আজ বহু বছর যাবত পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়ে দেশের অভ্যান্তরে ও বহির্বিশ্বে বেশ আলোচনা চলছে। বহুজনের নানা মত থাকলেও এটা সুস্পষ্ট যে একটি সাম্রাজ্যবাদী কুচক্রী মহল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে হুমকির সম্মখীন করার জন্য এদেশীয় দোসরদের নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল বিষয়ে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এদেশের মুক্তি কামী জনতার পক্ষে যারা নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন এবং এখনো যারা বাংলাদেশের অখন্ডতা রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন তাদের অনেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সুস্পষ্টভাবে ভবিষ্যদ্যানী করে গেছেন। নড. ফেরদৌস আহমদ কোরাইশী অন্যতম লেখক হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলের উপর গবেষণা ধর্মী আলোচনা করে এর ভবিষ্যৎ কোন পথে যাচ্ছে তার একটি সুস্পষ্ট ধারণা দেন। জেনারেল ইব্রাহিম ও বিরাট ভূমিকা পালন করেন এই অঞ্চল সম্পর্কে সত্য উদ্ঘাটনের বিষয়ে। ব্রিটিশ আমলে খ্রিষ্টানরা এ অঞ্চলে মানুষদের খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার স্বার্থে চোখে পরার মতো তেমন কোন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষদের যেভাবে হোক ধর্মান্তিরিত করতে হবে এবং এই কাজটি মূর্খ মানুষদের সহযে করা সম্ভব। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্বকালীন সময় পর্যন্ত এই কাজে যথেষ্ট সফলতা লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন বিভিন্ন সরকার পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য যখন এর উপর নজরধারী শুরু করল তখন তাদের এই কুচক্রান্তে একটু ভাটা পরে গেল। কিন্তু তারা দমে যায়নি , অন্য উপায়ে নতুন চক্রান্ত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা এই অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা সহ একটি নব্য খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বিশেষভাবে দক্ষিন এশিয়ার উপর সাম্রাজ্যবাদীদের নজরধারী বাড়াতে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। একটা পর্যায়ে যখন তারা কিছু উগ্রপন্থী পাহাড়ী উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের নিজেদের দলে ভেড়াতে সক্ষম হল তখন তারা তাদের পরিকল্পনায় একটু পরিবর্তন আনয়ন করে এই অঞ্চলের উপজাতিদের সহায়তার নামে চক্রান্ত ও কার্যক্রম চালাতে লাগল। অথচ এই অঞ্চলের উপজাতিরা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তের মানুষের চেয়ে খুব স্বাবলম্বী জীবন যাপন করে। তারা উপজাতীয়দের দেশে ও বিদেশে শিক্ষা দীক্ষার সুযোগ প্রাদানসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা দেওয়ার মাধ্যমে ক্রমন্নায়ে তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি অসত্য খবর প্রচার করতে লাগল পার্বত্য অঞ্চল ও এর অধিবাসী এমনকি বাংলাদেশের নামেও। তারা বিভিন্ন অসত্য প্রাচার করে যখন তাদের কার্য হাসিল করতেচেষ্টা করল ঠিক তখনই বাধ সাধল পার্বত্য অঞ্চলের কিছু উদীয়মান বিপ্লবী দেশপ্রেমিক তরুন যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। তাদের অনেকেই পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলকাস আল মামুনসহ অন্যান্য সংগঠকদের চিন্তার সাথে নিজেদের চিন্তার সমন্নয় সাধন করেন। পূর্ববর্তী দেশপ্রেমিক বাঙালি বিপ্লবী নেতাদের পথ অনুষরণ করে বর্তমান সময়ে উদীয়মান অনেক তরুন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসেন বাংলাদেশের এক দশমাংশ, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষা ও অসহায় নির্যাতিত বাঙালিদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। আবদুল্লাহ আল মামুন হল এই উদীয়মান তরুন বিপ্লবী ছাত্র নেতাদের একজন যিনি অবারিত ভাবে লিখে ও বলে যাচ্ছেন পার্বত্য অঞ্চলের গরীব অসহায় এই নির্যাতিত বাঙালি সম্প্রদায়ের জন্য। (পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র ফোরাম-CHITTAGONG HILL TRACTS BENGALI STUDENT FORUM) নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে তিনি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্লগে তার অনেক লেখা ও বিভিন্ন লেখক ও পত্রিকার সংবাদের শেয়ারিং দেখতে পাই। আবদুল্লাহ আল মামুনের স্বপ্ন ও তার সবচাইতে আলোরিত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল তিনি বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ত সকল শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে পার্বত্য অঞ্চলের সকল শিক্ষার্থী ও নিরপেক্ষ উদারনৈতিক চিন্তার বুদ্ধিজীবিদের মাঝে পার্বত্য অঞ্চলের ঘটমান ঘটনার সত্য উপাস্থাপন করবেন এবং একটি বৃহৎ গোষ্ঠী তৈরি করবেন যারা বাংলাদেশের যে কোন নাজুক পরিস্থিতিতে একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবেন। এরি মধ্যে তিনি ও তার বন্ধুরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যুতে এদেশের মুক্তিকামী তরুন বিপ্লবী, মেহনতী মানুষ এবং সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।
পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এই কুচক্রান্ত রুখতে হলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল মানুষতো থাকবেই অন্যান্য অঞ্চলের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের নিযে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংগঠিত হয়ে ভবিষ্যতের পথে হাটতে হবে। তবেই পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং বর্তমানে যারা এই আন্দোলনে রাজপথে থেকে সংগ্রাম পরিচালনা করছেন তাদের সকলের সফল দীর্ঘায়ু কামনা করছি।