আমার ব্লগ লেখার আনন্দের শুরুর এই সেই নিক- সূর্য্যপূত্র ও চাঁদকন্যা
এই নিকের বয়স ১০ বছর ১ সপ্তাহ। কাজেই বুঝা যায় এই নিকের এক সপ্তাহ পরেই আমি অচিনপাখি ওরফে অপ্সরা হয়ে এসেছিলাম। আর এই আসার কারণটাই ছিলো আমার সেকালের স্বভাবসিদ্ধ ঝগড়া স্বভাব। সূর্য্যপুত্রের সাথে ঝগড়া করে আলাদা হয়ে গেলাম, মানে সেপারেশন। হা হা এই সেপারেশন মানে কথা বন্ধ। জীবনেও তোর মুখ দেখবোনা টাইপ চির প্রতিজ্ঞা আর এই অচিনপাখি হয়ে তাকেও না চিনতে দেবার চেষ্টা। কিন্তু সূর্য্যপুত্র কি আর আমার মত ! সে হলো ঠান্ডা মাথার শয়তান। ঠিকই ধরে ফেললো।
ওহ তবে অচিনপাখি হবার সাথে সাথে আমি আবার বরুণাও হয়ে গেলাম। কারণ আবিষ্কারের আনন্দ। আমি তখন নিক খোলা শিখে এত অল্পে কি আর সন্তুষ্ট হবো! তাই একের পর এক টপাটপ নিক খুলছি। যাই হোক এই হলো সেই বরুণা- ওহ তার আগে একটা কথা বলে রাখি সূর্য্যপুত্র ও চাঁদকন্যায়আরও অনেক অনেক লেখা ছিলো। কিন্তু এখন সেখানে মাত্র ২টি লেখা। এর কারণও আমার সেই আগের দিনের চন্ডাল রাগ। রাগ করে দিয়েছিলাম মুছে সবগুলো পোস্ট! এখন দুঃখ হয়। কেনো যে আমি এমন করি!
যাইহোক অচিনপাখি বা অপ্সরার সাথে সাথে আমি হলাম-
বরুণা
তবে বরুণা নিকের বিশেষ মহাত্ব হলো এই নিকে বসে বসে আমি অং বং কাব্য চর্চা বা ছড়িতা লেখা শুরু করি। আমার সাথে পাল্লা দিয়ে সূর্য্যপুত্রও। ওহ উনি আবার আমাকে দেখে তখন হয়েছেন প্রতিফলন। আমি খুব ছোট থেকে প্রতিযোগীতামূলক মনোভাবের মানুষ। আমার ধারণা সূর্য্যপুত্রও তাই ছিলো। ওহ আমরা তো আবার একই রাশি। সে সিংহ আমি সিংহী। যাইহোক- বরুণা নিকের কারনেই এবং সূর্য্যপুত্র বা প্রতিফলন, পলাশমিয়া ভাইয়া একরামুল হক শামীম, ভাঙ্গা পেন্সিল এমন কিছু মানুষের কারণে আমার লেখালিখি নিয়ে শুধুই আনন্দই না একটু সিরিয়াস হতেও শেখা শুরু হয়। বরুণা নিকে আমরা যে যৌথ বসন্তদিন লিখেছিলাম আর কিছু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলাম তা অবিস্মরনীয়। তবে পরিচয় গোপন করার জন্য এবং একদা একসময় পরিচয় প্রকাশ করে দেবার পর কিছু মানুষ ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলো।বিশেষ করে জেরীমনি বা ব্লগার জেরী সে ভীষন হার্ট হয়েছিলো। সে কোনোভাবেই মানতে পারেনি গল্পটা কোনো মিথ্যে কাহিনী হতে পারে। আমিও কোনো লেখার পিছের ইতিহাস আসলে এক্সপ্লেইন করার পক্ষপাতি নই এবং সেই গল্প সত্য কি মিথ্যা সেটাও আমি কখনই বলবো না। তবুও অনেকেই বলেছিলো এই বসন্তদিনের এই সত্যিকারের মত করে লেখা মিথ্যে ভালোবাসার গল্পটার জন্য লেখিকার শুধুই ঘৃণাই প্রাপ্য। তবে গল্পটা বা ভালোবাসাটা কি সত্যিই ছিলো নাকি মিথ্যা তা হয়ত একমাত্র সূর্য্যপুত্রই ভালো বলতে পারবে। হা হা হা .... যাইহোক ....এই লেখা যে যাই ভাবুক , এটা একটা ডকুমেন্ট আমার আর সূর্য্যপুত্রের প্রপার্টি। আমরা গত বছর এ লেখার বই পাবলিশ করেছি। তবে বইটা শুধুই আমার কাছে আছে। প্রায় ২০০ কপি। আমি কোনো বুকস্টলে বইটা রাখিনি। থাকুক ওরা আমার কাছেই। মাঝে মাঝেই আমি কাউকে কাউকে সেখান থেকে উপহার দেই। পরম যতনে। কেউ জিগাসা করলে বলি হা হা গল্প কখনও সত্যি হয়! এমন কত আছে! আমি তো স্টোরি মেকার জানোনা!!!!!!!!!!
