বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-
জাতির পিতা জেলে থাকাকালিন সময়ে তিনি দলের নেতাদের দিকনির্দেশনা দিতেন (জেল থেকে জাতির পিতা যে নির্দেশনা দিতেন সে মোতাবেক) – ছাত্র লিগ নেতাদের সন্তান স্নেহে দিক নির্দেশনা দিতেন – নিজের সোনার অলংকার বিক্রি করে নেতা কর্মিদের সাহায্য করেছেন- ছাত্র লিগ অফিসের বকেয়া ভাড়া জুগিয়েছেন অ্যামোন নজিরও আছে - আওয়ামি লিগের নেতা কর্মিদের সকলের পরিবারের খোজ খবর রাখতেন ও দেখভাল করতেন – জাতির পিতার মামলা পরিচালনা করা – উকিলের কাছে যাওয়া, কোর্টে হাজিরা দেয়া – শত সহস্র প্রতিকুলতায় তিনি কখনো জাতির পিতাকে রাজনিতি থেকে সরে আসতে বলেননি – বরং উৎসাহ জুগিয়েছেন - তিনি লিখেছেন জাতির পিতাকে, আপনি শুধু আমার স্বামি হবার জন্যে জন্মাননি- দেশেরমকাজ করার জন্যে জন্মেছেন- দেশের কাজ আপনার সব চাইতে বড়ো কাজ- আপনি নিশ্চিন্ত মনে সেই কাজ করে যান- আল্লাহর ওপর আমার ভার ছেড়ে দিন – সকল নেতা যখন ০৬ দফা না ০৮ দফা দ্বিধা দন্ধে ভুগছিলেন – তখোন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব দৃঢ় চিত্তে ০৬ দফার প্রশ্নে অনড় থাকেন – সকলে যখোন প্যারোলে মুক্তির কথা বলেন - বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব তখোন প্যারোলে মুক্তির বিরোধিতা করেন – নিজে স্বামি হারা হবেন- বিধবা হবেন – সন্তানরা এতিম হবেন – এ সব ভয়ও তাকে দেখানো হোয়েছে - কিন্তু বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্যারোলে মুক্তির বিরুদ্ধে অনড় ছিলেন -
কিন্তু আমার বিবেচনায় বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সব চেয়ে বড়ো কির্তি বা বড়ো কৃতিত্ব, তিনি জাতির পিতাকে জেলে নিয়মিত খাতা কিনে দিয়ে তাতে জাতির পিতার জিবনের কর্মকান্ড লিখতে তাগিদ দিয়ে, জাতিকে ও বিশ্ব পাঠককুলকে (০১) অসমাপ্ত আত্মজিবনি (০২) কারাগারের রোজনামচা (০৩) আমার দেখা নয়া চিন – বই তিনটি পড়ার সুযোগ করে দিয়েছন – এই বই তিনটি জাতির পিতাকে বিশ্ব পাঠককুলের কাছে নতুন ভাবে নতুন পরিচয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন- যে, জাতির পিতা অসাধারণ সাহিত্যগুন সমৃদ্ধ অ্যাকজন লেখক – বই তিনটিতে জাতি ও দেশ বিদেশের পাঠকগণ জাতির পিতাকে অধিকতর জানার সুযোগ পেলো – এর সম্পুর্ণ কৃতিত্ব বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বলে আমি মনেকরি-
বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব (৮ আগস্ট ১৯৩০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর স্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে তার স্বামী, তিন পুত্র এবং দুই পুত্রবধূর সাথে হত্যা করা হয়।
তিনি ১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার ডাকনাম ছিল রেনু। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মারা যান। তিনি তার স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো বোন ছিলেন। শেখ মুজিবের বয়স যখন ১৩ ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার বয়স যখন মাত্র তিন, তখন পরিবারের বড়রা তাদের বিয়ে ঠিক করেন।[৩] ১৯৩৮ সালে বিয়ে হবার সময় রেনুর বয়স ছিল ৮ বছর ও শেখ মুজিবের ১৮ বছর।[৪] পরে এই দম্পতির দুই কন্যা ও তিন ছেলে হয়। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেসা পরিবারের অন্য সদস্যদের (শেখ হাসিনা, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল, এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং অন্যান্য) সাথে মগবাজার অথবা কাছাকাছি কোনো এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেনে ১২ মে ১৯৭১ এবং ধানমন্ডির বাড়ি ২৬, সড়ক ৯ এ (পুরনো ১৮) তে বন্দি অবস্থায় ছিলেন ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত –
তার স্মরণে বঙ্গবন্ধু মেমরিয়াল ট্রাস্ট মালয়েশীয় হাসপাতাল কেপিজে এর সাথে একত্রিত হয়ে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে।[৭] হাসপাতালটি প্রবর্তিত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক।[৮]
- বিশ্ববিদ্যালয় ও হল নামকরণ -
• শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি, জামালপুর
• সরকারি শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল
• শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রাবাস, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।[৯]
• বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রী হল), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
• বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রী হল), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
• শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল,(ছাত্রী হল), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।[১০]
• বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
• বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রী হল) , খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
• বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,ত্রিশাল,ময়মনসিংহ।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




