শুভ৭৭ এর, "মানুষ মেরে উল্লাস! কিছু পোষ্ট শিবিরের প্রতি মানুষকে সহানুভূতিশীল করবে"-কিছু কথা।
--------------
মুল লেখাটা হয়ত ভালোই লাগতো যদি লেখক হঠাৎ করে নোমানি'কে কেন্দ্রে না রেখে তার ব্লগটা লিখতেন।
কাঙ্গাল মুরশিদে'র সাথে ১০০% একমত।
যে কোন খুনকে'ই ঘৃণা করা উচিৎ। খুনি'র হওয়া উচিৎ যথাযোগ্য শাস্তি। কিন্তু তারপরেও যুদ্ধে খুনাখুনি হয়। ইসলামিক যুদ্ধেও হয়েছে। একজন পাকিস্তানি বর্বর কে হত্যা করে আমরা খুশি হয়েছি। বিজয় উল্লাস করেছি। কাফির মেরে হয়েছে নবিজী'র সাথি'রা উল্লসিত। অর্থাৎ সব খুনকেই আপনি এখ কাতারে ফেলতে পারেন না। খুন'কে বিচার করতে হবে যথাযোগ্য মানদন্ডে।
লেখক'কে কয়েকটা প্রশ্ন করছি। যারা লেখকে'র পক্ষে বলেছেন বা যারা নোমানি'র পক্ষে'র লোক তারাও চাইলে উত্তর দিতে পারেন:
---১) বাংলাদেশে'কি এই প্রথম কাউকে হত্যা করা হল? রাজনৈতি্ক হত্যাকান্ড কি বিগত সরকারের আমলে কম হয়েছে?
---২) বি.এন.পি. হত্যা করেছে আওয়ামিলীগে'র নেতা/ কর্মী'কে কিংবা আওয়ামিলীগ হত্যা করেছে বি.এন.পি.'র নেতা/ কর্মী'কে। এটাতো বাংলাদেশে কোন নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু কেবল শিবিরে'র কাউকে কখনো কেউ হত্যা করলেই আপনারা ব্লগে চলে আসেন। কেন?
---৩) যদি হত্যা'কে ঘৃণাই করেন তাহলে সব হত্যাকান্ড'কেই ঘৃনা করা উচিৎ। এখন বলুন কোন্ হত্যাকান্ডের পর আপনি কি কি লিখেছেন প্রতিবাদ স্বরূপ। আমি জানতে চাই আপনি সত্যিকার অর্থেই সকল খুন-বর্বরতা'কে ঘৃনা করেন কি না।
এবার নোমানি প্রসঙ্গে আসি।
---১) রাজশাহী বিশ্ব:বিদ্যালয়ে নোমানি'কে ছাড়া মারার মত কি আর কেউ ছিলনা? তাকে'ই কেন মারা হল?
---২) কোন ঘটনার ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকান্ড? নিশ্চয়ই বিনা বাতাসে পালে দোলা লাগেনি। সেই বাতাস'টা দিল কে এবং কেন?
---৩) নোমানি'র রাজনৈতিক ইতিহাস কি? কার ছত্র ছায়ায় নোমানি'র উত্থান?
---৪) শিবিরে'র বিশ্ব-বিদ্যালয়ে'র হল দখল কি ছাত্রদল আর ছাত্রলীগে'র রাজনৈতিক চরিত্র থেকে সংগ্রহ করা না কি নিজেদের ক্ষমতা প্রমান করার উদ্দেশ্যে প্রচারনা।
নিচে কিছু মন্তব্যে'র জবাব দেয়া হল:
আথ্যরিক বলেছেন: এইবার বলেনতো শিবির কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি করেছে।?