বসন্তদিন নিয়ে স্বপ্নজয়ভাইয়ার ই বুক -
অপ্সরা ও স্বপ্নজয় যৌথ প্রযোজনা ২ - ঈদ স্পেশাল ইবুক
আমার আঁকা প্রকাশিত বইটি ...
এ সময়গুলোতে, কালপূরুষভাইয়া, রিয়াজ শাহেদ, প্রলয় হাসান, অজন্তা আপু আরও আরও আরও অনেকেই ঘিরে ছিলেন আমাকে ঘিরে, আমাদেরকে ঘিরে। আমি কখনই এক নিকে লিখে শান্তি পাইনি। বরুণার ছড়িতা বা বসন্তদিন ধারাবাহিকের সাথে সাথেই চললো অপ্সরার ডেইলী ব্লগিং। কি মারাত্মক এডিকটেড ছিলাম সে বলে বুঝাতে পারবো না। রোজ রোজ কিছু না কিছু লিখতেই হবে। কি সাজুগুজু করলাম, রাঁধলাম, আঁকলাম, বানালাম, বেড়ালাম। মনে পড়ে নুশেরা আপুকে, সাজি আপুকে, ফেরারী পাখি আপু, পারভীন আপু
আরও কত শত মানুষেরা যারা ছিলো প্রিয় নিকের তালিকায়। ব্লগিং করে আনন্দে মেতে ওঠে অনেকেই দেখেছি আমি বুঝি তাদের আনন্দটা তবে আমার সেই আনন্দ আমি কখনও লিখে বুঝাতে পারবোনা।
অপ্সরা
যাইহোক অপ্সরা নিকে কেটে গেলো একটি বছর- আমার সে বছরের বর্ষপূর্তি পোস্ট ছিলো-
ব্লগ পরিবারে একটি বছর
কত শত প্রিয় মানুষকে যে স্মরণ করেছিলাম সে বছরে। সবাই তো অবাকই হয়েছিলো মনে হয় এ পাগলামী দেখে। আসলে ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাইনি এ ছাড়া। যাইহোক এই সেই পোস্টের কিছু অংশ.....
কালপূরুষ- এইভাইয়াটা আমার অনেক অনেক প্রিয় একজন ভাইয়া......
মনজুরুল হক- আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আরেকজন ভাইয়া.......
স্বপ্নজয়- একটা দুষ্টু অথচ মায়াময় ভাইয়া.......
অরুনাভ - কেমন কেমন করে এই অরুন আলো ভাইয়াটাও আমার......
রুবেল শাহ- আমার ম্যাও ভাইয়াটা .......
সাইফুর- এই ভাইয়াটা চিকনভাইয়া .........
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল, ধীবর ভাইয়া, খলিল মাহমুদ ভাইয়া, শান্তির দেবদূত,জুলহাস,ভাস্কর, বিবর্তনবাদী,উধাও ভাবুক,অন্ধ দাড়কাক,অক্ষর, রাহাত, আকাশ অম্বর,আকাশ পাগলা,অদৃশ্য ,নিবিড়,আবু সালেহ,নম্রতা,ছন্নছাড়ার পেন্সিল, তনুজা,সাজি আপু,সহেলী,চিটি আপু,নির্ঝর নৈঃশব্দ্য,গেওর্গে আব্বাস,লাবণ্য প্রভা, গল্পকার,আশরাফ মাহমুদ, লীনা ফেরদৌস, নাজনীন খলিল আপু, লীনা দিলরুবা, হিমালয়,ভাঙা পেনসিল, আহমেদ রাকিব,চোরকাটা, রুবাইয়াৎ, হাইফেন, মেহরাব ম্যাভেরিক ভাইয়া, ইমন জুবায়ের ভাইয়া, মেঘদূত, তারার হাসি,নীর্ঝরিনীআপু,সোহানা আপু,সামছা আকিদা,মেহবুবা,শ্রাবনসন্ধ্যা,মমমমমমম আপু,নীরজনআপু,আইরিন আপু,ভোর,শতরুপা,রুখসানা তাজীন ......... কত কত মানুষ হারিয়ে যায় এই পরিবার থেকেও ব্লগ জীবন থেকেও .......
