somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“সামহোয়্যারইনব্লগ” এ আমার আজ চতুর্থ বর্ষপূর্তি হলো

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম বর্ষপূর্তির পোস্টঃ বর্ষপূর্তির হালখাতা - প্রথম বর্ষপূর্তি
দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির পোস্টঃ সামহোয়্যারইনব্লগে আমার ব্লগিং এর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি
তৃতীয় বর্ষপূর্তির পোস্টঃ “সামহোয়্যারইনব্লগে” তৃতীয় বর্ষপূর্তি – ফিরে দেখা

আজ রাত ১১টা ২৬ মিনিটে “সামহোয়্যারইনব্লগ” এ আমার লেখালেখির চতুর্থ বর্ষপূর্তি হতে যাচ্ছে। এর আগেও প্রতিবছরে এই দিনটিকে স্মরণ করে বর্ষপূর্তি পোস্ট লিখেছি, যেগুলোর লিঙ্ক উপরে দেয়া হয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম হবেনা, তবে এবারের পোস্ট হবে আকারে সংক্ষিপ্ত, লিঙ্কে বিস্তৃত। প্রথমেই, আজকের কিছু পরিসংখ্যানঃ





আগের পরিসংখ্যানের সাথে আজকের এই পরিসংখ্যান মিলিয়ে নিম্নলিখিত তথ্য উপাত্ত সমূহ পাওয়া যায়ঃ

গত এক বছরে আমার ব্লগে ৫০২৭৭ বার ক্লিক হয়েছে, অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিনে প্রায় ১৩৮ বার, নেহায়েৎ মন্দ নয়।
গত এক বছরে আমি লিখেছি ৭০টি পোস্ট, অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৬টি, যা মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর চেয়ে বেশী লিখতে গেলে হয়তো লেখার মান বিসর্জন দিতে হতো এবং পাঠকদেরও সব লেখা পাঠ করতে অনীহা হতো।
গত এক বছরে অন্যের লেখায় মন্তব্য করেছি ৩৮৫১টি, আমার লেখায় অন্য পাঠকের মন্তব্য পেয়েছি ৩৪৪৬টি, অর্থাৎ গত একবছরে আমি মন্তব্য পাওয়ার চেয়ে মন্তব্য করাতে ৪০৫টি সংখ্যায় এগিয়ে আছি। পুরো চার বছর মিলিয়ে এ সংখ্যাটা ১৬০০ নম্বরে অগ্রগামী। দৈনিক গড় হিসেবে চতুর্থ বছরে অন্যের লেখায় প্রতিদিন প্রায় ১১টি করে মন্তব্য করে গেছি। আর তৃতীয় বছরের চেয়ে চতুর্থ বছরে আমাকে অনুসরণ করছেন ৩২ জন বেশী পাঠক, সর্বমোট ২৬৩ জন।

গত বছরে, এবং গত চার বছর মিলে আমার সর্বাধিক পঠিত এবং সর্বাধিক 'লাইকপ্রাপ্ত' পোস্টঃ সুন্দর কিছু ব্লগ নিকের নাম। অবশ্য আমি যা বুঝতে পারছি, তাতে মনে হয় যে এ পোস্টের পাঠ সংখ্যা এবং লাইক সংখ্যা অধিক হবার পেছনে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। পোস্টের শিরোনাম পড়েই পাঠকেরা তালিকায় তাদের নিজেদের নামটি আছে কিনা তা যাচাই করে দেখার জন্য ক্লিক করেছেন। যারা নিজের নামটি সেখানে খুঁজে পেয়েছেন, তারা যেমন পোস্টে 'লাইক' দিয়েছেন, যারা তা পাননি, তাদের মধ্যেও অনেকে দিয়েছেন, কারণ তালিকার বেশ কিছু ব্লগনিক আসলেই খুব সুন্দর।

গত বছরে আমার আরো কয়েকটি পোস্ট যা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছেঃ দেবী দর্শন এবং তার আগে পরে

শেষ বিকেলের রোদে কিছু হাঁটাহাঁটি ফুরিয়ে এলো নিমেষে

বিনি সূতোর মালা

এছাড়াও, মে মাসে আমার কাশ্মীর সফর নিয়ে একটা সিরিজ লিখে চলেছি। মোট তেরটি পর্ব এ যাবত প্রকাশিত হয়েছে, দুটো এখনো অপ্রকাশিত। ভিপিএন ছাড়া এখন ব্লগে প্রবেশ করা যায়না। এ কারণে ব্লগে পাঠক উপস্থিতির সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সে কথাটি বিবেচনায় রেখে বলা যায়, আমার এ সিরিজটিও মোটামুটি ভালই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

এ ছাড়া আরো কিছু পুরনো তথ্য, যা পুরনো হলেও স্মৃতিতে বয়ে নিয়ে বেড়াইঃ
ব্লগে আমার প্রথম পোস্টঃ বক্ষমাঝে থাকবে তুমি

পাঠসংখ্যা পাঁচশত অতিক্রম করা (এখন পর্যন্ত ৬৪০) প্রথম পোস্টঃ আমার কথা - ৬

পাঠসংখ্যা এক হাজার অতিক্রম করা (এখন পর্যন্ত ১৩৫৪) প্রথম পোস্টঃ শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ -- ১

