পয়গম্বরদের কালে তখনও এসব মানসিক রোগ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু রোগটা ছিলো। অনেক জাতি-গোষ্ঠীতেই এরকম আচরণকে অশরীরি আত্মা ভর করা, আছর হওয়া হিসেবেই দেখতো। এখনও পৃথিবীর অনেক পিছিয়ে পড়া জনপদে সিজোফ্রেনিক লোকদের অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন লোক বলেই মানুষ মানে। (বাংলাদেশেও উদাহরণের অভাব হবে না।)
পয়গম্বরদের আচার-আচরণ বা জীবন ইতিহাস আমরা ধর্ম বিষয়ক গ্রন্থে পাই। তারা সিজোফ্রেনিক ছিলেন কি না বা থাকলে কতটা সিজোফ্রেনিক ছিলেন তা বুঝার জন্য আমাদের জানা দরকার সিজোফ্রেনিয়া অসুখটা কী?
একটা সাধারণ ধারণা আছে সিজোফ্রেনিয়া রোগে ভোগা লোকজনের দ্বৈত-ব্যক্তিত্ব (ডাবল বা স্প্লিট পার্সোনালিটি) রয়েছে। অর্থাৎ ভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ভিন্ন ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। তবে এ এখনও প্রমাণ-সাপেক্ষ বিষয়। অন্যদিকে, সিজোফ্রেনিয়ার মত মানসিক অবস্থাগুলোকে সাইকোসিস বলে। সাইকোসিস মানে হচ্ছে এতে আক্রানত্দ হলে মানুষের বাসত্দব-অবাসত্দব জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পায়। তবে ঐ ব্যক্তি যে সবসময় অবাসত্দব কথাবার্তা বলবে বা আচরণ করবে এমন নয়, তার ঐ সাইকোসিস অল্প কিছু সময়ের জন্যও হতে পারে। বাকী সময় সে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে।
একটি মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রানত্দ কি না তা নীচের লক্ষণগুলো দেখে বুঝা যায়। সবার মধ্যেই একসাথে সব ক'টি লক্ষণ থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আক্রানত্দ হওয়ার মাত্রার উপর নির্ভর করবে কয়টি লক্ষণ বা লক্ষণের প্রাবল্য।
(পরবর্তী অংশের জন্য 6 খ পোস্ট পড়ুন।)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০