somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রংপুর অঞ্চলে গ্যাস দিন একাধিক কারণে

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদের দিন দুপুরে মতিঝিল থেকে যাচ্ছিলাম শাহবাগে। হাজী পরিবহনের একটি বাসে। বসেছিলাম একেবারে সামনের সিটে, ড্রাইভারের ঠিক পেছনে। বাসটি পল্টনে পৌঁছলে আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে উঠলেন এক তরুণ। গায়ে নীল পাঞ্জাবি। পরনে জিন্স প্যান্ট। মাথায় মাঝারির চেয়ে একটু বড় ঝাঁকড়া চুল। দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি একজন বাস স্টাফ। তরুণটি বসলেন ড্রাইভারের পাশের সিটে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় দেখে মনে হলো, তারা পূর্ব পরিচিত। একটু পরেই তরুণ বলতে শুরু করলেন, ‘ওস্তাদ এইবার তো ধরা খায়া গেলাম। কামাইও হইল না, বোনাসও পাইলাম না।’ কথাটি কানে আসার পর একটু সচকিত হলাম। বাস ততক্ষণে এসে পৌঁছেছে রমনা পার্কের সামনে। পার্কের দৃশ্য থেকে মনোযোগ ফেরালাম তাদের আলোচনায়।

তরুণটি বলছিলেন, ঈদের আগে কুমিল্লা থেকে তারা ভাড়া নিয়ে গিয়েছিলেন নীলফামারির চিলাহাটিতে। তার গাড়িটি ছিল সিএনজি চালিত। বগুড়ার পর যে গাড়িতে গ্যাস নেয়ার সুযোগ নেই, সেটা তারা জানতেন না। রংপুরের কাছাকাছি গিয়ে গ্যাস শেষ হওয়ার পর তাদের বাধ্য হয়ে তেল কিনতে হয় চিলাহাটি পৌঁছানো এবং বগুড়া পর্যন্ত ফিরে আসা পথের জন্য। ওই সময় কী পরিমাণ তেল কিনতে হয়েছিল, সেটা তিনি উল্লেখ করেননি। শুধু বললেন, তেল কিনতেই শেষ হয়ে গেল লাভের টাকা। ড্রাইভার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বোনাস পাস নাই?’ তরুণটি বললেন, ‘হ পাইছি। মাত্র এক হাজার টাকা। যাওয়ার আগে মালিকের সাথে কন্টাক হইছিল। পাঁচ হাজারের ওপর যা থাকবো, সেইটা আমগো। সেই টাকা থাইক্যা ভাগে মাত্র এক হাজার টাকা পাইছি।’ জ্যামে আটকে থাকা গাড়িটি ততক্ষণে এসে পৌঁছেছে শিশু পার্কের সামনে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অপেক্ষা করতে থাকা দুই বন্ধু ফোন দিচ্ছিল বার বার। তাই ওই তরুণ ও ড্রাইভারের বাকি আলোচনা শোনার জন্য অপেক্ষা না করে নেমে পড়লাম বাস থেকে। নেমে গেলাম বটে। কিন্তু যে ইস্যুতে তারা আলোচনা করছিলেন, তা আমাকে ফেলল গভীর ভাবনায়।

বলে রাখি, উত্তরাঞ্চলের অনেক মানুষ ঢাকার পাশ^বর্তী জেলাগুলোয় চাকরিসহ কাজ করেন। ঈদে গ্রামে যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে বাস-ট্রেনের টিকেট কেনার সুযোগ তাদের হয় না। এ সময় গ্রামে যাওয়ার জন্য এলাকার লোকেরা মিলে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ‘সিটি বাস’ ভাড়া করেন। সে বাসযোগেই তারা চলে যান গ্রামে। বাসের চালক-সুপারভাইজাররাও অপেক্ষায় থাকেন এমন সুযোগের। কেননা ঈদের সময়টায় ঢাকায় তেমন যাত্রী থাকে না। তাই ওই ধরনের অফার পেলে সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তারা। শুনেছি, ফিরতি ট্রিপ নিয়ে আসার জন্যও চুক্তিবদ্ধ হন কেউ কেউ।

