somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেতাল লেখা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল লিখিনা। ব্যাস্ততার কারনে কি লিখব কোন কিছুই মাথাতে নাই। তাই এই লেখার কোন তাল নাই। এইটা একটা বেতাল লেখা। |-)

ফেসবুক এ প্রোফাইল পিক অ্যানালাইজার নামক একটা এপ্লিকেশন আছে। বেশ বাহারি গুনগত সম্পন্ন এপ্লিকেশন। মানুষের প্রোফাইল পিক বিচার করে সে। কতখানি সুন্দর (Beauty), কতখানি আবেদনময়ী (sexy), এর বাইরে কত খানি কুল (Cool), আর কতখানি স্মার্ট। বন্ধু বান্ধব লিঙ্গভেদে কয়েক জন সেটা ব্যবহার করল। কেউ একজন একটু অখুশি, তার স্মার্ট বাদে বাকি গুলা সব ৮০ এর উপরে। স্মার্টটা খালি ৭২। যাই হোক আমারটাও আমি ব্যাবহার করলাম। খুব চমতকার ব্যাপার। আমার বিউটি আসছে ১৩ আর সেক্সি ১৯। খাইসে রে। কি বড় অপমান। আবার শেয়ার না হয়ে যায় তাই স্কিপ করলাম। প্রোফাইল পিক চেঞ্জ করলাম। তেমন উন্নতি হইল না। বিউটি আসছে ১৬ সেক্সি ১৯। ঠিক এই সময় আমার এক বন্ধু যার প্রোফাইল পিক এ খালি একটা বার্গার এর ছবি দেওয়া তার সেক্সিটাও আসছে ৭২। আমি খুব খেয়াল করে দেখলাম যাদের প্রোফাইল পিক এ নিজেদের ছবি বাদে বিভিন্ন সিনারি দেওয়া তাদেরটাও নিদেন পক্ষে ৭০ তো আসতেসেই। খালি আমার ছবি পাইলেই সেটা ফেল করার মান দেখায় কেন কে জানে!! আফসুস। গিগাবাইট পরিমান আফসুস।

ঈদের জন্য সব থেকে দামী পোষাকটা নাকি গুলশান মার্কেট এ আসছে। মেয়েদের লেহেঙ্গা। দাম প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টাকা। শোনার পর আমার মাথায় একটা জিনিষই খালি আসল। সাধারনত পোষাক আশাক পুরানো হয়ে গেলে আমরা সেটা দিয়ে ন্যাকড়া বানায় ঘর মুছি। এই পোষাকটার ক্ষেত্রে সেরকম হবে কিনা?!! পৌনে পাঁচ লাখ টাকার ন্যাকড়া দিয়ে ঘর মোছা।

রিকশাওয়ালাদের যা অবস্থা তাতে পড়ালেখা ছাইড়া রিক্সাচালানো শুরু করমু নাকি ভাবতেসি। আজকে শান্তিনগর মোড় থেকে কার্জন হল রিকশাভাড়া চাইল ৪০ টাকা। ন্যায্য ভাড়া ২৫ টাকা বলায় রিক্সাওয়ালা এমন ভাব করল যেন ব্রিটিশ আমল এর নীল-চাষ আর ১৯৭১ এর পর বাংলার দরিদ্র জনগনের উপর এত নীপিড়ন আর হয় নাই। এইসব কি? শান্তিনগড় থেকে কার্জন হল ভাড়া আমি ২৫ টাকা বললাম!! আমারে ধইরা সবাই মারেন।

বাংলা কোন গান শুনলেই আমার একটা স্বভাব হইতেসে গানটাকে আমি ইংলিশ এ ট্রান্সলেট করি। যেমন-

যতটা সময় তুমি থাক কাছে,
মনে হয় এ দেহে প্রান আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে যেন অথৈ আঁধার

Most of the time you are with me
Seems to be there is heart in me
Rest of the time feels I am dead
The whole heart is tiding on the bed

খুব ছোটবেলায় শুভ্রদেব এর একটা গান শুনেছিলাম। “এই আমার শেষ চিঠি হয়ত তুমি পড়বেনা, কথা দিলাম কোন দিনও আর কিছু লিখবনা”। ঠিক এই মুহুর্তে গানটা মনে করার কোন কারন নেই তবে কিনা এখন প্রেমিক প্রেমিকারা চিঠি পাঠাবেনা। গানটা আসলে অন্যভাবে গাওয়া দরকার “ এই আমার শেষ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট হয়ত তুমি এক্সসেপ্ট করবেনা, কথা দিলাম কোন দিনও আর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো না”।

লেখার কোন টপিক পাইতেসিনা তাই যা মাথায় আসে তাই লিখলাম। পরীক্ষা দিয়ে আসছি মাথা এমনিতেই ভার হয়ে আছে। গানের প্রসংগ যখন আসল তখন আমার বন্ধু তানজিম এর সামান্য কীর্তিকলাপ এর নমুনা দেখা। অসম্ভব সুন্দর ছবি তোলায় দক্ষতা অর্জনকারী তানজিম আর আমি যখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি (১৯৯৭) তখন আমাদের মাথায় খেয়াল আসে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো গানটাকে rap বানানো। কেউ চট করে রেগে যাবেননা ঐ বয়সের পোলাপাইন এমনই চিন্তা করে। পুরা ব্যাপারটাই পোলাপাইন্না ফাজলামী। কিন্তু বেশি দূর আগানো যায় নায়। কারন ফিফটি টু, ইট ইজ টু, হোয়াট এ ফাইট, গোল্ডেন নাইট, হোয়াট এ ব্লাড, পিজা হাট …………. এই পর্যন্ত লেখার পর থেমে যেতে হইসে। পিজা হাটটাই বা এইখানে ক্যামনে আসল আর এরপর যে কি লেখা হবে ঠিক ঠাওর করা গেলনা। আফসুস।

সুমনের প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই এই গানটা শুনলে আমার ম্যাথেমেটিকাল এক্সপ্রেশন মনে পড়ে খালি।

প্রথমত আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই
.
.
.
.
.
N পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই
N+1 পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই

যাই হোক এইভাবে চলতে গেলে এই বেতাল লেখার সিরিজ শেষ হবেনা। লেখার আপাতত এখানেই সমাপ্তি। কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৮
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×