
পোস্টটা গতকাল রাতেই দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মোবাইলে ছবি আপলোড প্রপারলি হচ্ছিলনা তার উপর ফোনে কল আসাতে আর পোস্ট লিখতে ইচ্ছে হলনা।
পালং শাকতো চিংড়ি দিয়ে খাওয়া হয়েছে, মাছ দিয়ে খাওয়া হয়েছে, শুধু শাক হিসেবে খাওয়া হয়েছে, আলু দিয়ে ভাজি করে খাওয়া হয়েছে, ডাল দিয়ে রেধে খাওয়া হয়েছে এমনকি সবজির সাথেও খাওয়া হয়েছে।
তো এবার কি বানানো যায়। আইডিয়া পেতে দেরি হলনা। প্লেটে যেভাবে সাজিয়ে রেখিছে বেসন দিয়ে ভেজে ঠিক সেভাবেই সাজিয়ে আবার ছবি উঠাবো। ব্যস নতুন রেসিপি ট্রাই হয়ে যাবে। ব্লগার নতুন ভাই আবার নতুন রেসিপির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
যাক হলুদ, মরিচ, ধনিয়ার গুড়া, লবন আর ডিম সব একসাথে বেসনের সাথে মেখে এবার পাতাগুলো চুবিয়ে ভেজে ফেলবো। ওমা সে কি বিপত্তি। বেসনতো পালং পাতায় ভরছেনা ! হাত দিয়ে মাখিয়ে যেইনা উল্টো পিঠে মাখিয়ে উঠাতে যাব দেখি অপজিট পাশের বেসন উঠে গেছে এভাবে কয়েকবার করার পর ব্যর্থ হয়ে বেসন একটু পাতলা করলাম।
যাক বাচা গেল। পাতা চুবিয়ে যে উঠাই দেখি বেসন তেমন ভরেনা পাতাতে। যতটুকু লেগেছে সেটাই ভাজতে দিলাম কড়াইতে। ওমা সে কি ভয়াবহ অবস্থা। পাতলা ফিনফিনে কাল পাতা সেটা খেতে কিছুতেই মন চাচ্ছেনা।
শেষমেষ সবগুলো পাতা একসাথে করে পাকড়ার মত ভেজে খেয়ে ফেললাম। একটা ব্যর্থ রেসিপি শেষ হলো।

লাউ এর খোসা আলু আর মাছ, রসুন দিয়ে ভর্তা। কোন বাটাবাটি বা ব্লেন্ড করা ছাড়াই দারুন ভর্তা হয়ে গেল। হলুদগুড়া দিয়ে লাউ এর খোসা আলু আর মাছ ও রসুন এক সাথে সিদ্ধ করে মাছের কাঁটা বেছে হাতদিয়ে চটকিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিলাম। এবার পেয়জকুচি তেলে ভেজে হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুড়া দিয়ে ভর্তা ভেজে নিলেই হয়ে গেল মজাদার নতুন রেসিপি।

মাঝে মাঝে অদ্ভুত/ আনকমন কিছু খেতে ইচ্ছে করে। অবশ্যই খাবারটা হালাল হতে হবে। সেদিন বানিজ্য মেলা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার আগে মেয়ে পেয়ারা খেতে চাইল তো নিলাম পেয়ারা এবার সে পাশের দোকানের কাকড়া দেখিয়ে বলল কাকড়া খাব। তার কথা শুনে আমি আর আমার স্ত্রী একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম। পড়ে বললাম তুমিতো কাকড়া খাবেনা শুধু নিয়ে নষ্ট করবে তবুও সবচেয়ে বড় ককড়াটার দাম জিজ্ঞেস করলাম। ৩০০ টাকা। বাবুকে বললাম এটাতো অনেক দাম তুমি নিবে ? চল অন্য কিছু নেই। আমি কখনো কাকড়া খাইনি খাবওনা। যদিও পতেঙ্গা সিবীচে যতবার ঘুরতে গেছি আমার সাথে সবাই মজা করে খেয়েছে এমনি বাবুর মাও খেয়েছে। চিংড়ি আর কাকড়া খাওয়া যদিও এক তবুও কখনো খেতে ইচ্ছে হয়না।

গতরাতে যেটা খেলাম সেটা হল-গরম ভাত, ঘি, চিনি আর কলা এক এক সাথে মাখিয়ে খেলাম। এটা অবশ্য নতুন নয়। আমার নানিকে দেখিছি তিনি এভাবে কলা ছাড়া গরম ভাত ঘি ও চিনি দিয়ে খেতেন । অনেক বছর খাওয়া হয়না হাতের কাছে যখন সব পেলাম তাই নতুন করে কলাটা যোগ করে খেয়ে নিলাম। মন্দ নয়। অবশ্য ছবি উঠানোর কথা যখন মনে হল ভাত তখন শেষ পর্যায়ে।
ধন্যবাদ ব্লগার নতুন ভাইকে তার জন্য পোস্টটি লিখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