যাই হোক চির স্মরণীয় ক্ষতি বা হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর তালিকায় আমি ইমন জুবায়ের ভাইয়া এবং সাগর সারওয়ার ভাইয়ার নামই বলবো। এ ক্ষতি কখনও পূরণ হবার নয়...... আরও একজন হারিয়ে যাওয়া মানুষের নাম মনে পড়ে রাজামশাই ভাইয়া।
ইমন জুবায়ের ভাইয়ার কথা উঠতেই মনে পড়ে গেলো অপ্সরা নিকে আমার জন্মদিনে ভাইয়ার হঠাৎ উপহার দেওয়া পোস্টটির কথা-
শুভ জন্মদিন অপ্সরা
এছাড়াও সেবার আমি সত্যিই অবাক- এত ভালোবাসা এত মায়া কোথায় রাখি আমি !!!
শুভ জন্মদিন অপ্সরা আপুমনি - স্বপ্নজয় ভাইয়া
তারকাগো লগে লগে ............. - ফেরারী পাখি আপু
প্লিজ বলোনা,কি চাও তুমি তোমার জন্মদিনে??? - রফিক এরশাদ ভাইয়া
একরামুল হক শামীম,ব্যাকটেরিয়া,অপ্সরা ওনাফিস ইফতেখার আপনাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা। - নীলআকাশের দুঃখ ভাইয়া
আর একজনের কথা না বললেই না সে আমার ফয়সাল ভাইয়া। তার উইশ ছাড়া তো আমার আর এই ১০ বছরে কোনো জন্মদিনই হয় না! আগামীতেও হবে না মনে হয় .....যদিও তার বিনিময়ে আমি ভাইয়াকে কিছুই কখনও দিতে পারিনি । একমাত্র আমার আঁকা ছবিটি ছাড়া।
জন্মদিনের সিন্ডিকেটধারী ব্লগার অপ্সরাপু .....
অপ্সরা নিকে আমার একটি প্রিয় পোস্ট, হিমালয়ভাইয়ার জন্য লেখা এই পোস্টটা-
হিমুর জন্য গ্লাসভর্ত্তি হিমহিম ঠান্ডা হিমেল চা
যাইহোক, অপ্সরা নিকটি ছিলো আমার আনন্দময় বিনোদনীয় নিক। এখানে আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে আমার বাস্তব ও কল্পনা জগতের অনেক কিছুই শেয়ার করেছিলাম। সে সময় ব্লগে আনন্দ ছিলো, মান অভিমান ছিলো, ক্যাচালও ছিলো। তবে আমি তো ছিলাম আপনার মাঝে আপনি হারা। কেচাল মেচালে জড়ায় কে? আমিও মনে হয় নিরাপদ বলয়েই ছিলাম সকলের কাছেই। তবে আমার আশেপাশে প্রথম কেচালের আভাস পাই অপরবাস্তব নিয়ে পোস্টটি দেবার পরেই। বুঝতে পারি ব্লগের কেচালবাজেরা এমনকি কিছু নিরীহ মানুষেরাও খেপে উঠেছে। আমাকে আর নিরাপদ ভাবছে না তারা.....
অপ্সরা নিকে আরেকটি মজার কানাঘুষা যা প্রায়ই শুনেছি তা হলো আমি এই ব্লগের কোনো হিডেন মডু। অনেকেই অনেকবার আমাকে এসে জিগাসা করেছে। ছলে বলে বা কখনও কখনও চেপে ধরেছে, সত্যি করে বলতো তুমি মডু না!!!!!!! হা হা হা হা আরে সত্যি করে বলবো কেনো! মিথ্যে করেও যদি আমাকে মডু ভেবেই থাকো তো প্রবলেম কি বাছাধনেরা!
