somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

ভাইরাসের হাতেই কি মানবসভ্যতার বিলীন হবে?

০১ লা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেষ পর্যন্ত ভাইরাসের হাতেই যদি মানব সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটে তবে সেটা মানুষের জন্য অবমাননাকরই হবে। পারমানবিক অস্ত্রের চেয়েও মানুষের বড় শত্রু যে অতিক্ষুদ্র একটি অনুজীব হতে পারে তা পুঁজিবাদের চরম বিকাশ ও বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ ভাবতেও পারেনি। আজ বিশ্ব দুইভাগে বিভক্ত করোনাভাইরাস চীনের গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নাকি প্যাঙ্গোলিন নামে বনরুই জাতের এক প্রাণি থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের দেহে এসেছে। অধিকাংশ নিরপেক্ষ মত বলছে- এটা প্রাকৃতিক ও বিবর্তিত। অর্থাৎ এটাই হয়তো শেষ নয়, ভাইরাস যদি আরো বিবর্তিত হয়ে, আরো শক্তিশালী হয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায় তবে মানব সভ্যতাকেই হুমকীতে ফেলে দিতে পারবে।


এইডস, জন্ডিস, ডেঙ্গু, বসন্ত, জলাতঙ্ক, হাম, ডায়েরিয়া, সাধারণ ঠান্ডা লাগা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয়, মাম্পস, পোলিও, সার্স, কয়েক রকম ক্যান্সারসহ বহু রোগের কারণ এই ভাইরাস। তাহলে ভাইরাস কি? অতি ক্ষুদ্র বলে একে বলে অনুজীব। আয়তন মাত্র গড় পড়তা ১০০ ন্যানোমিটার।ন্যানোমিটার হল এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগের সমান। মানে হল ১ কোটি ভাইরাস পাশাপাশি রাখলে হবে এক মিটার লম্বা। এই অতি ক্ষুদে অনুজীবটি কি উদ্ভিদ? না প্রাণি? না জড় পদার্থ?


ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ বিষ। ভাইরাস এক রহস্যময় অস্তিত্ব যাতে জড় ও জীব উভয়েরই গুণ রয়েছে। এদের খালি চোখে দেখা যায় না, এমনকি সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রেও দেখা যায় না। তবে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্রে এদের দেখা যায়। এদের ‘পরজীবী’ বলাই ভালো, উদ্ভিদ বা প্রাণী কোনো শ্রেণিতেই এদের ফেলা যায় না। কি কি লক্ষণ থাকলে তাকে জীব বলা হবে আর কি কি লক্ষণ না থাকলে তাকে জড় বলা হবে না তা আমরা জানি। সে সব লক্ষণ মিলিয়ে একে কোথাও ফেলা কঠিন। একে বলা যায় এক প্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা।আমরা জানি কোষে প্রোটোপ্লাজম থাকবেই। কিন্তু ভাইরাসের প্রোটোপ্লাজম নেই। তাহলে ভাইরাস কি জীব নয়? এ কারণে ভাইরাস কে জীবাণু না বলে 'বস্তু' বলা হয়। কিন্তু ভাইরাস যে বংশবৃদ্ধি করে! অবশ্য ভাইরাস কেবল অন্য উদ্ভিদ বা প্রাণিদেহে প্রবেশ করলেই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। অসুস্থ দেহ থেকে সুস্থ দেহে ভাইরাসকে স্থানান্তরিত করা যায়। ভাইরাসের বৃদ্ধি হয়, ভাইরাস কোনো উত্তেজনায় সাড়া দেয়, সজীব কোষে এরা বংশবৃদ্ধি করে, এসব কারণে ভাইরাসকে আবার জীব বলে আখ্যা দিতে হয়। বলা যায় ভাইরাস জীব ও জড়ের মাঝামাঝি অবস্থা। নাকি ভাইরাসই সেই আদি অকোষী প্রাণি যার থেকে কোষের উৎপত্তি হয়েছে?


উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ হল ভাইরাস। এতো তুচ্ছ, ক্ষুদ্র ভাইরাসের শক্তি যে কতোটা তা দেখছি চিন থেকে উৎপত্তি করোনা ভাইরাসে। করোনা ভাইরাস যে রোগটি ঘটাচ্ছে, তার নাম কোভিড-১৯। এটা আসলে একধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু। সাধারণ ফ্লুর সঙ্গে এর অনেক মিল রয়েছে। একই রকম লক্ষণ। এটা সহজে একজনের থেকে আরেকজনের কাছে চলে যাচ্ছে। এটি পৃথিবীকে ভীষণ বেকায়দায় ফেলেছে। কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি এখনো। যেহেতু ভাইরাসটি সহজে যাচ্ছে না তাই ওষুধ ঠিকই আবিষ্কার হয়ে যাবে। টিকাও আবিষ্কার হওয়ার পথে। যদি করোনাভাইরাস দুএক বছরের মধ্যে হারিয়েও যায় তবে ফিরতে পারে অন্য কোন শক্তিশালী ফ্লু রূপে। করোনা ভাইরাসে পৃথিবীর অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে ছড়িয়েছে। আমেরিকা-অষ্ট্রেলিয়া-ইউরোপ কোন ধনী দেশকেই বাদ দেয়নি। সবাই তটস্থ এক তুচ্ছ, অতিক্ষুদ্র ভাইরাসে। ক্ষুদ্র বলেই কি অবহেলা করা যায়? ক্ষুদ্রর জন্যও সহজ হয়ে যায় বড়কে নাকাল করার। সেই গোলিয়াথ দৈত্যকে শিশু ডেভিড কর্তৃক পরাস্ত করার থিওরি- ওটা বড় বলেই আক্রমণ করা সহজ! ভাইরাস অতি ক্ষুদ্র বলেই তার সাথে লড়াই করা কঠিন।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৯
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×