ছাগল দিয়ে হাল চাষ করার চেষ্টা যে কতটা নির্বুদ্ধিতা তা এখনও উপলব্দি করতে পারে নাই আমেরিকার জনগণ।আসলে আমেরিকার সাধারন মানুষের হাতে নেই তাদের নেতৃত্ব নির্বাচনের। এখানে ইলেক্ট্রোরাল কলেজ নামের শুভংকরের ফাঁকি রয়ে গেছে।সেটা বিশ্লেষণ করা আমার কাছে এখন জরুরী বা এই পোষ্টের বিষয় নয়।অল্প কিছু সাধারণ কথা বলাটাই এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য।ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরোপুরি একজন ব্যাবসায়ী।কিন্তু প্রকৃত সৎ ব্যাবসায়ী অবশ্যই নয়।যারা প্রকৃত ব্যাবসায়ী তারা ব্যাবসায় লাভ/ক্ষতি দু'টো-কে মাথায় রেখেই ব্যাবসা করে থাকে।কিন্তু উনি এমন একজন ব্যাবসায়ী যার ডিকশেনারিতে শুধু লাভের কথাই লেখা আছে।অর্থাৎ অনেকটা বাংলাদেশের দূর্ণিতিবাজ টেন্ডারবাজদের কথাই মনে করিয়ে দেয়।তারা যেমন কাজের শুরুতেই তাদের লভ্যাংশ পাচার করে দেয় ।ঠিক তেমনি লস-জনক ব্যাবসায়ও লাভ করেই ক্ষান্ত দেন উনি।বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে শুধু ছোট একটা উদাহারণ দেই।মনে করুন ট্রাম্প সাহেব হাউজিং-এ ইনভেষ্ট করার জন্য জমি ক্রয় করে সেখানে বিল্ডিং নির্মানের জন্য টেন্ডার আহব্বান করে কোন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেন।সেই কোম্পানি যথাসময়ে কাজ শেষ করে যখন তার কাজের বিল সাবমিট করবে।তখনই শুরু হয়ে যায় তার খেলা।তখন সে বলবে বিভিন্ন রিকয়ারমেন্ট ফুলফিল করা হয় নাই ,তাই সে বিল এপ্রুভ করতে ইচ্ছুক নয়।
এখন বেচারা কন্ট্রাক্টর বা সাব-কন্ট্রাক্টর কি করবে ? সে তখন নেগোসিয়েসন করে নিজের লভ্যাংশ বাদ দিয়ে এমনকি কখনও কখনও মূলধন হারিয়েও সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়।এটাকে কি আপনি নৈতিকভাবে সৎ উপার্জন বলতে পারেন? অর্থাৎ ছলচাতুরি করেও লাভ করাটাকে ব্যাবসা বলেই মনে করেন তিনি। এমন একজন নিতিহীন লোক যদি দেশের নেতৃত্ব দেয় তাহলে তার লক্ষ কি থাকবে ,নিশ্চয় আপনাদের বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এমন লোক'কে আমেরিকার মত সচেতন নাগরিকরা কিভাবে নির্বাচিত করলো এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন।নির্বাচিত তারাই করেছে যাদের শতভাগ স্বার্থ আছে। অর্থাৎ করপোরেট শ্রেনীর জন্য তিনি পারফেক্ট চয়েজ। আরো কিছু পার্সেন্টেজ আছে যারা একেবারে নিষ্কর্মা ।কারন এদের ফ্রি'তে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে একেবারে অন্ধ ভক্ত বানিয়ে ফেলেছেন।অর্থাত ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছেন বলা যায়।এরাই মূলত ট্রাম্প সাহেবের প্রোপাগান্ডা মেসিন।যাদের'কে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে প্রমাণ করেন উনি কতটা জনপ্রিয়।
ওবামার পুরো হেলথকেয়ার সিস্টেম'কে গুড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প লিগেসি।আর আজকের অব্স্থায় পৌছে এখনও উপলব্দিতে আসছেনা প্রকৃত আমেরিকানদের।নিউ ইয়র্ক হোচ্ছে ডেমোক্রেট অধ্যুষিত স্টেট -এর চালিকা শক্তি হচ্ছে ইমিগ্রান্টরা। অর্থাত গায়ে গতরে খেটে খাওয়া মানুষগুলোই সচল রাখছে পুরো আমেরিকার অর্থনীতির সিংহভাগ।অথচ তারাই বৈশম্যের স্বিকার হয় সবচাইতে বেশি।এটা শুধু এখন নয় জাতিয় দূর্যোগের ৯৯% খেসারত দিতে হয় এই ইমিগ্রান্টদের। নাইন ইলেভেনের পরে 'তো সারা বিশ্বের চরিত্রই বদলে গেছে।আমেরিকাতে একটি ধর্মের লোক'কে কত প্রতিকূল পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে নিশ্চই আপনাদেরকে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আসলে এত কথা লিখলাম শুধু এটুকু উপলব্দি করার জন্য যে ।যত যাই বলুন উপযুক্ত যায়গায় অনুপযুক্ত লোক থাকলে একই ফলাফল হবে।হোক সেটা আমেরিকা কিংবা ইথিও পিয়া।কসাই দিয়ে অপারেশন করানোটা কি কেউ সমর্থন করবেন আপনারা? তাই রাজনৈতিক নেতাই জানেন দেশ'কে কখন কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে।
চিন্তা ভাবনা দেখুন,ম্যালেরিয়ার ঔষধ দিয়ে করোনা ভালো করা কি হাস্যকর নয়! এটা কি ভাতের বদলে রুটি দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার মত বিষয় ? মানুষের জিবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কি একেই বলে !জানিনা আরো কত মানুষ হারিয়ে যাবে এই করোনার ছোবলে।বাংলাদেশের ছোট্ট একটা কমিউনিটি থেকে অলরেডি ৭৭টি অমূল্য প্রাণ ঝরে গেছে।জানিনা আরো কত প্রণের বিনিময়ে করোনা থামাবে তার ভয়াবহতা।আজ'কে পর্যন্ত আমি ভালো আছি কাল থাকবো কিনা জানিনা।হয়'তো আমার কাছে ডলার থাকবে কিন্তু খাবার থাকবেনা।আবার খাবার পেলেও হয়তো চিকিৎসা থাকবেনা।নিউ ইয়র্কারদের জিবন এখন ঝুলছে করোনা নামক সুতোর উপর।আমার ভুলেই যে আমার জিবন হুমকির মূখে। তা কিন্ত নয়, অন্য কারো অসতর্কতার জন্যও চলে যেতে পারে আমার জিবন।
সকল নিউ ইয়র্কারদের জন্য সমবেদনা সকলের জন্যই কামনা করি সুসাস্থ্য।মানসিকভাবে শক্ত থাকুন সমস্ত পৃথিবির মানুষেরা।সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থণা করুন।ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩৪