সেইতো এলে! কিন্তু বড্ড দেরি করে।
আমার জৌলুশে এখন নিস্তব্ধরা পায়চারী করে।
পিচ ঢালা চকচকে পথগুলো এখন এবড়ো-থেবড়ো ধুষর প্রান্তর।
রঙিন স্বপ্নগুলো মরচে ধরে ক্ষয়ে গেছে, ঝরা পাতার মত।
তুমি এলে বটে! কিন্তু বড্ড দেরি করে।
পাইলটের সবুজ মাঠ, ইটের তলায় পিষ্ট হয়ে বিবর্ন এক বিরান ভূমী।
সবুজ ঘাসেরা সারা রাত অপেক্ষায় থাকতো সোনালী ভোরের,
শান্ত, শীতল তোমার কোমল পায়ের স্পর্শের জন্য।
তোমার পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে নতুন প্রান পেতো ওরা,
আনন্দে ঢেউ উঠতো প্রতি কোষে, শিরায়-উপশিরায়।
কারো পায়ের তলায় পিষ্ট হওয়াটাও যে কাঙ্খিত হতে পারে এটা জানা ছিলোনা আমার।
বারান্দায় দাড়িয়ে আমি ও অপক্ষোয় থাকতাম নীরব দর্শক হয়ে।
নাকি ভেতরে-ভেতরে আমিও চাইতাম তোমার পদতলে দলিত, মথিত, পিষ্ট হতে , কে জানে্ ।
তুমি এলে বটে! কিন্তু ততদিনে আমার সক্ষমতাগুলোকে -
নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেছি রাগে, দুঃখে, অভিমানে।
তুমি আমার আকাশটাকে চেয়েছো, জ্যোৎস্না মাখা আকাশ।
আমিতো আমার পুরো অস্তিত্বকেই দু-হাতে উজাড় করে দিতে বসেছিলাম তোমার জন্য।
কোন নিতে এলেনা তুমি?
সেই তুমি এলে! কিন্তু বড্ড দেরি করে।
তুমি চাও আমি কবিতা লিখি।
কিন্তু আমিতো কবি হতে চাইনি কখনো।
আমি আগাগোড়া চেয়েছিলাম প্রেমিক হতে।
একেবারে পাগল প্রেমিক।
বৃষ্টি ভেজা বিকেলে তোমাকে সাথে নিয়ে টুপ-টাপ শব্দে-
মোহিত হেতে, দুজনে ভিজতে, একাকার হতে।
চেয়েচিলাম পুরো বসন্তটাকে তোমার কোকড়া চুলের ভাজে গুজে দিতে।
একটা ছেট্ট পৃথীবির স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমাকে নিয়ে।
যেখানে শুধু তুমি আর আমি, আর আমাদের স্বপ্নেরা খেলা করবে আমাদের ঘিরে।
তুমি এলে ঠিকই! কিন্তু বড্ড দেরি করে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