সহস্রাধিকবার পঠিত আমার আরো দুটো পাঠক-সমাদৃত পোস্টঃ পিছু ফিরে দেখাঃ “মেরা জীবন কোড়া কাগজ...” (১৩৯৪ বার পঠিত) এবং ভ্রমণের টুকিটাকি – ১ (১২১১ বার পঠিত)

পাঠকগণ আমার কোন পোস্টকে তাদের "প্রিয়" তালিকায় তুলে রেখেছেন, এমন পোস্টের সংখ্যা আমার নিতান্তই কম। ন্যূনতম তিনজন পাঠকের "প্রিয় তালিকায়" ঠাঁই করে নিতে পেরেছে, এমন তিনটে পোস্টঃ আমার এ ব্লগ পড়াতেই আনন্দ! (৩ জনের, ৮৪২ বার পঠিত), বই নিয়ে আলোচনা- রক্তে ভেজা একাত্তর (৪ জনের, ৬৬১ বার পঠিত) এবং একটি সুখের স্মৃতি—করুণাময়ের অপার দান কৃতজ্ঞতায় স্মরণ (৪ জনের, ৬৪৭ বার পঠিত। আমার এ পোস্টে এমন বেশ কিছু পাঠক এসে মন্তব্য করে গেছেন, যারা আমার আর কোন লেখায়ই কোন মন্তব্য করেন নাই।)

আমার গল্প লেখার প্রথম প্রয়াসঃ একটি অসম্পূর্ণ গল্পের গল্প ( এ যাবত ৭৩৭ বার পঠিত। এ গল্পে বিদ্রোহী সিপাহী, জেন রসি, ইমরাজ কবির মুন, আমিই মিসির আলী প্রমুখের মন্তব্য আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছিল)

আমার একটি কম পঠিত পোস্ট (২০৭ বার)-- অনন্ত ও অনামিকার গল্প - এ গল্পে মাত্র ৬টি মন্তব্য এসেছে, কিন্তু প্রথম মন্তব্যেই ব্লগার blackant পাহাড় সমান প্রেরণা যুগিয়ে গেছেন এই বলেঃ "শ্রদ্ধা নেবেন। সারাটা জীবন কেন লিখলেন না"?। ৬ নং মন্তব্যকারীও বলে গেছেনঃ লেখালেখিটা আরো প্রথমে যদি করতেন!। তিনি আমার আর কোন লেখায় মন্তব্য করেছেন বলে মনে পড়ছেনা।

আমার প্রথম কবিতা, যা পাঁচশত পাঠসংখ্যা অতিক্রম করে (বর্তমানে ৮৭০ বার পঠিত) -- ভালবাসার আশা

প্রথম কবিতা, যা হাজার পাঠসংখ্যা অতিক্রম করে (বর্তমানে ১০৪০ বার পঠিত) -- ভাল থেকো পাখি তুমি (পাঠকদের ভাল লাগবে মনে করে কবিতাটির সাথে তিনটে ছবি সংযোজন করে দিলাম।)

পুরো চার বছরে আমার সবচেয়ে কম পঠিত (এ যাবত মাত্র ৬৩ বার, ২ টি মন্তব্যসহ) পোস্টঃ সরবে নীরবে

পাঠসংখ্যা তেমন বেশী না হলেও, মানবতার আহ্বানে সাড়া জাগানো একটি সুসমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নিয়ে যে পোস্ট লিখতে অনেক কষ্ট করেছিলামঃ রূপকথার গল্প যেন বাস্তবে ঘটে গেল
(ব্লগার জুন সর্বপ্রথম ব্লগে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়ে আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তার দেয়া লিঙ্ক ধরে ধরেই তখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতাম)

সবশেষে, রেকর্ড তো রেকর্ডই। এমন কিছু রেকর্ড কৃৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছিঃ
• ব্লগে আমি প্রথম মন্তব্যটি পাই প্রামানিক এর কাছ থেকে আমার দ্বিতীয় পোস্ট “পূর্ণতা” কবিতায়। (প্রথম পোস্টে মন্তব্য পেতে দুই মাস চার দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। প্রথম পোস্টে প্রথম মন্তব্য করেন এহসান সাবির, ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে।)
• আমার কোন লেখায় প্রথম লাইক টা আমি পেয়েছিলাম না মানুষী জমিন এর কাছ থেকে। তিনি আমার প্রথম লেখাটাতে (বক্ষমাঝে থাকবে তুমি) কোন মন্তব্য না করে নীরবে লাইক দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। দুঃখের বিষয়, এর পরে আমি ওনার কাছ থেকে খুব বেশী মন্তব্য পাইনি। তার নীরব প্লাসও বোধ আর তেমন পাইনি।

ইচ্ছে ছিল, আরেকটু বড় করে লিখবো, কিন্তু গত দু'দিন ধরে জ্বরাক্রান্ত, যে কারণে প্রয়াত ব্লগার কুহক মাহমুদ স্মরণে আজকের আয়োজিত শোকসভায় উপস্থিত থাকতে চেয়েও থাকতে পারিনি। সকল ব্লগারদের জন্য রইলো শুভকামনা আর ভালবাসা। বিশেষ করে যারা আমার ব্লগপাতায় এসে লেখা পাঠ করে মন্তব্য করে যান এবং তাদের ভাল লাগার কথা জানিয়ে যান, তাদের প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকুন সবাই, সবখানে- দেশে ও প্রবাসে, সবসময়, সপরিবারে।

ঢাকা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯





সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×