বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন সনদ বিক্রির দোকান হলো
নীতিকথা তখন সিনজি অটোরিক্সার পেছনে লেখা।
লাইব্রেরিতে বসে চাকরির বাজার ধরতে আগ্রহী তরুণ, আর
সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্র হয়ে উঠলো পাবলিক টয়লেটের দেয়াল।
নদী-নালা-খাল-বিলে কালো কালো জল মনে করিয়ে দেয়
আমরা মাছে ভাতে বাঙালী।
জিপিএ যখন মেধা মাপার দাড়িপাল্লা বনে গেল
কোটার কবলে পরে ট্রেনে ট্রেনে কোলাকুলি করে উল্লাসে, আর
টিভি সেটের সামনে বসে তদন্ত কমিটির দুইশত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দেখে
হাততালি দেই উন্নয়ন বলে।
পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান যখন খবরের কাগজে শিরোনাম হয়
নতুন করে পাতাল রেল বসানোর বিল পাস করে একনেক
আমলাদের ফেরির অপেক্ষায় লাশ হতে হয় এম্বুলেন্সে
পেঁয়াজও তখন বিক্রি হয় হালি ধরে, তাই
লজ্জায় ডিমগুলো মুরগির পেটেই থেকে যেতে চায়।
এমন সময় আমি হুজুগে বাঙালি উপাধি পাই
একশত টাকা ধরে লবন কেনার দায়ে।
সবকিছু এমন উল্টে কেন গেল একশত আশি ডিগ্রি এঙ্গেলে?
যে কবিতা ছিলো কুমারের হাতে মৃৎশিল্পের মত
যে কবিতায় নকশিকাঁথার মতো কারুকার্য শোভা পেত
মায়ের হাতে পিঠাপুলির মতো যার আকর্ষণ ছিল
যে কবিতায় বিদ্রোহ ঝরে ঝরে পড়তো
জেলে দেয়া হতো কবিদের
যে কবিতায় মাতৃভাষা এসেছে, এসেছে স্বাধীনতা
কোথা গেল সেই কবিতা?
কোথায় এর স্রষ্টারা!
কবিতা কেন আজ মানসিক রোগীর হাতে কাশের সিরাপ?
তবুও আশায় বুকবাঁধি......
জিইয়ে রাখি বেঁচে থাকার স্বপ্নটাকে।
স্বপ্নে দেখা সোনার বাংলা পাবার আশায় বেঁচে থাকি।।
ছবিঋণ: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