তির্থক: শিবির কিছুই করেনি তবু কেন শিবিরে'র কাউকেই মরতে হল। আপনাকে কেন মারা হল না। না কি যারা কিছু করে তাদের'কে মারা হয়না, নিশ্পাপদেরকেই শুধু ধরে ধরে মারা হয় এই দেশে। বলেন? সোজাসুজি জবাব দেন।
লেখক বলেছেন: যে ছাত্রটি নিহত হয়েছে, তার জন্ম ৭১ এর পরে। তাই সে ৭১ এর মানুষ হত্যাকারিদের মধ্যে পড়েনা। আর ৭১ এর মানুষ হত্যাকারিদের বিচারের পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। আইন, আদালতে সরকার তাদের বিচার করবে। সবকিছু একটা নিয়মের মধ্যে চলতে হবে।
তির্থক: ৭১ এর পরে জন্ম বলেইতো তারা শিবির করছে তা না হলে তো ওরা জামাত করত।
সহজ ব্যাক্ষা হচ্ছে, জামাত বাংলাদেশে'র স্বাধীনতা চায়নি। তাই তারা বাংলাদেশে থাকার যোগ্যতা রাখে না। ৭১এ তারা এবং তাদের স্ব-গোত্রীয় রাজাকার দোষরে'রা ৩০ লক্ষ বাঙ্গালি'কে হত্যা করেছে, লুন্ঠন করেছে লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম। সুতরাং যতদিন এর প্রতিশোধ সুদে-আসলে মিটিয়ে না নেয়া হচ্ছে ততদিন বাঙ্গালি'র সংগ্রাম চলতেই থাকবে।
এই জামাতি কুত্তাগুলো'কে যারা অনুষরন করে তারা হচ্ছে শিবির। অর্থাৎ পার্ট অফ জামাত & গোইং টু বি ফুল জামাত সুন। ওরাও বাঙ্গালি'র চোখে একই অপরাধে আপরাধি আবং ওদের পরিনামও জামতিদে'র মতই হবে। এটাই স্বাভাবিক।
লেখক বলেছেন: আমরা সবাই মানবিকতা আশা করি, সেটা সবার প্রতি।
তির্থক: জামাত-শিবিরে'র প্রতি মানবতা দেখালে আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ আর লক্ষ লক্ষ মা-বোন'কে অপমান করা হবে। বাংলাদেশের সাথে বাইমানি করা হবে। গোটা জাতী'কে ধোকা দেয়া হবে। বাঙ্গালি হয়ে এটা করা অসম্ভব।
জাতেমাতাল বলেছেন: কাউকে পিটিয়ে মেরে তার রাজনীতি মুছে দেওয়া যায় না, রাজনীতি থাকে একটা মতবাদ হিসাবে, একটা শরীর তাকে বয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু শরীরটা রাজনীতি না, যে তাকে মারলেই রাজনীতিটা নাকচ হয়ে যাবে।
কিন্তু জামাতের রাজনীতির বিরুদ্ধাচরন, তাকে সমালোচনার কাজটা বন্ধ রাখা যাবে না।
জামাতের রাজনীতিকে নাকচ করতে হবে, পালটা রাজনীতি দিয়েই।
তির্থক: জামাত-শিবিরে'র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিৎ এইজন্য যে তারা বাংলাদেশ স্বাধীন হোক এটাই চায়নি।
নোমানি হত্যা শিবিরে'র কৃতকর্মে'র ধারাবাহিকতা'র ফল। ৭১এর পাপিদের পাপের শাস্তি তাদের অনুষারিরা পাচ্ছে। এই আর কি।
তির্থক: তর্পনে'র ছবিটি বিভৎস। এটার উপরে লেখকের একটা ব্লগ চাই।
তর্পন বলেছেন: যে সংগঠনের নেতারা পাক দোসরদের তুষ্ট করার জন্য নিরীহ মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছে, বুদ্ধিজীবিদের চোখ উপড়ে নিয়েছে, কলজে ছিড়ে এনেছে হত্যার পর, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানী করেছে ।
তির্থক: সে'দলই শিবির। নোমানি তারই একজন।
পরিশেষে বলি, যারা একাধিক নিক ইউজ করছেন তারা এক নিকেও জাতীয় শত্রু, একাধিক নিকেও তাই। জামাত-শিবির'কে সমর্থন দেয়ার একটাই অর্থ আর তা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশের শত্রু। একদিন বাংলাদেশ চাননি, আজ বাংলাদেশে বাস করছেন আর আগামিতে সুযোগ পেলে ৭১এ পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবেন। এখন শুধু শাপের মত ছোলম বদলিয়ে নিরিহ চেহারা দেখাচ্চেন। যদিও জানি ভিতরে ভিতরে ঠিকই ছোবল হানছেন শাপেরই মত ভয়ংকর ভাবে।
আমরাও সতর্ক আছি একেকজন সৈনিক, একেকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এদেশ আমাদের। একেকটা রক্তবিন্দু দিয়ে রক্ষা করব স্বাধীনতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



