নায়িকা নামধারী একটা মদখোর এবং চলচ্চিত্র পেশাকে ব্যাবহার করে পরিকল্পিতভাবে অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনাকারীর বিরুদ্ধে লেখার কারণে ব্লগের কয়েকজন কিছু না জেনে তাদের স্বভাব অনুযায়ী আমার বিরুদ্ধে নোংরা-নিকৃষ্ট ও মানহানিকর মন্তব্য করেছে।
এখন তো সারা দেশের মানুষ তাই বলছে, যেটা আমি প্রথমদিন অভিযোগ শোনার পরই বলেছিলাম।
এখন তাদের জবাব কি ?
তারা কি একটা শিয়ালের ডাক শুনে পাল্টা ডাক দেয়ার মতোই বুদ্ধিহীন ?
রানার ব্লগ নামে একটা নষ্ট প্রাণী গত ৫ মাস ধরে আমার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে নোংরা মন্তব্য করে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কিন্ত একটা পতিতার বিরুদ্ধে সত্য লেখায় আমাকে জেনারেল করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে গত ২৯/৪/২০২১ তারিখেও আরেকজন ব্লগার লিখেছিলেন, যেটা এখনও এখানে আছে।
কোনো সুস্থ মানুষ তদন্তের আগে না জেনে-শুনে কোনো অপরাধীর অভিযোগ শোনামাত্র এব্যাপারে কোনো কথা বলে না যদিনা সে অভিযোগকারীকে চেনে। কিন্ত এখানে এই নীচ নারীর ব্লগার নামধারী এতো ভক্ত আছে যে, তার নিকৃষ্ট মিথ্যা অভিযোগ শোনামাত্র সেটাকে সত্য মনে করে এবং এজন্য প্রকৃত সত্য প্রকাশকারীকে জঘণ্য ভাষায় আক্রমণ করতেও এদের বাধে না।
এদের চরিত্র আর আচরণের সাথে জঙ্গী-জেএমবি-জামাতিদের বিন্দুমাত্র পার্থ্যক্য নাই।
আমি এদের চিনি জন্যই সত্য ঘটনাগুলি বলেছিলাম যে, এরা প্রতিরাতে ধনী খদ্দের সংগ্রহের জন্য রাত ১২টার পর মদের দোকানগুলিতে যায়। এসব সত্যের ভিডিওচিত্র এখন সারাদেশের লোক দেখছে। বোট ক্লাবে পরীমণির মদ খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অথচ শত শত সাংবাদিক এবং পুলিশের সামনেও সে মদ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
কিন্ত একজন লেখকের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য করে যে মানসিকতার পরিচয় দেয়া হয়েছে, সেটার দ্বিতীয় কোনো দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে নাই।
আমি ২ দিন ধরে ব্লগে লেখালেখি করা কোনো বৈরাগী না।
ঠিক একইভাবে ১৯৯৪ সালের এপ্রিলেও আমি সেইসময়ের অন্যতম পাঠকপ্রিয় পত্রিকা সংবাদ-এ বিরাট নারী জাগরণের প্রতীক তসলিমার আসল চরিত্র প্রকাশ করে দেশের বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যাক্ত্বিদের অপ্রিয় হয়েছিলাম। কিন্ত তারাও কেউ এদের মতো জঘণ্য ভাষা ব্যব্হার করেননি।
পরে প্রমাণিত হয়েছে,যে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তসলিমা সম্পর্কে করা আমার মূল্যায়ণ কতোটা সত্য ছিলো।
২০০৩ সালে ক প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের সব তসলিমাভক্ত বুদ্ধিজীবিরাই আমার মতো তসলিমা বিরোধিতা শুরু করেছিলো।
সেই লেখাটা এখনও ২০০৯ সালে প্রকাশিত আমার লেখা বই সংবাদপত্রের পাতা থেকে’র ৪২ পাতায় আছে।
আমি জীবনের প্রথম লেখাটাই লিখেছিলাম নারী অধিকারে পক্ষে।
সবসময় বিয়ে-বিচ্ছেদ, সম্পত্তি, এবং সন্তানের উপর নারীর সমান অধিকারের জন্য লিখেছি।
মিডিয়ায় নারীদের পরিকল্পিতভাবে তাদের অসন্মানিত করা আর পেশাদার পতিতাবৃত্তি নিয়োজিত করাদের বিরুদ্ধে লিখে আর অপকর্মে সরাসরি বাধা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
আজ একটা পেশাদার টাকালোভী নারীর জন্য আমাকে এখানে অপমাণিত করা হয়েছে।
নারী স্বাধীনতা মানে কি?
নারী স্বাধীনতা মানে নারীর সন্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা।
অধিকার মানে কি মদ খাওয়া, পতিতাবৃত্তি কার আর মদের দোকানে মারামারি হলে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করার স্বাধীনতা ?
চলচ্চিত্র জগতকে ব্যবহার করে পতিতাবৃত্তি করার স্বাধীনতা ?
নিজের বাড়িতে মদ খাওয়া, মদের দোকান পরিচালনাসহ সব রকম অসামাজিক কার্যকলাপ করার পরও দেশের কোটি কোটি মানুষের সামনে কান্নাকাটি করে আরেকদল অপরাধীকে কারাগারে পাঠানোর স্বাধীনতা ????
এই উশৃংখল অপরাধীকে যারা সমর্থন করছে, তারা কি এটাই চায় যে তাদের ঘরের মেয়েরাও কি এভাবে রাত ১২টা-২টার সময় মদের দোকানে গিয়ে এভাবে মারামারির আর ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজাক ?
এরা কেনো কি উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার এই বিকৃত ব্যাখা দিচ্ছে?
এদের উদ্দেশ্য কি ?
তাদের গভীর রাতে মদের দোকানে এনে মদ খাইয়ে নিজের বিকৃত ইচ্ছা পূরণের জন্য?
যেসব পুরুষরা শুধু চেহারা আর শরীরের আকর্ষণে এবং যেসব নারীরা নির্বোধের মতো সস্তা আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনোকিছু যাচাই-বাছাই না করে একটা নষ্ট নারীর পদলেহন এবং তার অপরাধ ঢাকার জন্য নীতিবান এবং প্রকৃত নারী অধিকারে জন্য লড়াই করা লেখককে অসন্মানিত করে, তারা কি সুস্থ না সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকৃত- সে প্রশ্নের উত্তর সবার কাছে থেকে জানা যারা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৮