যাইহোক এই ছিলো মোটামুটি অপ্সরা নিকের ১০ বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- তবে ২০১০ এর কোনো এক স্প্রিং ব্রেকের প্রাক্কালে আমার আবার অপ্সরা নিক থেকে পালাতে ইচ্ছে করে। আমি হয়ে যাই শায়মা। ২০১০ এর মার্চে আমি খুলে বসি এই নিকটি। শুধুমাত্র খেলা ছলে। যেই নিকটির মায়ায় এরপর পড়ে যাই। আমার আর তেমন কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে চির বৈরাগী পালাই পালাই স্বভাবে আমি আরও আরও নিকে ঘুরেছি। তবে আসছি সেসব কথায় আরও পরে।
শায়মা নিকে আমার প্রথম পোস্ট। জাস্ট রাম শ্যাম যদু মদু টাইপ লিখলাম কিছু একটা আর কি।
আমি জ্বালবোনা, মোর বাতায়নে প্রদীপ আনি
এরপর সেই ২০১০ থেকে এখানে লিখেছি ১৭৫ টি পোস্ট। কিছু কিছু মুছেও ফেলেছি নানা কারণে। তবে এই নিকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক পোস্ট লিখেছি আমি। অপ্সরা আমি ঘোষনা দেবার পরেও পেয়েছি অনেক অনেক মানুষের ভালোবাসা। তবে দিনে দিনে সেই নিরীহ আমির সাথে বদনামও জুটেছে আমার, বদরাগী আমি, চন্ডাল রাগের আমি, মিচকা আমি, দরকার পড়লেই বা না পড়লেও ছুড়ে ফেলে দেওয়া আমি মানে কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাঁজী এমন টাইপ আর কি, আরও কত কি!!!!!
যাইহোক, তবুও তবুও কত মায়া, কত ভালোবাসায় জড়িয়ে রয়েছি আমি এই ব্লগটাতে আজ ১০টি বছর ধরে। এর মূল্যও কম নয়। এই অপরবাস্তব জগতটা আমাকে বাস্তবে চলতে শিখিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। লিখতে শিখিয়েছে, ভাবতে শিখিয়েছে। ঠান্ডা মাথায় ডান্ডা মারাটাও এখান থেকেই শেখা। তবে সবচেয়ে বড় শেখাটাই আমার কিছু অরগানাইজ রাইটিং শিখতে পারা, মনের আবেগকে কিছু কিছু লেখায় ঢেলে দিতে পারতে শেখা, কল্পনার জগতে ভাসতে গিয়ে নিজেই সেখানে ভেসে যেতে পারা। কত কত স্মৃতি, কত কত মান অভিমান, ভালোবাসা, অভালোবাসার ইতিহাস জমে আছে এই ব্লগের পাতায় তা কজনেই বা জানে?
শায়মা
শায়মা নিকটিতে মূলত আমার নিউ এক্সপেরিমেন্ট শুরু। রোজ রোজ লিখতাম । যা মনে আসে তাই। নতুন রূপে, নতুন ভাবে। কথায় আছে গাইতে গাইতে গায়েন....... আমার নিজের দিকে তাকালে আমারও এমনটাই মনে হয়। অধ্যবসায়ী মানুষের কিছু না কিছু জয় তো আছেই। আর এই দিক দিয়ে আমি নিজেকে বেশ অধ্যবসায়ীই মনে করি। যাইহোক মনে পড়ে এই নিকে প্রথম দিককার লেখাগুলোর সাথে ছিলো মুকুটবিহীন সম্রাট, নস্টালজিক, কথক পলাশ, সুরঞ্জনা আপু,
আরও কত শত জন.....
এই নিকে খোকাভাই সিরিজের কবিতা লিখে আমি বেশ অনেক প্রেমিক হৃদয়ের ভালোবাসা পেয়ে যাই। বরাবরের মত তারা ভাবতে থাকে এই খোকাভাই এর নিরু, সে আমিই । আমিই সেই ছ্যাক খাওয়া নিরুপমা। ওহ আমি একি নিক খুলেছিলাম নিরুপমা। তবে সেখানে তেমন কিছু লেখা হয়নি আমার। আর খোকাভাই এর সেই নিরুও আমি নই। সে আমার কল্পনাপ্রবন মনের উন্নত কল্পনা। তবে ভীষন ভীষন আপ্লুত হই যখন মনে পড়ে সমুদ্রকন্যা লিখেছিলো তার বই এর পাতায় প্রিয় পুরুষ শীর্ষেন্দু এর ধ্রুব এর সাথে সাথে আমার খোকাভাইও তার বিশেষ প্রিয়।
শায়মা নিকে আমার আরও একটি বিশেষ সিরিজ আমার বিশেষ প্রিয়-
তুমি আমার সারাবেলা
এই গল্পের বেশিভাগ কনভারসেশন মানে ৯৯%ই আর সত্য মিথ্যেয় মিলানো ঘটানাটি আমার এককালের খুব প্রিয় বন্ধু রুমির কনভারসেশন থেকে নেওয়া। এরপর তার সাথে আমার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিচ্ছেদ হয়। মানে তুমুল রাগ, দুঃখ, মান, অভিমান বা নাম না জানা কোনো ক্রোধ......
