
বাংলাদেশে বর্তমানে আইন আদালতের কোন প্রয়োজন আছে বলে কি আপনি মনে করেন ? আমার কিন্তু মনে হয় এসবের কোন প্রয়োজন নেই । বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আর তাদের একান্ত বাধ্যগত প্রশাসনের কাজ কারবার দেখে যে কারও এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক । আমরা এমনিতেই দেখতে পাচ্ছি আদালত কিভাবে একান্ত বাধ্যগত ভাবে সরকারের পছন্দের লোকদের অনুকুলে এবং বিপক্ষের লোকদের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে চলছেন । মাঝেমধ্যে যা দু একটি রায় দিচ্ছেন তাও সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমলে নিচ্ছে না । আজ জামায়াতের দুই সিনিয়র নেতাকে আদালতের গ্রেফতার না করার আদেশ দেওয়ার পর ও গ্রেফতার করার মাধ্যমে কি প্রমাণ হয় ? সরকারের যেসব চামচা বুদ্বিজীবী, সাংবাদিক এবং বিদেশি প্রভুরা এখনও বলছে যে এ সরকার সঠিক পথেই চলছে তাদের উদ্দেশ্য কি দেশ থেকে বিরোধী দল ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করা ? এ সরকার যে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে একটি দলকে নিশ্চিন্ন করতে চায় তা আজ পরিষ্কার । এদের কাছে শুধু জামায়াত নয় যে কোন বিরোধী দলই অসয্য তা যেমন শেখ মুজিবের সময় দেখা গিয়েছিল এখনও তেমনই দেখা যাচ্ছে । কিন্তু এর পরিণতি কি হবে ? যারা ভাবছেন নির্যাতন নিপিড়ন কিংবা নিষিদ্ধ করলেই বুঝি জামায়াত কিংবা অন্য কোন দলকে নিঃশেষ করে দেওয়া যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন । আমরা জানি তুরষ্কে বর্তমানে যে দল ক্ষমতায় আছে সেই দলকে অন্ততপক্ষে চার বার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু তাদের উত্থান রোধ করা যায় নি । সরকারি দলের পোষা ছাত্র লীগ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে একের পর এক খুন করে চলছে কিন্তু এদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই বিরোধী দলের লোকদের দেদারছে গ্রেফতার করেই চলছে । কিন্তু এই গ্রেফতারের মহোতসবের মাধ্যমে ক্ষমতা চিরস্তায়ী করা যাবে না এটা বলা যায় ।
এখন আমার প্রশ্ন যে সকল বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট কিংবা রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ আজকে ছাত্রলীগের হত্যা, লুটপাট, ধর্ষনের উতসব দেখার পর ও প্রতিবাদ তো দুরের কথা উল্টো এই দলের অতীত কীর্তি শোনিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন তাদের কি কোন অধিকার আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার ? যে নেত্রীর নির্দেশে ঢাকার রাস্তায় পিটিয়ে মানুষ মারা হয় তার কি কোন অধিকার আছে অন্যের বিচার করার ?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