ক্ষমতার দম্ভে বেভুলো আওয়ামিলীগ, গন্তব্যের শেষ কোথায়?
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের অবস্থান মৌলবাদীদের বিপক্ষে নয়, অবস্থান হচ্ছে জামাতি ও বিএনপির বিরুদ্ধে, মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে হলে সংগত কারণেই হেফাজত ও অন্যন্য মৌলবাদী দলসহ হিন্দু মৌলবাদীদের বিপক্ষেও সরকার হিসেবে আওয়ামীলীগের অবস্থান পরিস্কার হত। মুলত অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় আওয়ামিলীগ টিকে আছে বলেই আজ হিন্দুদের সবক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে দিতে হচ্ছে হিন্দুদের। নতুবা সরকারের বিরুদ্ধে যে কথা আলোকচিত্রী শহীদুল বলার কারণে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল (যদিও তা সত্যি ছিল) তারচেয়েও দশ হাজার গুন বেশী রাষ্ট্রদ্রোহি কথা বলার পরেও প্রিয়ার প্রতি সরকারের কোন ক্ষোভ নেই, এর কারণ কারও অজ্ঞাত নয়। আর এসব কারণেই মানুষের মন থেকে ধীরে ধীরে আওয়ামীলীগের প্রতি ভালবাসা উঠে যাচ্ছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগের খারাপ সময়ে বেশীরভাগ লোক আওয়ামিলীগ করার পরেও যেমন কাউকে রাজপথে পাওয়া যায়নি ক্ষমতা হারানোর কারণে ঠিক তেমনি এই আওয়ামিলীগ সরকারও ক্ষমতা হারালে রাজপথে কাউকে পাওয়া যাবেনা বলেই বিশ্বাস দেশের দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর। দেশের বেশীরভাগ জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র ভারতের কৃপার জন্য হিন্দুদের একচেটিয়া এই তোষণ ও প্রীতির পরিনাম হবে ভয়াবহ। সময় থাকতে শোধরানো প্রয়োজন আওয়ামীলীগের, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বন্টন করা উচিত সুযোগ সুবিধা নতুবা পরিনাম হবে ভয়াবহ।
ধর্মের ব্যাপারটা মাথায় রেখে জনবিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করছে একসময়ের অসাম্প্রদায়িক এই দলটি শুধুমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র ভারতকে তুষ্ট করার জন্য। মনে রাখা প্রয়োজন পৃথিবীর সব ধর্মই শান্তির বাণী কপচালেও হিন্দু ও মোসলমান ধর্মেও ঘৃণা ও বিদ্বেষ কম ছড়ায়নি। গাত্রবর্ণের পরে মানুষের শ্রেণী বিভাজনের অন্যতম নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ম নামক সামাজিক বিষফোঁড়া যা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষ্পেষণের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে স্মরণাতীত কাল থেকে।
মৌলবাদ নিপাত যাক। ভারত ও হিন্দু প্রীতি বন্ধ হোক। মানবতার জয় হোক।
০২ আগষ্ট ২০১৯
যুক্তরাজ্য।