আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে, জাতীয়ভাবে দুই নেত্রীর অনুকম্পা থেকে দেশ ও জাতীকে রক্ষা করতে, দেশে ব্যবসায়ীদের রাজনীতিবিদ হওয়ার উচ্চাশা প্রতিরোধ করতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আত্মসম্মানমুলক গনতন্ত্র প্রবর্তন করে তরুন মেধাবী রাজনীতিবিদদের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে অগ্রগামী হওয়ার লক্ষ্যে আমার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু পরামর্শ।
১. জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট করতে হবে। বর্তমান সংসদ থাকতে পারে উচ্চকক্ষ স্তরে যা সরাসরি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হবে। নিম্নকক্ষে থাকবেন আসন গুলোতে পরাজিত(দ্বিতীয়স্থানপ্রাপ্ত) প্রার্থীগন, ফলে উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যা হবে সমান। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন দুই কক্ষে একই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ঠেকানো সম্ভব, তেমনি সম্ভব অল্প ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থীদের রাজনৈতিক সম্মান রক্ষা করা। দুই কক্ষে একই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সরকারী দলের স্বেচ্ছাচারিতার বন্ধ হয়ে যাবে।
২. করা যেতে পরে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। যার সদস্য হবেন সাবেক সাংসদ/মন্ত্রী/রাষ্ট্রপতিগন। সদস্য সংখ্যা সীমিত হবে না এই কাউন্সিলের। তবে যে কোন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলে তার সদ্স্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। এই কাউন্সিলের নেতা নির্বাচিত হবে কাউন্সিলের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর পর। এই কাউন্সিলের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন নির্বাচন কমিশনের কমিশনার গন। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত কমিশনারই হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
৩. সংসদে সাংসদদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে।
৪. কোন ব্যক্তি যে কোন পর্যায়ের রাজনৈতিক পদে(কমিশনার/কাউন্সিলর, মেয়র/চেয়ারম্যান, সাংসদ/প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি) সর্বোচ্চ দুইবার নির্বাচন করার বিধান করতে হবে।
৫. যে কোন পর্যায়ের নির্বাচনে একবার পরাজিত হলে কেউ ঐ একই পদে দ্বিতীয়বার নির্বাচন করার বিধান না রাখা। এবং যে কোন পর্যায়ের রাজনৈতিক পদে(দলীয় প্রার্থী নির্বাচন, কমিশনার/কাউন্সিলর, মেয়র/চেয়ারম্যান, সাংসদ/প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি) একবার প্রার্থী হলে যে কেউ আজীবন রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে আসীন হবার যোগ্যতা হারাবেন।
৬. প্রতিটি দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শতভাগ গনতান্ত্রিক হতে হবে, এবং তাও হতে হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যাতে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীগন দলীয় প্রধানের করুনার মুখাপেক্ষী না হতে হয়।
৭. নিম্নকক্ষ-উচ্চকক্ষ-গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যেন:
ক) উচ্চকক্ষ কোন সিদ্ধান্ত একা নিতে না পারে।
খ) আভ্যন্তরীন/জাতীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইস্যু সমুহে সম্পৃক্ত থাকবে নিম্নকক্ষ।
গ) জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, পররাষ্ট্র নীতি, জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত থাকবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



