
উপরের ছবিটি দেখুন।ছবিটি ৬৯এর গণভ্যুত্থানের।একটি ছোট্ট শিশুও বুঝতে পারছে পাকিরা কখনোই বাংলাদেশীদের মানুষ মনে করেনি, কখনোই তারা এদেশের মানুষকে তাদের প্রাপ্য দেবে না।শিশুটার শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল জানি না, সম্ভবত পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল।সেদিনের সেই ছোট্ট শিশুটিও বুঝেছিল দেশের জন্য আমাদের লড়তে হবে।আজ আমরা তা বুঝতে পারছি কি? আসুন তার আগে দেখে নিই ৭১-এ কিছু শিশু-কিশোরদের ছবি।যুদ্ধের ভয়াবহতা তাদের কতটা গ্রাস করেছিল, কেমন ছিল তাদের বেচে থাকা।

ছবিটির শিশুটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। সোমালিয়ার ছবি দেখে আমরা উহু আহা করি। কিন্তু জানিনা একাত্তরে এর থেকে বেশী নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল আমাদের বাঙ্গালীদের। খেতে না পেয়ে শিশুটির কি অবস্থা দেখুন। মায়ের কোল সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সেই আশ্রয়ে বসেই শিশুটি ভাবছে তার অনাগত ভবিষ্যতের কথা?

এবার দেখুন এই ছবিটি। জনপদের পর জনপদ পুড়ে যাচ্ছে, পেছনে রেখে যাচ্ছে পাকিস্তানী হানাদারদের বিভীষিকার ছাপ। আর তারই স্বীকার ছবি এই ছোট্ট শিশুটি।শুধুমাত্র বাড়ির ফ্রেমটাই দাঁড়িয়ে আছে, আর সব পুড়ে শেষ। এখন কোথায় যাব আমি?- সম্ভবত এই প্রশ্নটিই তার চোখে।
তাই দেশের সেই দুর্দিনে এসব ছোট ছোট শিশু-কিশোরকেও অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হয়েছিল।এবার তেমনই কিছু ছবি।

দেশের জন্য প্রেম বা দেশপ্রেম কাকে বলে - তা অন্তত এই শিশু মুক্তিযোদ্ধাদের দেখলেই বোঝা যায়।ভাবতেই অবাক লাগে- এতটুকুন বাচ্চাদের মাঝে সেদিন কী অপরিসীম দেশপ্রেম জেগে উঠেছিল !!! শিশুটির ওজন তার হাতে ধরা ৩০৩রাইফেলের চেয়ে খুব বেশি হবে না। অথচ তার চাহনিটা দেখুন!!!

এই ছবিটি একটু ভালো করে দেখুনতো। প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডী না পেরোনো কিছু কিশোর দেশের প্রতি ভালোবাসার তাগিদে যোগ দিয়েছে যুদ্ধে। রাজনীতি কি জিনিস তা বোঝার বয়স হয়নি,কিন্তু এটুকু সে বুঝেছিল যে পাকিস্তানীরা দেশের শত্রু,স্বাধীনতা পেতে হলে তাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে। তাই হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র। বুকে তার পাক বাহিনী বদের অঙ্গীকার। চোখে তার স্বাধীনতার স্বপ্ন। তার স্বপ্ন সে সফল করেছিলো তার কর্মের মাধ্যমে।
ঠিক তেমনি আমাদের পূর্বপুরুষরা যখনি কোন অন্যায় অবিচার দেখেছে তখনি পথে নেমেছে,বায়ান্ন থেকে যার শুরু এবং শেষ একাত্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে।এমন সংগ্রামী জাতির সন্তান হিসেবে আমরা কি আমাদের পূর্বপুরুষদের মান রাখতে পেরেছি?দেশ স্বাধীন করার দায়িত্ব ছিল তাদের। এখন পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেশ গড়ার। আর আমরা কি করছি? আসুন দেখি এবার।


আমরা গ্যালারীতে বসে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলার সময় পাকিস্তান সাপোর্ট করি নিজের দেশকে বাদ দিয়া আর কেউ কিছু বললে বলি খেলাধুলা আর রাজনীতি আলাদা। কতটা অকৃতজ্ঞ আর বোধশক্তিহীন হলে আমরা এধরনের কাজ করি বা আমাদের মুখ দিয়ে এধরনের কথা বের হয় তা আমাদের ভেবে দেখা দরকার।
মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো নেয়া হয়েছে ফেসবুক পেজ "মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন" থেকে
বাংলাদেশী দুই কুলাঙ্গারের ছবি নেয়া হয়েছে ব্লগার শুভ্র নামের ছেলের পোস্ট থেকে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




