somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

* নিয়তির বেড়াজাল * ( প্রায় ১০ বছর আগে শুরু হওয়া একটি সত্য কাহিনী নিয়ে ধারাবাহিক গল্প ) পর্ব - ০২

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পোস্ট এর পর থেকে .....

বেলায় বেলায় বের হয় ওরা বাড়ি থেকে ..
যাবার সময় বড় মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেন মা । আর তা দেখে ছোট মেয়েটা বলে ....

তাহমিনা : মা আমার মাথায় ও হাত বুলিয়ে দোয়া করে দাও !!
ওর মা হাসতে হাসতে মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে বলেন ....
মা : দোয়া করে দিলাম .. সাবধানে যাবি ,, আর ওখানে গিয়ে ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি কম করবি ।
মায়ের কথা মেনে চলবে এমন আশ্বাস দিয়ে তারপর ওরা রওনা হয় ওর বড় বোনের শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে ....

সন্ধ্যার আগেই পৌছে যায় ওরা । তারপর তাহমিনা গিয়ে ওর আপুর শশুর শাশুড়ির সাথে গিয়ে আলাপ করে ......
তখন ওর আপুর শাশুড়ী বলেন .....
আপুর শাশুড়ী : কেমন আছো মা ? তোমার বাবা মা ভাল আছেন ? অনেক দিন পরে এলে আমাদের বাড়িতে । বিয়ের সময় সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে ।
তাহমিনা : জি ভাল বাড়িতে সবাই ভাল আছে । আমিও ভাল আছি । ভাল না থাকলে কি আপনাদের বাড়ি আসতাম ।
স্বভাবসুলভ ভাবেই কথা গুলো বলে সে ।

আপুর শশুর : তা, এবার কোন ক্লাসে পড় মা ?
তাহমিনা : আমি এবার ক্লাস সিক্স এ উঠবো । ক্লাস ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই তো আপনাদের বাড়ি আসলাম ।

কথা গুলো বলতে বলতেই ওর আপু এসে তার শশুর-শাশুড়ির সাথে আলাপ করে ছোট বোনটিকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো ..
তারপর ফ্রেস হয়ে জার্নি করে আসা পোশাক ছেড়ে নতুন পোশাক পরে নিলো ওরা ।
এমন সময় ওর বড় আপুর ভাসুরের মেয়ে নুপুর এসে উপস্থিত ওখানে । তাহমিনার চেয়ে বছর দুই/তিন বড় হবে । পড়ে ক্লাস সেভেন এ..
নুপুর : কেমন আছেন ছোট মা ??? এইটা আপনার সেই ছোট বোন তাই না !! অনেক বড় হয়ে গেছে ।
বড় আপু : ভাল আছি ..। তোরা কেমন আছিস ?? আর এত দিন পরে দেখেও তুই ওকে চিনে ফেললি ?? তোর তো বিরাট ব্রেন !!! :)
ওদের কথা শুনে তাহমিনা বলে উঠলো,,,,
তাহমিনা : নুপুর আন্টি আমি ও কিন্তু তোমাকে চিনে ফেলেছি এক বারেই :) । তুমি সেই আগের মতই আছো .। শুধু একটু লম্বা হয়েছো ,, চেহারা আগে যেমন দেখেছিলাম তেমনই ।
নুপুর : তাহমিনা চলো আমার ঘরে গিয়ে গল্প করি .।
এই বলে তাহমিনা কে নিয়ে নুপুর ওর ঘরের দিকে যাবার জন্য পা বাড়ায় । এমন সময় তাহমিনার আপু বলে ,,
বড় আপু : পুর রাতেও ও তোর কাছেই থাকবে ।
নুপুর : আচ্ছা ঠিক আছে ছোট মা ।

রাতের খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করে তাহমিনার বড় আপু তাকে ও নুপুর কে ডেকে নিয়ে আসে খাওয়ার জন্য..। খেতে বসেও অনেক গল্প হয় হাসাহাসি হয় । তারপর খাওয়া শেষ করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নুপুর ও তাহমিনা দুজন একসাথে চলে যায় নুপুর এর ঘরে ।

ওরা দুজন নিজেদের নানা বিষয় নিয়ে গল্প করে । তারপর দুজনই এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে ।

সকালে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে নুপুরের সাথে তাহমিনা যায় পাশের চেয়ারম্যান বাড়িতে নুপুরের বান্ধবীর সাথে দেখা করতে । ঐ বাড়ির বড় ছেলে মিলন । ২০ বছর পার হয়ে গেছে তবু এস.এস.সি পরীক্ষার বেড়া পার হতে পারে নি । গ্রামের ভাষায় যাকে বলে আন্ডার ম্যাট্রিক পাশ । কাজ কর্ম নেই ,,
সারা দিন টো টো করে ঘুরে বেড়ায় । তাই বাবা মার ইচ্ছা ওকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া । তবে আচার ব্যাবহার বেশ ভালো ।

ছোট বোনের বান্ধবী নুপুরের সাথে নুপুরের সাথে নতুন একটি মেয়ে দেখে জিজ্ঞাসা করে ..
মিলন : নুপুর কে রে ঐ টা ??
নুপুর : আমার ছোট মার ছোট বোন ।
মিলন : কোন ক্লাসে পড়ে ??
নুপুর : ক্লাস সিক্সে উঠবে ।
এইসব কথা জিজ্ঞাসা করতে করতে তাহমিনার দিকে বারবার তাকায় মিলন । তাহমিনা সেটা লক্ষ্য করে এবং একটু বিরক্তও হয় সে । ওখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাবার জন্য নুপুর কে বলে ...
তাহমিনা : আন্টি তাড়াতাড়ি বাড়ি চলো ,,, আপু কে বলে আসিনি , চিন্তা করবেনে ...
নুপুর : আচ্ছা চলো যাচ্ছি.।

এবার নুপুর ওর বান্ধবী রুবী কে বলে
নুপুর : রুবী একটু পরে আমাদের বাড়িতে আসবি একটা কাজ আছে ..
রুবী : আচ্ছা তোরা বস । একসাথে যাবোনে ।
নুপুর : না রে এখন বসছি না । ছোট মা কে বলে আসিনি তো ...পরে আবার আসবনে ।
তারপর কিছুক্ষন পরেই ওরা ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে ,, আসার সময় তাহমিনা একবার আড় চোখে লক্ষ্য করে ঐ ছেলেটি এখনও তাকিয়ে আছে ওদের দিকে....


( চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×