সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে মৃত্যু/ মৃত বলতে বোঝায় - মানুষের শরীর থেকে যখন তার আত্মা বা অমর সত্ত্বা বের হয়ে যায়। এটি একটি ধারণা মাত্র এর পক্ষে কোন ভিত্তি বা প্রমান নেই।
একজন মানুষ বা প্রাণী মৃত কি না সেটার ঘোষণা দেওয়া এবং মৃত্যু আসলে হয়েছে কিনা সেটা যাচাইয়ের এখতিয়ার মেডিকেল ফিল্ডের উপর বর্তায়। মেডিকেল অনুসিদ্ধান্তে যদি সে মৃত হয় তবে তাকে মৃত বলা যাবে।
১৯৬৮ সালের আগ পর্যন্ত মৃত বলতে বোঝানো হত - শরীরের " ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড " এর কার্যক্রম এবং গতি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
১৯৮১ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের উদ্ভাবিত মানদণ্ড মতে - ব্যক্তির " মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা মস্তিষ্কের স্টেম নার্ভের অকার্যকরীতা" কে মৃত ঘোষণা করা হবে।
২০১৬ সালের President’s Commission for the Study of Ethical Problems in Medicine and Biomedical and Behavioral Research এর উদ্ভাবিত Uniform Declaration of Death Act (UDDA) মতে, দুটো মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি কে মৃত ঘোষণা করতে হবে
(১) ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন এবং শ্বাস প্রশ্বাস কার্যক্রমের আদান-প্রদানের গতি বন্ধ হয়ে যাবে।
(২) ব্যক্তির মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ কার্যক্রমের বিষয়াদি বন্ধ হয়ে যাবে।
১৯৬৮ এবং ১৯৮১ সালের মানদণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী মত পার্থক্য থাকলেও ২০১৬ সালের UDDA (Uniform Determination of Death Act) নিয়ে বিশ্বের কোন স্টেট এবং রাষ্ট্রের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। UDDA (Uniform Determination of Death Act) কে সার্বজনীন মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করছে মৃত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে।
২০১৬ সালের পর থেকে মৃত ঘোষণা করার এখতিয়ার টি শুধু মাত্র মেডিকেলে ক্ষেত্রের উপর না ছেড়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ইথিক্যাল গ্রাউন্ডে বিচার করে মৃত ঘোষণা করার কার্যক্রমের জন্য উক্ত ক্ষেত্রে মৃত ঘোষণা করার মানদণ্ড উদ্ভাবনের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



