©কাজী ফাতেমা ছবি
কী করে অল্প অল্প করে রিযিক ওঠে যায়,কাছে থেকে সে দেখেছি খুব
কী করে রুচি ওঠে যায় রিযিকের দানা হতে সে'ও দেখেছি,
কী করে বিতৃষ্ণা লেগে থাকে দু'চোখ জুড়ে,
কী করে বিষণ্ণতা ভর করে এসে চোখের পাতায় তা'ও দেখেছি!
অতঃপর তোমরাই বলো কীসের অহংকারে নুয়ে পড়ো জগত সংসারে
কোন সে মোহ আকড়ে ধরে থাকো বেঁচে,
আহা কী রঙবাহারী দিন তোমার আমার আমাদের,
ইয়া বড় বুকের পাটা, কত কিছু করার ক্ষমতা,
ক্ষমতার মোহহে অন্ধ হয়ে, অহংকারী হই নিমেষেই।
বয়সীর কাছে বসে দেখেছি, জিভের রুচি, কত কিছু খাওয়ার আবদার,
এক পেয়ালা চা সময়মত না হলে যে ঘর উঠতো মাথায়
একটু মিষ্টি, একটু কেক, এক দুই প্লেট ভাত...... ধীরে ধীরে
রুচি এক এক করে হারিয়ে যায়, না খাবো না বলেও অন্যখ আবদার;
চামড়ার ভাজে ভাজে দুঃসহ সময়ের কষাঘাত,
চোখে মাকড়শার জাল, ধুয়াশা আলোয় বয়সী ক্রমেই এক ঘরে।
অতঃপর না খাওয়ার দিন ডাকে তারে হাত বাড়িয়ে,
দিন দুনিয়ার খবর নেই আর, খাওয়ায় নেই রুচি
এক কাপ চায়ে ঠোঁট দেয়ার ক্ষমতাও যায় একদিন হারিয়ে,
চিবানোর শক্তি হারায় চাপা, দাঁতগুলো এলোমেলো,
কোনো একদিন নাকে সেঁটে দিতে হয় নল,
যে নল দিয়ে তরল খাবার দখল করতো উদর!
কী করে রিযিক ও্ঠে যায়, সে আমি দেখেছি খুব কাছে থেকে,
একদিন সব সম্পদ, সব আড়ম্বরতা, সব মোহ এখানে রেখে
তিনি চিরতরে বন্ধ করলেন চোখ।
তারপর বলো কীসের দম্ভ আমরা বুকে পুষে এগিয়ে যাই মোহের পিছু,
কিছুই না, নিঃশ্বাস ছেড়ে পালালেই সব মিথ্যে, সব ভূঁয়া,
কিছুই যায় না স ঙ্গে, কিছুই রয় না আপন হয়ে,
সফেদ কাপড়ে মোড়া শব, মাটির আচ্ছাদনে জড়িয়ে শুয়ে থাকা অনন্তকাল,
তবে চোখে কেনো এত রঙ, মনে কেনো এত মোহ,
কেনো এত অহংকার পুষি মন জমিনে!
(১০-০৭-২০২০)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১