আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা, শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতিহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অঙ্গীকার ছিল। তবে বাস্তবে আমরা যা দেখেছি তা হলো, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বড় ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে জনরোষ হতে বাঁচাতে তাকে ক্লোজ বা প্রত্যাহার করে নেয়া হতো।
অতঃপর কিছুদিন গত হলে এদেরকে নতুনভাবে পদায়ন করে আরো বড়ো ধরণের দুর্নীতি সংঘটনে বাধ্য করে তাদের নানাভাবে এক্সপ্লয়েট করা হতো। ফলে, ক্রমশঃ ভারী হতো এসব কর্মচারী-কর্মকর্তার দুর্নীতির পাল্লা। হাসিনা সরকারের বিবেচনায় এটাই ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
নতুন সরকারের আমলে জনগণ হাসিনা আমলের জিরো টলারেন্স নীতি আর দেখতে চায় না। সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের এক অফিস হতে আরেক অফিসে বদলি, ক্লোজড, প্রত্যাহার, বা এক পদ হতে অন্য পদে রদবদল সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবার মতো কোন সমাধান নয়। দুর্নীতির প্রমান পেলে তাকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় নিতে হবে, তার ও তার পরিবারের জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে; এটাই হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি।
এমন কয়েকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে দেশের সকল সরকারি অফিস আদালতের চেহারা বদলে যেতে কয়েক সপ্তাহের বেশি লাগবে বলে মনে হয়না। বর্তমানে ঘুষদুর্নীতি কিন্তু থেমে নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



