‘টাকা চোর?’ অনেকটা স্বগোতক্তি করল মামুন।
‘হ্যাঁ, টাকা চোর।’ বললেরন ছোট চাচা। গল্প বলার আসরে ভাইস্তাদের নিজের জীবনের একটা ঘটনা বলছেন ছোট চাচা।
উৎসুক হয়ে বলল রায়হান, ‘কিভাবে ধরলে টাকা চোরকে?’
‘হুঁ বলছি।’ মাথা দুলিয়ে বললেন ছোট চাচা। ‘ধরেছিলাম সেন্ট্রাল রোডের ফুটপাথে, গত বছর।
‘এক বন্ধুর বাসায় গেলাম কিছু টাকা ধার আনতে। বেশ হাত টান যাচ্ছিল কি-না! তাই। কিছুক্ষণ গল্প-গুজব করে, চা-নাস্তা খেয়ে টাকাটা নিয়ে রাস্তায় বের হলাম। হঠাৎ মনে হলো টাকা তো গোনা হলো না। তখন রাত ১১টা। রাস্তায়, ফুটপাথে তেমন কেউ নেই। গুনছি ১০০, ২০০, ৩০০ হঠাৎ কে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার উপর। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই টাকা নিয়ে দৌড় দিল।’
‘তারপর?’ অবাক হয়ে জানতে চাইল নিঝুম।
‘বলছি। তখন আমার শরীর গরম হতে লাগল। বইয়ে পড়িসনি, “মানুষের শরীর অণু দিয়ে গঠিত, এগুলো গতিশীল। গতি বেড়ে গেলে শরীর গরম হয়।” একে বলে ক্যালরিক তত্ত্ব। এরপর চোরের পেছনে দিলাম দৌড়। চোর একটা বাগানে ঢুকে পড়েছে, আমিও ওকে ফলো করে এগোচ্ছি। বাগানটা কলমি ফুলের। পথ খুব সরু। তাই কলমি ফুলের কাঁটা হাতে লেগে ছড়ে যাচ্ছিল। তাতেও পরোয়া করছি না। বাগানের মধ্যে একটি চৌবাচ্চা। চোরটি তার উপর দিয়ে লাফ দিল। আমি দেখতে পেলাম, চৌবাচ্চায় কিছু অ্যাকোরিয়ামের মাছ। একটি মাছ তো খুব সুন্দর। মাছটির মাথা লাল, শরীর কালো। পাখা অসম্ভব সুন্দর। আর ভাবতে পারলাম না, চোরের মতো আমিও লাফ দিলাম। লোকটা পড়ে গেল, আমিও ধরলাম।’
‘আর বলতে হবে না ছোট চাচু, গল্পটা বানানো।’ বলল সাজু।
এখন বলতে সাজু কিভাবে বুঝল গল্পটা বানানো?
উত্তর পড়ুন উল্টা দিক থেকে : নেই কাঁটা ফুলের কলমি এছাড়া। ভুল তত্ত্বও ক্যালরিক আর। নয় গঠিত দিয়ে অণু শরীর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



