যেতে পারেন না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণেই বিদেশে যেতে পারেননি। হাজি সেলিমেরও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁর তো আত্মসমর্পণ করার কথা। " হাজী সেলিম দেশে ফিরে আসার ওর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য " আইন মেনেই দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ড পাওয়া সংসদ সদস্য হাজী সেলিম বিদেশ গেছেন এবং ফিরেও এসেছেন "। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দেশের আইন কার জন্য কতটুকু প্রযোজ্য তা সত্যিকার অর্থে ই ভাববার বিষয়। কথিত আছে গায়েবি সুত্রে বুড়িগঙ্গা নদীর অর্ধেকের মালিক নাকি এই হাজী সেলিম। তার কাছে পুরান ঢাকার মানুষ এক ধরনের জিম্মি। তাই পুরান ঢাকার মানুষ হাজী সেলিমকে তার নামপর চেয়ে তালা হাজী নামেই বেশি চিনেন। হাজী সেলিম ক্ষমতার বলে তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পেরেছে পুরান ঢাকায়। বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকায়। তার ক্ষমতার দাপট আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ও।

আমি একটু বলে রাখি দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম এখানে বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি উদাহরণ টেনেছেন। এই নিয়ে আমি একটু পরে আলোচনায় আসি। আর বাংলাদেশে থেকে হাজী সেলিমের মত এমন বিদেশ যাত্রা নতুন কিছুই নয়। অবশ্য আমরা সিকদার ব্রাদার্সের কথা ভুলে গেছি। আর ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন আমাদের স্বরণ শক্তি তেমন প্রখর নয়। তাই সিকদার ব্রাদার্সের কথা একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদাট ও তার ভাই রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত ২০২০ সালের ১৯ মে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। করোনা মহামারির কারণে তখন বাংলাদেশের সঙ্গে সারা বিশ্বের বিমান চলাচল বন্ধ। শুধু অতি জরুরি কিছু ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু ব্যক্তিগত বিমান চলাচলের অনুমতি দিচ্ছিল বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে ২৫ মে ২০২০ সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই ভাই বিশেষ রোগী হয়ে পাড়ি জমায় ব্যাংককে। এই নিয়ে সেই সময় অনেক আলোচনা সমালোচনা ও সিকদার ব্রাদার্সের নানা অপকর্মের কথা প্রকাশ হলে ও পরবর্তীতে আমরা যা দেখেছি তা হলে এই দেশে সম্ভবত আইন শুধু মাত্র লেখক মোস্তাক বা বেগম খালেদা জিয়ার মত মানুষদের জন্য ই। বলছিলাম হাজী সেলিমর কথা। বিভিন্ন কারনে হাজী সেলিম ঢাকা তথা দেশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তার পরিবার একটি প্রভাবশালী পরিবার। হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিম যিনি যেই ভাবেই হউক আবার পুরান ঢাকার একজন কাউন্সিলের। বাবার সাথে শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরী এমপির ক্ষমতায় দুর্দান্ত প্রতাপ শালী এই ইরফান সেলিম। চলাচল সম্পুর্ন রাজকীয় স্টাইলে। রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হলেই তার নিরাপত্তা কর্মীরা আগে থেকেই রাস্তার সকল গাড়ী সাইড করে রাখতেন। কেউ রাস্তার তার চলাচলে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেই তা ভাগ্যে জুটতো চর থাপ্পড় সহ নানা রকমের শাস্তি। ২৪ অক্টোবর ২০২০ তার ভাগ্যে সামান্য রাহুর দশা স্পর্শ করেছিল। সেদিন রাজধানীর কলাবগান দিয়ে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ীতে যাওয়ার সময় তার চলার পথে বিঘ্ন ঘটনা একটি মোটরসাইকেল। ইরফান সেলিম ও তার নিরাপত্তা কর্মীরা মোটরসাইকেল আরহীকে মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলে এমন কি মুখের দাঁত পর্যন্ত ফেলে দেয় সাথে থাকা স্ত্রী ও হামলার শিকার হন। ইরফান সেলিম ভেবেছিল অন্য সাধারন দশজন আম জনতার মত ও ঐ মোটরসাইকেল আরোহী ও তার স্ত্রী। না তিনি সাধারন দশজন আমজনতার মত নয় তিনি ছিলেন কাঁঠালজনতার কাতার মানে ক্ষমতাসীন। ঐ মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান ও তার স্ত্রী। ইরফান সেলিমের হামলায় আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান সাথে সাথেই তার ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তার উপর হামলার বিস্তারিত সকলকে অবহিত করেন। এই নিয়ে প্রশাসন একটু নড়েচড়ে বসে। পরদিন পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবীদাস লেইনে হাজি সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায় ব়্যাব। বাসা থেকে ইরফানকে আটক করার সময় অস্ত্র ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাস করে এক বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায় ব়্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা দায়ের করা হয় ইরফানের বিরুদ্ধে; ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়। ঐ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ব়্যাবের বহুল আলোচিত জনপ্রিয় ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। পরে অবশ্য ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের বেশি দিন স্হান ব়্যাবে হয় নি এমন কি ব়্যাব থেকে বদলি হয়ে তার ভাগ্যে নাকি পদোন্নতি পর্যন্ত জোটে নি। পরে অবশ্য চকবাজার থানা পুলিশ তাদের তদন্তে চকবাজার থানা পুলিশ তাদের তদন্তে র‌্যাবের দুই মামলায় ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি বলে উল্লেখ করেছেন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন। এই নিয়ে সাধারন নাগরিকদের মনে র‌্যাব ও পুলিশ উভয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে র‌্যাবের সেই অভিযান বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার দেশবাসী ও উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম দেখেছিল।সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে লেখা আইনের দৃষ্টিতে সবাই। আইনের ভাষায় কথাটি অবশ্যই শত ভাগ সত্য। একটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইন প্রয়োগ সমান হবে এটাই তো বাস্তব। কিন্তু আমাদের দেশের বেলায় সব সময় কি তার সঠিক প্রয়োগ হয়? হাজী সেলিম থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য গিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। আইন বিশেষজ্ঞ মতে এটা সম্পুর্ন ভাবে আইন অমান্যকরা আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতে আইন মেনেই নাকি হাজী সেলিম বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ফিরে এসেছেন। একজন দন্ড প্রাপ্ত আসামি বিদেশ থেকে ফিরে আসবেন তার ই বা নিশ্চয়তা কি? এর আগে আমরা দেখেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় খুনের মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মুক্ত হয়ে ফের খুন করে গ্রেফতার হতে। বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আাসামী। জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়। জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ - প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বেগম জিয়া তাঁর ক্ষমতা অপব্যবহার করে এই ট্রাস্টের জন্য ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকার তহবিল জোগাড় করেছিলেন "। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় নাইকো মামলা। ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এই মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ও আসামী করা হয়েছিল, কারণ এই চুক্তিটি প্রথম করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আদালত শেখ হাসিনাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। তবে মামলাটি রয়ে যায় এবং আসামী হিসাবে থেকে যান খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে বন্দী দশায় জীবন পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া। বয়োবৃদ্ধ বেগম জিয়া করোনা সহ বহু জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘ দিন ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। তার রাজনৈতিক দল বিএনপি বরাবরই তার সু চিকিৎসার দাবীতে বিদেশে পাঠানোর দাবী জানিয়ে আসছেন এমন কি আন্দোলন ও করে আসছেন। বেগম জিয়ার পরিবার তার উন্নত চিকিৎসার দাবীতে বিদেশের পাঠানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রনালয়ে আবেদন ও করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রনালয় তথা সরকার বেগম জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন দুর্নীতির মামলায় আসামী হয়ে একজন সাংসদ যদি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন তবে একজন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি মত দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন কেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উন্নত চিকিৎসার চিকিৎসকের পরামর্শ থাকার পর ও কেন বিদেশে যেতে পারবেন না?
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×