somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুয়েটের Kung fu Panda

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২০১৩-২০১৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা। নয় হাজারের কিছু বেশী পরিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যে এক হাজার বাচ্চাকাচ্চা শেষ হাসি হাসবে এই লেখাটা তাদের জন্য।



বুয়েটে পড়তে এসে খেলাম শুধু বাঁশ
বাঁশ খেয়ে কেটে গেল আমার বারো মাস।
খাতায় শুধু পেয়ে গেলাম বড় বড় আন্ডা
বাঁশ আর আন্ডা খেয়ে হলাম কুংফু পান্ডা।
বড় ভাই জীবনে হয়ে এলেন shifu
বানালেন মোরে buet warrior, সাথে বিশাল বপু।
তারপর থেকে দিনগুলো মোর যাচ্ছিল হেসেখেলে
দিনে-রাতে শুধু ফাইট দেই আর star এ যাই ক্ষুধা পেলে।
ক্লাসে গেলেও কাটতে চায় না ঘুমের আবেশ
ব্লগিং আর ফেসবুকিং-এ দিনগুলো মোর শেষ।
ব্লগ-ঘুম-ফেবু-star-ফাইট করছি এসব টাইপ
এসব নিয়েই তৈরী হল আমার furious five.
এরাই জীবনে নিয়ে এল নতুন রং
তাই দিয়ে হারিয়ে দিলাম বাঁশ নামের তাইলং
হাতে এল awesomeness এর আজব হাতিয়ার
তাই দিয়ে কাটিয়ে দিলাম CG-র আঁধিয়ার।
এরই মাঝে admission test দিয়ে গেল উকি
মনে হল ব্লগে আমার পান্ডা কাহিনী লিখি।
সাথে সাথে বসে গেলাম গল্প টাইপ করতে
দোস্ত কয়, কি লিখলা মামা? It’s awesome পড়তে।


==========================================

*ফাইট= বুয়েটে "ফাইট" শব্দটা ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষার আগে ছেলেপেলে যখন একসাথে পড়ে তাকে বলে "গ্রুপ ফাইট"। রাত জেগে কেউ প্রেমিকার সাথে ফোনে কথা বললে তার নাম "ফোন ফাইট"। একইভাবে "মুভি ফাইট", "সিরিয়াল ফাইট"... বুয়েটে এরকম ফাইট আর ফাইটারের কোন শেষ নাই। ওহহো আসলদের কথা তো বলিই নি। বুয়েটে যাদের সিজি ভাল এবং টিচার হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের নাম "টিচার ফাইটার

**বছরখানেক আগে ডিপার্টম্যান্টের ফেস্টভাল উপলক্ষে প্রকাশিত সুভেনিয়রের জন্য লেখা। সামান্য একটু এডিট করে এখানে দিলাম।

===============================================


বুয়েট নিয়ে আরো কিছু মজার ঘটনাঃ

বুয়েট: যখন মনে হয় কেউ আমারে মাইরালা
বুয়েটের এক স্মার্ট শিক্ষক ও তার পিছনে আমার ঘুরার গল্প
পৈশাচিক প্রতিশোধ
বুয়েটের Kung fu Panda
একটি আঠারো প্লাস মুড়ি খাওয়ার গল্প
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৭
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×