বিচারবিহীন হত্যাকান্ডকে না বলুন।
এইধরনের হত্যাকান্ড ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। বন্দুকযুদ্ধ হোক কিংবা গণপিঠুনি, কোনভাবেই এইসব হত্যাকান্ডকে জায়েজ করা যায় না। কোনধরনের বিচারিক কার্যক্রম ছাড়া একটা মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করা কোন গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। বাংলাদেশে রাতের আঁধারে বন্দুকযুদ্ধের নামে এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলছে, কিন্তু বুদ্ধিজীবিরা এসবের বিরোধীতায় কিছুই করছে না। এই অবস্থা নাগরিক জীবনে ভীতিময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, মানুষের জীবনের আর নিরাপত্তা নাই। কারও মনে হল, রাতের আঁধারে গুলি করে মেরে ফেলল। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি বদলাতে এখন জনসচেতনতাই একমাত্র উপায়।
আপনার এলাকার এমপি'কে জানান, আপনি এই বিচারবিহীন হত্যাকান্ড সমর্থন করেন না। সে আপনার দলের এমপি কিংবা মন্ত্রী হোক, আপনার মতামত জানানোর দায়িত্ব আপনারই। আজ পাশের বাড়ির দুষ্ট ছেলেকে মেরে ফেলেছে দেখে যদি আপনি চুপ থাকেন, কালকে আপনার বাড়ির শান্ত ছেলেটা হারিয়ে গেলে করার কিছুই থাকবে না।
সবশেষে, এই খবরটা পড়ে আসুন। ছাত্রলীগের দুই সদস্য বন্দুকযুদ্ধে নিহত। তবে কালেরকন্ঠ তাদেরকে "সন্ত্রাসী" নামে ডাকছে। অন্যদলের চ্যাংড়া পোলাপান সব জেলের মধ্যে আছে দেখে এখন নিজ দলের সোনার ছেলেরা রাতের আঁধারে মারা পড়ছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাল না। আপনার জন্যও ভাল না। আমার জন্যও ভাল না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