somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প নিয়ে গল্পামিঃ নতুন ব্লগারদের লেখা জুলাই মাসের ভালোলাগা পাঁচটি গল্প।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জুন মাসে ব্লগে প্রকাশিত ভালো লাগা গল্প নিয়ে গল্পপাঠ - ভাল লাগা ছয়। শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের ভালো লাগা গল্প নিয়ে এই মাসেও লিখছি। এবারের পোস্টে শুধুমাত্র সামহোয়্যার ইন ব্লগের নতুন ব্লগারদের লেখাগুলো থেকে পছন্দের গল্প বাছাই করেছি। সামহোয়্যার ইন ব্লগে যাদের নিক এর বয়স এক বছর পূর্ণ হয় নি শুধু মাত্র তাদের লেখাই এবারের পোস্টে জায়গা পেয়েছে। সামহোয়্যার ইন ব্লগে ব্লগিং এর হিসাবে তারা হয়ত নতুন কিন্তু লেখক হিসাবে তারা প্রায় সকলেই পুরাতন এবং অনেক পরিণত। আমার পছন্দের এই সব গল্পকাররা ইতিমধ্যেই তাদের লেখা দিয়ে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন। এবং প্রত্যাশা করি তারা সবাই আরো ভালো ভালো লেখা দিয়ে ব্লগকে আরো সমৃদ্ধ করবেন।

♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣

ভাগাভাগি জিনিসটা খুব একটা জটিল বিষয়। ভাগাভাগিতে সামান্য একটু হের ফের হলেই অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে যায় মাঝে মাঝে। কিন্তু ভাগাভাগির এই জটিলতার মাঝেও একটা সরল সমীকরণ সব সময় কাজ করে ভাগাভাগি কাদের মধ্যে হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে। ভাগাভাগির জটিলতা সহজ হয়ে যায় সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে। যেমনটা হয় বড় ভাই কিংবা বোনের সাথে ছোট ভাইবোনের কোন কিছু ভাগাভাগিতে। বড় ভাইবোন নিজের জন্য ছোটটা রেখে বড় অংশটা ছোটদের মাঝে ভাগ করে দেয়। বাবা আর সন্তানের মধ্যে ভাগাভাগিতে কষ্টগুলো নিজের ভাগে রেখে বাবা সুখগুলো সন্তানের হাতে তুলে দিতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেন না। আর মা আর সন্তানের মাঝে ভাগাভাগিতে তো পৃথিবীর সমস্ত কিছু সন্তানের ভাগে দিয়ে দিতে এক মুহূর্তের জন্যও চিন্তা করতে হয় না। তাহলে সৃষ্টিকর্তা আর তার সৃষ্টির মধ্যে যদি কখনো ভাগাভাগি হয় কি ধরনের হতে পারে! সৃষ্টিকর্তা কি কখনো নিজের সৃষ্টিকে বঞ্চিত করে নিজের জন্য বড় ভাগটা নিতে পারে? সৃষ্টিকর্তা আর তার সৃষ্টির মধ্যে ভাগাভাগি হলে কেমন হতে পারে তা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে ব্লগার আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর লেখা গল্পঃ ভগবানের সাথে ভাগাভাগি। গল্পের প্রধান চরিত্র নিতাই এর সঙ্গে ভগবান এর ভাগাভাগিতে সব সময় একটু বেশিই পেয়েছে নিতাই। প্রথমবার ভগবান নিতাই এর বাবাকে তুলে নিয়ে নিতাইয়ের ভাগে তুলে দিয়েছেন পুরো পরিবারের বোঝা। নিতাইয়ের কথাগুলো যেমনটা গল্পে লেখক বর্ণনা করেছেন -
‘জীবনে বহুদিন আমরা না খেয়ে থেকেছি। কিন্তু কোনদিন কারো কাছে আমাকে হাত পাততে দেখেছিস? তুই আমার দু’তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে একজন। তোর টাকা ধার হিসাবে নিতে পারলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু ঐ যে ওপরে একজন ভগবান আছেন না! তিনি তো আমার জন্মের সময় থেকে সব কিছু ভাগাভাগি করে রেখেছেন। আমার ভাগে দিয়েছেন লজ্জা আর আত্মসম্মানবোধ, আর তার নিজের ভাগে রেখেছেন আমার মুখের আহার।’
এভাবেই গল্পে ভগবান আর নিতাই এর মধ্যে ভাগাভাগি চলতে থাকে। গল্পের শেষে শেষবারের মত নিতাই আর ভগবানের ভাগাভাগি ছিল আরো নির্মম। নিতাই আর ভগবানের মধ্যকার ভাগাভাগির করুণ কাহিনী জানতে হলে আজই পড়ে ফেলুন গল্পটা।


♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣


‘গত পরশু সন্ধ্যায় মা চলে গেলেন। বাহাত্তর বছর আগে শুরু হওয়া এক উপন্যাসের সমাপ্তি হলো। ভালোই হলো। শেষ দিকে এসে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। আমিও যেন ক্লান্তির শেষ ধাপে পৌছে গিয়েছিলাম। গত দু’রাত নির্ঘুম কাটিয়ে, আজ ভোরে তোমাকে মেইল করবো বলে বসেছি। বিচিত্র এক অনুভুতিতে ছেয়ে আছে মন। মা চলে যাবার তীব্র একটা কষ্ট, শোক, নিদারুণ একাকিত্ব, পাশাপাশি বহুদিনের ক্লান্তি, পরিশ্রম আর দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রান পাবার শরীর অবশ করা এক প্রশান্তি। হাসপাতাল থেকে ফোনটা পাবার পর শরীরের প্রতিটা কোষ যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। বেয়াল্লিশ বছর ধরে স্মৃতি জুড়ে, মন জুড়ে, শরীর জুড়ে ভালোবাসার আঁচড়, স্লেটের লেখার মতো কে যেন এক ঘষায় মুছে দিলো। পুরো শরীরজুড়ে লেপ্টে থাকা একটা মানুষের অস্তিত্ব এভাবেই এক ফুঁৎকারে নিভে যায়? টেলিফোন কানে চেপে বসে রইলাম অনেকক্ষণ। কোথায় যাবো? কাকে জানাবো? মরদেহ নিয়ে কি করতে হয়? আমিতো কিছুই জানি না।...’

মায়ের মৃত্যুর এমন করুণ বর্ণনা দিয়েই শুরু হয়েছে ব্লগার আসাদ কাজল এর লেখা ছোট গল্প দহন । রফিক, শায়লা এবং আরিফ এই তিনজনের মাঝে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েই গল্পটি। রফিক এবং শায়লা এঁকে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করলেও সময়ের ব্যবধানে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। যারই ফলশ্রুতিতে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায় দুজন। শায়লা এবং আরিফের মধ্যে পরিচয় হয় হোটেল শেরাটনে রিহ্যাব মেলায়। কাজের প্রয়োজনেই দুজনার সাথে যোগাযোগ বাড়তে থাকে এবং এক সময় সম্পর্কটা কর্মক্ষেত্র ছাড়িয়ে বন্ধুত্বে রূপ নেয়। আরিফ একসময় শায়লাকে একান্ত নিজের করে পেতে প্রস্তাব করে। কিন্তু শায়লা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। একসময় দুজনের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে যদিও শায়লার প্রচেষ্টায় আবার বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোড়া লাগে। শায়লার মায়ের মৃত্যু রফিক, শায়লা এবং আরিফের মধ্যকার সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের অবচেতন মন নিয়ে থাকে। শায়লার অবচেতন মন কার কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য বলেছিল- সাবেক স্বামী রফিক নাকি বন্ধু আরিফ। জানতে হলে পড়ে দেখুন আসাদ কাজলের গল্পটি।


♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣



আমাদের নাগরিক ব্যস্ত জীবনে শত সহস্রবার রাস্তায় শিশু হকারদের দেখি। ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে গেলেই আমাদের আশেপাশে আবিষ্কার করি এই হকারদের। কেউ হয়ত ফুল বিক্রি করছে, কেউবা খাবার আবার কেউবা গৃহস্থালির টুকিটাকি জিনিস। ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে ছাড়া পেলেই তারা হারিয়ে যায় আমাদের জীবন থেকে। এই শিশু কিংবা তাদের পরিবার নিয়ে আমাদের ভাববার সময়টা কোথায়? এই ধরনের শিশু আর তাদের পরিবারের করুণ চিত্রই ফুটে উঠেছে ব্লগার আরজু মুন জারিন এর লেখা জীবন যেখানে যেমন ছোট গল্পে। রহিম, তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী এবং তাদের তিনটি মেয়ের জীবনের গল্প লিখেছেন লেখক। রহিম তার আয় দিয়ে সংসারের সবার খাবার ঠিকমত জোগাড় করতে না পারায় তার মেয়েদের রাস্তায় দাড়িয়ে ফুল বিক্রি করতে হয়। ছেলে সন্তান জন্ম না দিতে পারায় আব্দুর রহিমের স্ত্রীর প্রতি দুর্ব্যবহার, আবার পরক্ষনেই স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতি মায়া প্রদর্শন, স্ত্রীর স্বামীর প্রতি অগাধ ভালবাসা সব মিলিয়ে গল্পের প্রতিটি চরিত্রের বিচরণ এতটুকুও আরোপিত মনে হয় নি। গল্পের শেষ দিকে রহিমের অসাবধানতায় ধান ভাঙ্গার মেশিনে রহিমের হাত কাঁটা যাওয়ায় তাদের পরিবারে নেমে আসে আরো কষ্টের ছায়া। মাঝে কেটে যায় তিনটি বছর। রহিমের বড় মেয়ে পারুল এখন শুধু ফুল বিক্রি করেই সংসার চালাতে পারে না তাকে তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ সম্ভ্রমটুকুও বিক্রি করতে হয় নিষ্ঠুর সমাজের কাছে। রহিমের সংসারের কষ্টগুলোকে বুঝতে হলে আপনাকে পড়ে দেখতে হবে আরজু মুন জারিন এর গল্পটা।



♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣


একবার কল্পনা করুন তো, আপনি আর আপনার প্রেয়সী নির্জনে কিছুটা সময় কাটাচ্ছেন। প্রেয়সীর সঙ্গে দোলনায় বসে দোল খাওয়া। মাথার উপরে টিনের চালে টুপটাপ বৃষ্টির ফোঁটার শব্দ। দোলনায় দোল খেলেই টিনের চাল পেরিয়ে খোলা আকাশটাকে দেখা। সাথে যদি দূর আকাশে জেগে থাকা চাঁদ থেকে জ্যোৎস্নার বর্ষণ হলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না। জ্যোৎস্নামাখা বৃষ্টির রঙ কিংবা বৃষ্টিস্নাত জ্যোৎস্না প্রিয়ার হাতে এঁকে দেয়া কতটা রোম্যান্টিক হতে পারে। হ্যা এই রকম একটা স্বপ্ন পূরণের কথাই গল্পে লিখেছেন ব্লগার টুতৃদগ তার অণুগল্প : বৃষ্টি এবং আমি ! গল্পে। গল্পের ভাষায় যেমনটা বলেছেন -
সেদিন বারান্দায় উদাসী চোখে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরতে দেখেছিলাম তাকে। নাহ, বৃষ্টি নয় আমি শুধু তাকেই অপলক দেখছিলাম। সেদিনের বৃষ্টিটা কেমন যেনো হঠাত করেই শেষ হয়ে গেলো, শেষ হয়ে গেলো আমার তাকিয়ে থাকাও। সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় তার পাশাপাশি হাঁটছিলাম, কথাটা শেষমেষ বলেই ফেললাম তাকে "তোমার জোছনামাখা হাতে এসো বৃষ্টির রং লাগিয়ে দেই" !! অনেকটা সময় তাকিয়ে ছিলো সে আমার দিকে, এরপর বললো "যদি কোনদিন ঝুম বৃষ্টি হয় আমায় ডেকো, হাতে রং মেখেই তোমাকে ছুঁয়ে দিবো" ......

লেখকের অসাধারণ দৃশ্যবর্ণনা এবং চমৎকার শব্দ ব্যবহারে গল্পটা হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। পুরো গল্পটিতেই রোমান্টিকটার একটা আবহ ধরে রেখেছেন লেখক খুব সার্থক ভাবে। গল্পের শেষে এসে ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যেমনটা লিখেছেন -
সেই প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়ানো হাতটা আজও আমার ছোঁয়া হয়নি। অল্প কিছুদিনের মাঝেই জানলাম, টিনের উপর বৃষ্টির শব্দ তার খুব পছন্দের। এরপর থেকেই প্রজাপতি ছোঁয়ার প্ল্যান বানানো। দোলনার মাঝে বাতাস সেজে সে বৃষ্টি ছুঁয়ে যাবে আর সেই বৃষ্টির রং লাগানো হাতটা আমি কাছ টেনে নিবো।
গল্পটা নিয়ে শুধু এতটুকুই বলতে পারি গল্পটি পড়ার সময় নিজেকে ভালোবাসার কোন এক বিশাল সমুদ্রে আবিষ্কার করতে পারেন।


♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣



সামনের দিকে হেঁটে চলেছি বেশ অনেকটা সময় ধরে। সকাল হবার অপেক্ষা করতে করতে রাতটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মনে হচ্ছে। ভোরের দেখা পাওয়াটা একেবারেই অসম্ভব মনে হচ্ছে এই বর্তমানে দাড়িয়ে।

প্রচণ্ড ‪রক্তক্ষরণ‬ হচ্ছে। গরমের এই রাতেও শীত যেন জেঁকে বসেছে আমার জন্যে। এদিকটাতে কোন মানুষজন তো দূরে থাক একটা কুকুরকেও দেখা যাচ্ছে না। মানুষজন..... হাহ, তাহলে ঐগুলি কি ছিল? কোন পশুও তো এভাবে আক্রমণ করে রাস্তায় ছেড়ে দেয় না। হয় ভক্ষণ করে নয়তো ছিঁড়ে ছুড়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। তবে সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটা হচ্ছে ঐ গুলিরও মানুষের মত হাত-পা, নাক-মুখ, মাথা সব আছে। শুধু মনুষ্যত্বের বোধটা ওদের ভেতরে নেই।


মনুষ্যত্ব বিহীন মানুষের জন্য এভাবে ঘৃণা প্রদর্শন করেই গল্পটার শুরু। আচ্ছা, মানুষ কাকে বলে? মানব সম্প্রদায়ে জন্ম নেয়া যে কাউকেই কি মানুষ বলা যায়? যার দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চোখ আর দেখতে মানুষের মত হলেই কি তাকে মানুষ বলা যাবে? যার ভিতর মনুষ্যত্বের বোধ নেই তাকে কিভাবে মানুষ বলা যায়। আমাদের চারপাশে এই ধরনের মানুষরূপী অমানুষের বিচরণ। সে সকল অমানুষদের হিংস্র থাবায় রক্তাক্ত হতে হয় আমাদের বারংবার। ব্লগার অপ্রতীয়মান এর লেখা ছোট গল্প অন্ধকার শহরে একটা সকালের অপেক্ষাতে উঠে এসেছে সেই সব অমানুষদের কথা। গল্পে লেখক নিজেই নিজের এই ধরনের অমানুষদের বর্বর হামলার শিকারের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন সারা মাসের কষ্টার্জিত উপার্জন এবং এর পাশাপাশি হয়েছেন রক্তাক্ত। লেখকের প্রাঞ্জল লেখনীতে গল্পটাতে ফুটে উঠেছে চিরচেনা শহরের নির্মম বাস্তবতার বীভৎস রূপ। সব কিছুর পরও অপেক্ষা করেছেন অমানিশার অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন আলো নিয়ে আসা একটি ভোরের।


জুলাই মাসে নতুন আরো অনেক ব্লগারের ভালো লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকগুলো লেখা হয়ত আমার নজর এড়িয়ে গেছে। তবে যতটুকু পড়তে পেরেছি তারমধ্য থেকে ভালো লাগা পাঁচটি গল্প নিয়ে লিখলাম। আর সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি নতুন ব্লগারদের লেখাগুলো পড়ে দেখা এবং আলোচনা- সমালোচনায় অংশ নেয়ার জন্য।



**** পোস্টের শিরোনাম ব্লগার সকাল রয় এর পোস্টের শিরোনাম থেকে ধার করে নেয়া। ধন্যবাদ মামুন ভাইকে ভুলটা শুধরে দেয়ার জন্য। ব্লগার সকাল রয় ভাইয়ার কাছে কৃতজ্ঞ তার পোস্টের শিরোনাম ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার জন্য।

উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই। এবারের পোস্টে নতুনদের নিয়ে লেখার আইডিয়াটা জুলিয়ান দার কাছ থেকেই পাওয়া। তাই এই পোস্টটা শ্রদ্ধেয় জুলিয়ান দার নামেই উৎসর্গ করা হল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
৩৭টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×