সে মারা গেছে বহুদিন আগে--
মেঘে ঢাকা পড়েও চাদ কেমন সোনালী রেখা ছড়ায়
সেও তেমনি মায়াময়, হাড়গোর থেকে ছড়ায় রূপের দু্তি।
জানি আমার সন্তান বিশ্বাস করবে না কোনদিন,
সে ভাসাতো আমাদের সপ্ন
আমাদের জীবন ঝুকে থাকতো তার উপর
যেমন ঝুকে ছিলো অপরূপ কদম তরু,
ঘোলা জলে ছুটে আসা দুর ভিনদেশী কচুরীপানা
পাক খেয়ে ছুটতো বলেই হেসে ফেলতো দুষ্ট মাছরাঙা।
একবার আমার সওদাগর বাবা প্রধান শহরে যেতে নাও ছাড়তে পারেনি
গলুই টেনে ধরেছিলো আমার অগ্রজ, বায়নায় চিৎকারে।
জাল ও শিশুরা সারাদিন লাফিয়ে তুলতো জলোর তোলপাড়
অথচ নিস্তব্ধ রাতে ছনের কুটিরে আলো জ্বেলে পুথি পড়তো হারান সরকার
ঘুটঘুটে আধারে বড় আলো ভেবে ছুটে যেতো জোনাকির দল।
কোন বর্ষা-পুর্নিমায় বৈঠায় হাল ধরে আমরা ছুটে যেতাম বৈঠাহালি
বাঁশঝাড়ের হেলেপড়া ডানপিটে বাশকঞ্চির নীচ দিয়ে সর্তকে পার হতো ডিঙি নাও
আমাদের উদ্দাম শৈশব, তুলে রাখা আলমারির পুরোনো কাপড়...
গয়নার নাও, পাটের ব্যবসায়ী, বেদের দল... সব স্মৃতি ভুলে গিয়ে
কেবল খাল হয়ে সে থাকতে চেয়েছিলো আমাদের সাথে।
তাও কেটে টুকরো টুকরো করেছে যুথবদ্ধ সমাজ আর বড় পরিবার ভাঙা মানুষের দল।
এখন সে আমার ভেতরে বয়ে চলে অবরিত, পাক দিয়ে তোলে কচুরিপানা।
আমি কোনদিন দেখাতে পারবো না আমার সন্তানকে
ঐ দ্যাখ নদী---
ঐ দ্যাখ মেলায় কেনা চাকু নিয়ে আম-বাগানে ঘোরা আমার শৈশব
বরং কোন এ্যানিমেটরকে দিয়ে বানাবো ভার্চুয়াল এক নদী, ও যখন গেম খেলতেই ভালবাসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