অদূর পাল্লার বাস দূর পাল্লায় চলা সঙ্গত কিনা, এ-সংক্রান্ত নিয়মনীতি ও আইন আমার ভালো জানা নেই। তবে ঈদ মৌসুমে বাসগুলো এভাবে চলায় অন্তত দুটি লাভ হয়। এক. টিকেট না পাওয়া গেলেও মানুষ গ্রামে ফিরতে পারে। দুই. অপেক্ষাকৃত কম খরচ ও ভোগান্তিতে। আর লোকসান হলো, এ বাসগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঈদ মৌসুমে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেসব বাস খাদে পড়ে থাকতে দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে এ ধরনের বাসই বেশি। এর কারণও আছে। ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যারা অভ্যস্ত, হঠাৎ মহাসড়কে গিয়ে ওটার পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না তারা। উল্টাপাল্টা চালান আর তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা।

আমি বলছি না, দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার যুক্তিতে ঈদের সময় এসব বাসের দূরপাল্লায় যাত্রী পরিবহনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হোক। তাহলে অনেক মানুষই গ্রামে গিয়ে ঈদ করতে পারবেন না। বরং দূরপাল্লায় যাত্রী পরিবহনে সক্ষম বাসগুলোকে উৎসাহিত করলে টিআর, শ্যামলী কিংবা হানিফের মতো পরিবহনের ওপর চাপ কমবে। তাতে টিকিট কালোবাজারি কমে আসার পাশাপাশি মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। কিছুটা নির্বিঘ্ন হবে ঈদযাত্রা।

এ নিবন্ধে মূল ইস্যু অবশ্য পল্টন মোড়ে ওঠা তরুণ ও ড্রাইভারের মধ্যকার আলোচনা। বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর মনে হলো, এবার যেসব চালক-সুপারভাইজার তাদের মতো ‘ধরা’ খেয়েছেন, আগামী ঈদে একই অফার পেলে তারা কি উত্তরবঙ্গে যাত্রী পরিবহেন উৎসাহী হবেন? উৎসাহী হলেও ভাড়া ঠিক করার সময় তেলের হিসাবও কি করবেন না? ড্রাইভার-সুপারভাইজাররা এমন অভিজ্ঞতা সুযোগ পেলেই শেয়ার করবেন অন্যদের সঙ্গে। এটি শোনার পর অন্যরাও কি উৎসাহী হবেন ওই অঞ্চলে ভাড়া নিয়ে যেতে? পরিস্থিতি যা-ই হোক, উভয় ক্ষেত্রেই ভাড়া বাড়বে অস্বাভাবিকভাবে। প্রথম ক্ষেত্রে পরিবহন সংকটে এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তেলের দাম গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায়। তাহলে ঢাকার পাশ^বর্তী জেলাগুলোয় কর্মরত উত্তরবঙ্গবাসীরা কি ঈদে গ্রামে যাবেন না? অথবা গেলেও যাবেন স্বাভাবিকের তুলনায় দুই-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে?
তরুণকে এও বলতে শুনেছি, পরের বার গেলে তারা যাবেন বগুড়া পর্যন্ত। তাতে খালি গাড়ি নিয়েও যদি ঢাকা ফিরতে হয়, তাতেও নাকি পোষাবে! সে অবস্থায় তেঁতুলিয়া কিংবা পাটগ্রামের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বগুড়া থেকে বাকি রাস্তাটা যাবেন কীভাবে? বগুড়া ও এর পাশ্ববর্তী জেলাগুলোয় যত বাস চলে, অতিরিক্ত এসব যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা কি আছে তাদের? আর থাকলেও মাঝপথে নেমে পরের বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করতে হলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে না? ঈদে বাড়ি ফেরার সময় মানুষ সাধ্যমতো কেনাকাটা করে প্রিয়জনের জন্য। যারা মধ্যরাতে গিয়ে বগুড়ার চারমাথায় নামবেনÑ অপেক্ষা করবেন পরবর্তী বাসের জন্য, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? অনেকে বলতে পারেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ তো আগেও একইভাবে বাড়ি যেত ঈদে। নতুন করে এ প্রসঙ্গের অবতারণা কেন? একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, কম খরচ বা পরিবেশ সচেতনতা, যে কারণেই হোক ঢাকায় সিএনজিচালিত বাস বাড়ছে। সমস্যাটা সৃষ্টি হচ্ছে এখান থেকে। সিএনজিতে কনভার্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই কমে যাচ্ছে এ গাড়িগুলোর তেঁতুলিয়া-পাটগ্রামের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এর একমাত্র সমাধান হলো উত্তরাঞ্চলে গ্যাস সংযোগের প্রসার ঘটানো। আমার ধারণা, অন্তত নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত গ্যাস পৌঁছানো গেলে উদ্ভূত সমস্যা আর থাকবে না। যাওয়ার সময় গ্যাস নিয়ে তেঁতুলিয়া-পাটগ্রামের মতো এলাকা থেকে ফিরে আসতে পারবে গাড়িগুলো; বগুড়া থেকে যেটি খুব কঠিন। আর রংপুর-সৈয়দপুরে গ্যাস পৌঁছানো গেলে সেখানে শিল্পের বিকাশও ত্বরান্বিত হবে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন পকেটে মঙ্গা হয় মূলত বছর জুড়ে কাজ না থাকায়। ওই অঞ্চলে শিল্পকারখানা নেই বলে মানুষকে কাজের খোঁজে আসতে হয় ঢাকা ও এর পার্শ^বর্তী এলাকায়। রংপুর-সৈয়দপুরে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা গেলে কাজের খোঁজে বাড়িছাড়া মানুষও কমে আসবে। তখন ঈদ ঘিরে গ্রামে যাওয়ার জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক পরিবহন সমস্যাও সৃষ্টি হবে না হয়তো।

