সব প্রাণীরই ঘ্রাণশক্তি আছে। তবে কীটপতঙ্গের ঘ্রাণশক্তি এতই বিস্ময়কর যে, তা আমাদের অবাক করে দেয়। কোনো কিছু আকর্ষণ বা পরিহার করার জন্য কীটপতঙ্গ যে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা তাদের জীবন-মৃত্যুর জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আমরা যে সিনথেটিক সুগন্ধি ব্যবহার করি, তা অন্য প্রাণীরা কীভাবে গ্রহণ করে তা কিন্তু জানি না। তবে প্রাণীবিজ্ঞানীরা সম্প্রতি নানা ধরনের কীটপতঙ্গের ওপর গবেষণা করে বলছেন, বিশ্বে যে অসংখ্য কীটপতঙ্গ আছে, এদের কোনো কোনোটির আছে এক লাখের মতো (লম্বা লোম বা শুঁড়) এন্টেনা, ঘ্রাণ গ্রহণের জন্য যা প্রত্যেকটি আলাদাভাবে কাজ করে। কীটপতঙ্গের ঘ্রাণশক্তি নিয়ে গবেষণাকারী অধ্যাপক হান্না মুস্তাপার্র্টারের মতে, কীটপতঙ্গের ঘ্রাণশক্তি অসম্ভব প্রবল। ভেবে অবাক হতে হয়, যখন কীটপতঙ্গগুলো জৈবিক তাড়না পেয়ে উত্তেজিত হয় অথবা কোনো ঘটনা শোনা বা দেখার জন্য স্নায়বিক তাড়না অনুভব করে, তখন তাদের প্রত্যেকটি কোষ আলাদাভাবে পুরোপুরিভাবে সজাগ হয়ে ওঠে। এদের ঘ্রাণশক্তি এত মারাত্মক যে, একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পর মানুষ যখন আর ঘ্রাণ গ্রহণে সক্ষম নয়, তখনও কীটপতঙ্গ ঘ্রাণ নিতে পারে অনায়াসে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই কীটপতঙ্গের ইন্দ্রিয় কোষগুলো এতই প্রখর যে, এর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ২০০-এরও বেশি বার আগুন জ্বালানো সম্ভব। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, এদের স্নায়বিক তাড়না মোটামুটি দৃশ্যমান। কেউ ইচ্ছা করলে সহজেই তা দেখতে পারে এবং তা এমপ্লিফায়ারের মাধ্যমে উচ্চশব্দে রূপান্তর করাও সম্ভব। মজার ব্যাপার হলো, ল্যাবরেটরিতে গবেষণাকালে দেখা গেছে, এই তাড়না এক সুরময় আবহ সৃষ্টি করে। কীটপতঙ্গ তাদের ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে খাদ্যের পার্থক্যও সহজে বুঝতে পারে। এরা ঘ্রাণশক্তির মাধ্যমে বনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের ঘ্রাণ সম্পর্কেও অবগত হতে পারে। তবে এসব কীটপতঙ্গের মধ্যে এমন কিছু কীট আছে যারা শুধু ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত থাকে। এদের একটি হলো পাইন গাছের পোকা, যা এক সময় নরওয়ে ও ইউরোপের বিশাল বনের জন্য বিপুল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, আবাদি জমির জন্যও কিছু পোকা অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষকরা বলছেন, এসব পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য চযবৎড়সড়হবং-এর ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। যদিও কৃষি জমিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছুটা প্রতিরোধ করা এখন সম্ভব হচ্ছে। গবেষকরা মশা নিয়েও গবেষণা করছেন; মানব শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর এই মশাকে কীভাবে উপকারী কীটপতঙ্গে পরিণত করা যায়। আর এসব কাজে সহযোগিতা করছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো দাতা সংস্থাগুলো। এ প্রসঙ্গে মুস্তাপার্র্টার বলেন, আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছতে পাড়ি দিতে হবে আরও বহু পথ। আর এর জন্য আমাদের অপেক্ষাও করতে হবে বহুদিন।
আলোচিত ব্লগ
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।