
দাদা, ও দাদা হামাক দশ পয়শার আলতা আর একখান পুতুল কিনে দিবু
মুই আলতায় চরণ রাঙ্গামু আর পুতুলক বিয়া দিমু
কথা দে, কথা দে দাদা সামনের হাটবার-
হামাক তুই এইগুলান কিনি দিবি, তোর হাতত ধরি, পায়ত পড়ি।
দিমক, দিমক কিনি দিমক, যাতো এল্যা হামাক আর জ্বালসনা
হাতত মেলা কাম পড়ি আছে, করবার দে দিকিনি একটু
কাম সারি, মুই হাপ ছাড়ি বাঁচো।
দাদা, তুই ম্যালা ঘামাছিস, নে নেবুর শরবত খা দিকিনি।
আহা ! কি সোয়াদ, তুই আমার লক্ষী বইন, মুই তোর শক পুরা করিম
তুই ভাবিসনা রিনা, হাটোত মুই মুড়ি, চানাচোর বেঁচি
তোর লাই লাল টুকটুকে একখান পুতুল আনিম আর আলতা।
জানস দাদা, পূব পাড়ার মালতী পায়ত আলতা দিয়া
দিনমান ঘুড়ি বেড়ায় পাথারে আর হামক কয় কিনা-
তুই গরিবের ছাওয়াল, তুই আলতা দিবার পারবুনা, পুতুলও পাবুনা।
ওর কাথা শুনি মোর চোখত পানি আইছে, গরীব দেইখ্যা কি মোর সাধ আল্লাদ নাই ?
তা থাকবো না ক্যারে, তুই কান্দিস না বইন
মুই কথা দিছি তোক দামী আলতা আনি দিমু
হ্যারে তোর পুতুলক কার লগে বিয়া দিবু ?
ক্যান মোর সখী আমেনার ব্যাটা পুতুলের লগে বিয়া দিমু
সেই দিন কিন্তু তোমার নিমন্ত্রন থাকলো দাদা।
তা বিয়ার দিন হামাক কি রান্দি বাড়ি খাওয়াবু ?
মজা করি গোসত পোলাক খায়ামু, তুই পেট ভরি খাবু কিন্তু দাদা।
দাদা খুশি হয়, কিন্তু বাস্তবে কবে যে, গোসত পোলাও খাওয়া হবে কে জানে ?
ছবি নজের তোলা।
কবিতাটা উত্তরাঞ্চলের ভাষায় লিখিত। যেহেতু ছেলে বেলা উত্তরাঞ্চলে কেটেছে তাই সেই টানে লিখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