বগুড়ায় গ্যাস গেছে বিএনপির গত আমলে। মনে পড়ে, তখনই দাবি উঠেছিল রংপুরে গ্যাস দেয়ার। এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছিল সংসদে। একই সময়ে রাজশাহীতে গ্যাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সেটির বাস্তবায়নও হয়েছে এর মধ্যে। রংপুরের ক্ষেত্রে তাহলে গড়িমসি কেন? সেখানে কি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মতো বিনিয়োগকারীর অভাব আছে? যেসব এলাকায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলোর তুলনায় রংপুরের সম্ভাবনা কি কম? নীতিনির্ধারকরা হয়তো বলবেন, আমাদের গ্যাসের সংকট। সেজন্যই এ পরিস্থিতি। গ্যাসের সংকট আছে, সেটা আমিও স্বীকার করি। কিন্তু কথা হলো, জাতীয় সম্পদের ওপর রয়েছে দেশের সব মানুষের সমানাধিকার। এ সংকটকালেও তো দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসচালিত যান চলছে, জ¦লছে গ্যাসের চুলা। সংকটের কারণে কোথাও কি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে? তাহলে এ অজুহাতে রংপুর অঞ্চলের মানুষকে বঞ্চিত করা কেন?

ফুলবাড়ীর কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে কিছুদিন আগে। যতদূর জানি, এসব কয়লা মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে লাগানো হবে। সন্দেহ নেই, কয়লাভিত্তিক বড় কেন্দ্র বাড়লে দেশে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি হবে। মনে প্রশ্ন জাগে, সে অবস্থায় বিদ্যুৎভিত্তিক নতুন শিল্পকারখানা রংপুর-দিনাজপুরে প্রতিষ্ঠা করা হবে কি? উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মনে হয়, তখন বিদ্যমান কারখানাগুলোয় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর জোর দেয়া হবে। তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের লাভ কী? অঞ্চলটির দরিদ্র মানুষের পেটে যাতে ভাত থাকে, এজন্য তাদের হাতে যে সারা বছর কাজ থাকা দরকার, সেটা সবার জানা। আর এখন দেখা যাচ্ছে, গ্যাস না থাকায় ঈদেও তাদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা হয়ে উঠছে অনিশ্চিত। দেখা যাচ্ছে, গ্যাস সংযোগ না থাকায় যাদের কাজের খোঁজে ঘরবাড়ি ছাড়তে হচ্ছে, তারাই আবার একই কারণে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। এটা কি মানা যায়?

মানুষ যখন বৈষম্যের শিকার হয়, তখন সত্য প্রকাশে দ্বিধা করে না। ফুলবাড়ী থেকে কয়লা উত্তোলন শুরুর পর হয়তো নতুন করে বঞ্চনা বোধ করবেন উত্তরবঙ্গবাসী। কেউ হয়তো এ প্রশ্নও তুলবেন, কয়লা তো নিচ্ছেন; তাহলে গ্যাস কেন দেবেন না? প্রশ্নটা হবে খুবই সঙ্গত। কেন সঙ্গত, তা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নবঞ্চিত ও যন্ত্রণাদগ্ধ মানুষ মাত্রই বুঝতে পারে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×