ছাত্রলীগ আজকে এক সমাবেশে দেশব্যাপী ছাত্রশিবিরের তান্ডবকে রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। উক্ত সমাবেশে আমাদের সম্মানিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু সাহেবও ছিলেন। বক্তৃতা দিয়েছেন। আসুন নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করি ছাত্রলীগের কি শিবিরকে রুখে দেয়ার মতো নৈতিক সাহস, সাংগঠনিক দক্ষতা আছে কি না।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে হেন অপকর্ম নেই যা ছাত্রলীগ করেনি। এক সময় শোনা গেল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ছাত্রলীগে ছাত্রশিবির ঢুকে পড়েছে। তারাই এই সব অপকর্ম করছে। কোনদিন শুনেছেন কোন অপকর্মের জন্য বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে কোন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে? উত্তর অবশ্যই না। এখন কথা হলো পেটুয়া পুলিশ বাহিনীর ছত্র ছায়ায় ছাত্রলীগ হয়তো সামিয়ক সুবিধা করতে পারছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, পুলিশরাও মানুষ। তাদের জানের মায়া আছে। গতকাল রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অসহায়ত্ব দেখে আমার মনে হয়েছে তারা ভয় পেয়ে গেছে। বিগত চার বছর পুলিশ যে সীমাহীন অন্যায় করেছে বিরোধীদের দমনে, সেটা কিন্তু তারা জানে। এখানে পুলিশদের নৈতিক সাহস অনেক খানিই কম হয়ে থাকবে। আমার পূর্বের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোন সরকারের শেষের দিকে পুলিশ আর ততটা মারমুখী থাকে না। কমান্ড মানতে চায় না, যতটা তারা সরকার ক্ষমতায় আসলে তৎপরতা দেখায় শেষ দিকে এসে চুপসে যায়। এর একটা মনস্তাত্ত্বিক দিকও রয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে আমাদের দেশে রাজনৈতিক মেরুকরণ আছে। সরকার দলীয় সমর্থক আর কয় জন আছে? অপরদিকে ছাত্রলীগ নানা অপকর্মের নেশায় বুদ হয়ে থাকায় তাদের উপরও ভারসা করা যায় না। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাই মনে করি।
অন্যদিকে শিবিরের জনবল ছাত্রলীগের চেয়ে কোন অংশে কম নয়, ছাত্রলীগের তুলনায় শিবিরের জানবাজ কর্মী কয়েক হাজার হবে (অনুমান)। পুলিশ ছাড়া মাঠে নামলে ছাত্রলীগের খবর আছে। ছাত্রলীগ শিবিরকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করে আজকে যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে করে আমরা সাধারণ মানুষ শংকিত। শেষে কি গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে আমাদের প্রিয় স্বদেশ ভূমি?
আমরা আতংকিত,
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



