গত পোস্ট এর পর থেকে .....
বেলায় বেলায় বের হয় ওরা বাড়ি থেকে ..
যাবার সময় বড় মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেন মা । আর তা দেখে ছোট মেয়েটা বলে ....
তাহমিনা : মা আমার মাথায় ও হাত বুলিয়ে দোয়া করে দাও !!
ওর মা হাসতে হাসতে মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে বলেন ....
মা : দোয়া করে দিলাম .. সাবধানে যাবি ,, আর ওখানে গিয়ে ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি কম করবি ।
মায়ের কথা মেনে চলবে এমন আশ্বাস দিয়ে তারপর ওরা রওনা হয় ওর বড় বোনের শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে ....
সন্ধ্যার আগেই পৌছে যায় ওরা । তারপর তাহমিনা গিয়ে ওর আপুর শশুর শাশুড়ির সাথে গিয়ে আলাপ করে ......
তখন ওর আপুর শাশুড়ী বলেন .....
আপুর শাশুড়ী : কেমন আছো মা ? তোমার বাবা মা ভাল আছেন ? অনেক দিন পরে এলে আমাদের বাড়িতে । বিয়ের সময় সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে ।
তাহমিনা : জি ভাল বাড়িতে সবাই ভাল আছে । আমিও ভাল আছি । ভাল না থাকলে কি আপনাদের বাড়ি আসতাম ।
স্বভাবসুলভ ভাবেই কথা গুলো বলে সে ।
আপুর শশুর : তা, এবার কোন ক্লাসে পড় মা ?
তাহমিনা : আমি এবার ক্লাস সিক্স এ উঠবো । ক্লাস ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই তো আপনাদের বাড়ি আসলাম ।
কথা গুলো বলতে বলতেই ওর আপু এসে তার শশুর-শাশুড়ির সাথে আলাপ করে ছোট বোনটিকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো ..
তারপর ফ্রেস হয়ে জার্নি করে আসা পোশাক ছেড়ে নতুন পোশাক পরে নিলো ওরা ।
এমন সময় ওর বড় আপুর ভাসুরের মেয়ে নুপুর এসে উপস্থিত ওখানে । তাহমিনার চেয়ে বছর দুই/তিন বড় হবে । পড়ে ক্লাস সেভেন এ..
নুপুর : কেমন আছেন ছোট মা ??? এইটা আপনার সেই ছোট বোন তাই না !! অনেক বড় হয়ে গেছে ।
বড় আপু : ভাল আছি ..। তোরা কেমন আছিস ?? আর এত দিন পরে দেখেও তুই ওকে চিনে ফেললি ?? তোর তো বিরাট ব্রেন !!!
ওদের কথা শুনে তাহমিনা বলে উঠলো,,,,
তাহমিনা : নুপুর আন্টি আমি ও কিন্তু তোমাকে চিনে ফেলেছি এক বারেই
নুপুর : তাহমিনা চলো আমার ঘরে গিয়ে গল্প করি .।
এই বলে তাহমিনা কে নিয়ে নুপুর ওর ঘরের দিকে যাবার জন্য পা বাড়ায় । এমন সময় তাহমিনার আপু বলে ,,
বড় আপু : পুর রাতেও ও তোর কাছেই থাকবে ।
নুপুর : আচ্ছা ঠিক আছে ছোট মা ।
রাতের খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করে তাহমিনার বড় আপু তাকে ও নুপুর কে ডেকে নিয়ে আসে খাওয়ার জন্য..। খেতে বসেও অনেক গল্প হয় হাসাহাসি হয় । তারপর খাওয়া শেষ করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নুপুর ও তাহমিনা দুজন একসাথে চলে যায় নুপুর এর ঘরে ।
ওরা দুজন নিজেদের নানা বিষয় নিয়ে গল্প করে । তারপর দুজনই এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে ।
সকালে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে নুপুরের সাথে তাহমিনা যায় পাশের চেয়ারম্যান বাড়িতে নুপুরের বান্ধবীর সাথে দেখা করতে । ঐ বাড়ির বড় ছেলে মিলন । ২০ বছর পার হয়ে গেছে তবু এস.এস.সি পরীক্ষার বেড়া পার হতে পারে নি । গ্রামের ভাষায় যাকে বলে আন্ডার ম্যাট্রিক পাশ । কাজ কর্ম নেই ,,
সারা দিন টো টো করে ঘুরে বেড়ায় । তাই বাবা মার ইচ্ছা ওকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া । তবে আচার ব্যাবহার বেশ ভালো ।
ছোট বোনের বান্ধবী নুপুরের সাথে নুপুরের সাথে নতুন একটি মেয়ে দেখে জিজ্ঞাসা করে ..
মিলন : নুপুর কে রে ঐ টা ??
নুপুর : আমার ছোট মার ছোট বোন ।
মিলন : কোন ক্লাসে পড়ে ??
নুপুর : ক্লাস সিক্সে উঠবে ।
এইসব কথা জিজ্ঞাসা করতে করতে তাহমিনার দিকে বারবার তাকায় মিলন । তাহমিনা সেটা লক্ষ্য করে এবং একটু বিরক্তও হয় সে । ওখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাবার জন্য নুপুর কে বলে ...
তাহমিনা : আন্টি তাড়াতাড়ি বাড়ি চলো ,,, আপু কে বলে আসিনি , চিন্তা করবেনে ...
নুপুর : আচ্ছা চলো যাচ্ছি.।
এবার নুপুর ওর বান্ধবী রুবী কে বলে
নুপুর : রুবী একটু পরে আমাদের বাড়িতে আসবি একটা কাজ আছে ..
রুবী : আচ্ছা তোরা বস । একসাথে যাবোনে ।
নুপুর : না রে এখন বসছি না । ছোট মা কে বলে আসিনি তো ...পরে আবার আসবনে ।
তারপর কিছুক্ষন পরেই ওরা ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে ,, আসার সময় তাহমিনা একবার আড় চোখে লক্ষ্য করে ঐ ছেলেটি এখনও তাকিয়ে আছে ওদের দিকে....
( চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



