শাহবাগ প্রতিবাদ। এক যাদুর আয়না। অনেকের চেহারা পরিস্কারভাবে দেখা গেছে। কে আসলে কি? এই দেখা যাওয়া থেকে মানুষগুলোকে কয়েকটি শ্রেণীতে ফেলা যেতে পারে।
ক শ্রেণী: গায়ে আগুন লাগা গ্রুপ:
যাদের বিরুদ্ধে মুলত অভিযোগ। সেইসব মানুষ ও পার্টির গায়ে এখন দাবানল। দাউদাউ করে জ্বলছে।
খ শ্রেণী: ভীষন বিব্রত ও অসস্তিতে পড়া গ্রুপ:
ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নে যারা ক শ্রেণীর সাথে লিঁয়াজো করে আছে।
গ শ্রেণী: সাপোর্ট করি কিন্তু... কিন্তু গ্রুপ:
এরা সবসময় সমালোচনা করে, গা বাঁচিয়ে চলে, নিজের সুবিধা ভাল করে বোঝে। শাহবাগ আন্দোলনের দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভুল ধরছেন। নাস্তিকতা, আওয়ামীলীগ এসব ইসু্্য টানছেন। ১৯৭১ সালেও এ শ্রেণীর লোকজন ভারতের দালাল, ইসলামের বিরোধিতা বলে দুরে সরে থেকেছেন অথবা নিজের ক্যারিয়ার ও জীবন বাঁচানোর হিসাব কষেছেন।
ঘ শ্রেণী: সুবিধা পাওয়া গ্রুপ:
আন্দোলনটা যাদের সুবিধা এনে দিয়েছে। লুটপাট, সন্ত্রাস, ধামাচাপা দিয়ে এখন ভোটের অংকের হিসাব। কিভাবে আন্দোলনকে নির্বাচনে ব্যবহার করা যায়। এ বিচার যদি ৪০ বছর ধরে চলতো তাহলেই ভাল হতো এদের কাছে।
ঙ শ্রেণী: যারা মুলত বিচার চায়:
মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ও ক্ষতিগ্রস্থ গ্রুপ- দু:সহ স্মৃতি ও স্বজনহারানোর বেদনা নিয়ে বিচার চান।
শ্রমজীবি, পেশাজীবি, সাধারন মধ্যব্ত্তি, আমজনতা- অপরাধ করেছে বিচার হতে হবে।
নতুন প্রজন্ম- কেন এ বিষয় ঝুলিয়ে থাকবে। কেন রাজনীতিবিদরা এটা নিয়ে খেলছে। এ দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতে হবে। বিচার করতে হবে।
প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ- এ দগদগে ঘা নিয়ে ক্ষমতাসীনরা খেলছে। এর সমাধান না হলে দেশ এগোবো না।
চ শ্রেণী; অতি মৌলবাদ বিরোধী গ্রুপ:
এ শ্রেণী খুবই সামান্য। যারা মনে করেন এটাই বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। যুদ্ধপরাধীদের বিচার হলেই দেশ সোনার বাংলা হয়ে যাবে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লুটপাট, সন্ত্রাস, হত্যা (গার্মেন্টস শ্রমিক গনহত্যা, ক্রসফায়ার) নারী নিপীড়ন, দ্রব্যমুল্যোর উর্দ্ধগতি এসবতো সাধারন সমস্যা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




