আমার মতো অনেকেই মনে করে থাকবেন যে ৭১ এর পর এই সময় দেশ সব চেয়ে বেশি অস্বির। উত্তাল গ্রাম- শহর। ঘর পুড়ানো, ঘর ভাঙার ঘটনা এবার দু-একটা ঘটেনি। সাবেক এম পি র বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া ছাড়া ও অসংখ্য ঘর পুড়িয়েছে সরকার সমর্থক এবং বিরোধীরা।
যখনই সংখ্যা লঘু ভাই -বোনদের ঘর পুড়লো তাখনই আমরা বল্লাম হিন্দুদের পুড়িয়ে শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু যখন মুসলমানদের ঘর পুড়ানো হলো তখন আমরা কেউতো বলি নি মুসলমানদের ঘর পুড়ছে?!!
তাহলে কি আবহমান বাংলার সব চেয়ে প্রাচীন এবং আমাদের পূর্ব পুরুষদের ধর্মানুসারী হিন্দু ভাই বোনরা সমাজ এর বাইরে?
একজন সমাজ সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝেন সমাজে অশান্তি হলে কেউ সুখে থাকে না । হোক সে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরহিত, চার্চের ফাদার কিংবা বুদ্ধ ভিক্ষু কেউ না ।
কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতি যারা করছেন তারা ভালো করেই জানেন এ খেলা উপমহাদেশে বেশ পুড়নো এবং বোকা বাংলাদেশিরা সেই খেলা ভালই গিলেন।
বিচার বিভাগীয় কিংবা প্রশাসনিক তদন্ত ছাড়াই আমরা কাউকে দোষী করছি।
তবে যুক্ত ফ্রুন্টের নির্বাচরের পর থেকে বাংলাদেশে শুধু মাত্র ক্ষমতাশীলরাই সংখ্যা লঘুদের বাড়ি ঘর দখল করেছে , নিজেরা জমিদার হয়েছে। আবার কেউ কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ও ব্যাবহার কবেছে।
একটা বিষয় বুঝিনা যারা ক্ষমতা থেকে বরাবরই বাইরে ছিল তাদেরই কেন বিচার বিশ্লেষন ছাড়াই দোষ দেই ?!!!
ধর্মীয় সংহতীর দিক থেকে যেই দেশ বরাবরই বিশ্বের দরবারে সন্মাতিত সেই দেশকে সংখ্যা লঘু নির্যাতনের কাদা মাখিয়ে কাদের লাভ?
একটু ভাবা দরকার.....!!!!