সেদিন আবাসন মেলায় গিয়েছিলাম৷ বাড়ি কেনার চাইতে এই ব্যাপারে খোজখবর নিতেই আগ্রহ ছিল বেশি৷ মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির স্টল ছিল৷ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে মাঝারি সাইজের প্রতিষ্ঠানও মেলায় স্টল দিয়ে গ্রাহককে আকৃষ্ঠ করতে সচেষ্ঠ ছিল৷ বাড়ি কেনার ব্যাপারে আমার অভিগ্গতা কম আর আগ্রহ তেমন নাই৷ তাই অভিগ্গতার অভাবে যতটুকু পারি জানতে চেস্টা করছিলাম৷ মুলত আমার মনে হয়েছে দুই ভাবে বাড়ি কেনা যায়৷ এক হচ্ছে ব্যান্ক থেকে ঋন নিয়ে আর আরেকটা হল নগদ দিয়ে৷ যারা নগদ দিয়ে কেনে তারা সম্ভবত এককালিন একটা টাকা দেয় তারপর বাকি টাকাটা কিস্তির মাধ্যমে ২ বছরের মধ্যে শোধ করে৷ আর ব্যান্ক থেকে ঋন নিতে চাইলে অনেককিছু বিবেচনার পর ঋন আনুমোদন হলে তারপর কেনা যাবে৷ এছারা বাড়ি সম্ভবত দুই ধরনের৷ এক হচ্ছে যেগুলি ১-২ বছরের মধ্যে হ্যান্ডওভার মানে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে আর অন্যগুলি যেগুলি রেডি এপার্টমেন্ট মানে কয়েকমাসের মধ্যে বাড়িতে ওঠা যাবে৷ যেগুলি প্রায় প্রস্তুত সেগুলির দাম অপেক্ষাকৃত বেশি৷ আর যেগুলি পরে হ্যান্ডওভার হবে যদিও সেগুলির দাম অপেক্ষাকৃত কম (?) কিন্তু সেগুলি আদৌ হাতে আসবে কিনা সেই ব্যাপারে একটা সন্দেহ থেকে যায়৷ সেক্ষেত্রে পুরা টাকা মার যাবার একটা ঝুকি থেকে যায়৷ সেখানে কোম্পানিটা প্রতারক কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷ তার দায়িত্ব কি সরকারের নাকি গ্রাহকের? এছাড়া বাড়ি ছাড়া অনেকে ইচ্ছা করলে জমিও কিনতে পারেন৷ তাহলে সেখানে বাড়ি তৈরি করতে হবে এবং সেটা কত খরচসাপেক্ষ তা আলোচনা সাপেক্ষ৷৷ পাঠকেরা যারা এই আবাসনের ব্যাপারে অভিগ্গ অর্থাত্ বাড়ি কেনাবেচার বেপারে অভিগ্গতা আছে তারা সেগুলি এখানে শেয়ার করতে পারেন৷ আমার মনে হয় এতে পাঠকেরা উপকৃত হবেন৷ এই ব্যাপারে সরকারেরও ভুমিকা আছে৷ যেমন সরকার এখন যে ৯% ঋনের সুজোগ দিয়েছে তা মাত্র ১ হাজার স্কয়ার ফিট এপার্টমেন্ট কেনার জন্য তা আমার মনে হয় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ছোট৷ অন্তত ১৫শ স্কয়ার ফিট হলে মানুষ আরো আগ্রহ প্রকাশ করত৷
বাসস্থান
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সেদিন আবাসন মেলায় গিয়েছিলাম৷ বাড়ি কেনার চাইতে এই ব্যাপারে খোজখবর নিতেই আগ্রহ ছিল বেশি৷ মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির স্টল ছিল৷ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে মাঝারি সাইজের প্রতিষ্ঠানও মেলায় স্টল দিয়ে গ্রাহককে আকৃষ্ঠ করতে সচেষ্ঠ ছিল৷ বাড়ি কেনার ব্যাপারে আমার অভিগ্গতা কম আর আগ্রহ তেমন নাই৷ তাই অভিগ্গতার অভাবে যতটুকু পারি জানতে চেস্টা করছিলাম৷ মুলত আমার মনে হয়েছে দুই ভাবে বাড়ি কেনা যায়৷ এক হচ্ছে ব্যান্ক থেকে ঋন নিয়ে আর আরেকটা হল নগদ দিয়ে৷ যারা নগদ দিয়ে কেনে তারা সম্ভবত এককালিন একটা টাকা দেয় তারপর বাকি টাকাটা কিস্তির মাধ্যমে ২ বছরের মধ্যে শোধ করে৷ আর ব্যান্ক থেকে ঋন নিতে চাইলে অনেককিছু বিবেচনার পর ঋন আনুমোদন হলে তারপর কেনা যাবে৷ এছারা বাড়ি সম্ভবত দুই ধরনের৷ এক হচ্ছে যেগুলি ১-২ বছরের মধ্যে হ্যান্ডওভার মানে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে আর অন্যগুলি যেগুলি রেডি এপার্টমেন্ট মানে কয়েকমাসের মধ্যে বাড়িতে ওঠা যাবে৷ যেগুলি প্রায় প্রস্তুত সেগুলির দাম অপেক্ষাকৃত বেশি৷ আর যেগুলি পরে হ্যান্ডওভার হবে যদিও সেগুলির দাম অপেক্ষাকৃত কম (?) কিন্তু সেগুলি আদৌ হাতে আসবে কিনা সেই ব্যাপারে একটা সন্দেহ থেকে যায়৷ সেক্ষেত্রে পুরা টাকা মার যাবার একটা ঝুকি থেকে যায়৷ সেখানে কোম্পানিটা প্রতারক কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷ তার দায়িত্ব কি সরকারের নাকি গ্রাহকের? এছাড়া বাড়ি ছাড়া অনেকে ইচ্ছা করলে জমিও কিনতে পারেন৷ তাহলে সেখানে বাড়ি তৈরি করতে হবে এবং সেটা কত খরচসাপেক্ষ তা আলোচনা সাপেক্ষ৷৷ পাঠকেরা যারা এই আবাসনের ব্যাপারে অভিগ্গ অর্থাত্ বাড়ি কেনাবেচার বেপারে অভিগ্গতা আছে তারা সেগুলি এখানে শেয়ার করতে পারেন৷ আমার মনে হয় এতে পাঠকেরা উপকৃত হবেন৷ এই ব্যাপারে সরকারেরও ভুমিকা আছে৷ যেমন সরকার এখন যে ৯% ঋনের সুজোগ দিয়েছে তা মাত্র ১ হাজার স্কয়ার ফিট এপার্টমেন্ট কেনার জন্য তা আমার মনে হয় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ছোট৷ অন্তত ১৫শ স্কয়ার ফিট হলে মানুষ আরো আগ্রহ প্রকাশ করত৷
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।