আমার চোখে আমার লেখা জন্মদিনের সেরা পোস্ট
যাইহোক, এই নিকে আমি নানা রকম লেখাই লিখেছি তবে ২০১৫ এর পরে এই নিকটির লেখার ধরনে আমি বিশেষ পরিবর্তন আনি। এই চেঞ্জটার জন্য বিশেষ একজনের অবদান আছে। তার নামটা বলাটা সে পছন্দ করবে না বলেই আমি উহ্য রাখছি। শায়মা নিক থেকে আমি কি করি আজ ভেবে না পাই ভাইয়ার সাথে ক্রমাগত ছড়িতা লিখে মহা আনন্দ পেয়েছি। জিনিভাইয়া গেম চেঞ্জার রিকিমনি ছিলো আমার নতুন করে দেখা পাওয়া কিছু অসাধারণ মানুষ। আরও বিশেষ এক জনের কথাটা উহ্য রাখলাম। হয়ত বিশেষ অভিমান বা দুঃখ থেকেই। যাইহোক কোনো দুঃখ সুখ ভালো লাগা বা ভালোবাসাই আমার কাছে চিরস্থায়ী নয় তবুও এই ব্লগটা অনেকদিন জুড়েই রয়ে গেছে আমার জীবনের সাথে এও এক বড় রহস্য।
স্পর্শিয়া
এই ১০ বছরে আমি নানা রকম নিকে নানা রকম লিখেছি। তবে স্পর্শিয়া নিকের সৃষ্টি করেছিলাম কেনো জানিনা। তবে সেখানে লিখতে গিয়ে মনটা বসে গেলো। ভুলেই গেলাম কে আমি। পাথরকুঁচির সাথে বা তার ভেতরে বসবাসের দিনগুলো ছিলো অসাধারণ। সেই অদেখা অজানা মেয়েটার সুখ, দুঃখ, হাসি কান্নাগুলো গেঁথে গেলো বুকের ভেতরে। ভুলে গেলাম আমার চারপাশ। এ এক অন্যরকম বসবাস। অবশেষে সবকিছুর পরেও তাকে জিতিয়ে দিলাম। এই নিকটির মানুষটাকেও অনেকেই ভুল বুঝেছে। অনেকেই অভিযোগ করেছিলো প্রায় প্রতারনার যে আমি এই ছদ্মনামের আড়ালে লিখছি তা কেনো জানাইনি। পাঠক বা যে কেউ এমনটা ভাবতেই পারে, বলতেও পারে তবে আমার কাজ আমি করেছি এবং করবো। কোন নিকের আড়ালে আমি কি লিখবো তা একান্তই আমার ব্যাপার।
সত্যিকারেই আমি কে? ক,জনাই বা জানে? যাইহোক এসব ছাড়াও আবার খুব খুব পরিচিত আরও কিছু নিক আছে। কখনও মনে হলে সেসব জানিয়ে দেবো। তবে হ্যাঁ যতদিন নীরবে নিভৃতে আমি সেই আমির বাইরে বসে সেখানে লিখতে চাই ততদিন সেভাবেই থাকবো।
নীল নীলপরী
এই নিকটাতে আমি লিখেছিলাম যা তার অনেক কিছুই আমি মুছে ফেলেছিলাম কেনো যেন। তারপরও কিছু কিছু লেখা এখনও পড়ে রয়েছে এই ব্লগের পাতায়। তবে লেখার চাইতে এই নিক দিয়ে আমি মন্তব্য করেছি বেশি। বেশিভাগই জিনিভাইয়া আর রিকিমনির সাথে মজার মন্তব্য আদান প্রদান!
এইবার একটা ভাইয়া নিকের কথা বলি। নিকটার সৃষ্টি হয়েছিলো এক প্রিয় বন্ধুর অনুরোধে তার জন্যই। প্রথমদিকে সে এই নিক থেকে কমেন্ট করতো। লেখালিখিতে তার চরম আলস্যের কারণে তার হয়ে আমিই সেখানে কাব্য লিখে রাখতাম। কমেন্টার হিসাবে বা ফেইসবুকে সে ছিলো দারুন প্রজ্ঞাবাণ আর বন্ধুবৎসল। ভাইয়াদের সাথে সাথে অনেক অনেক আপুরাও তাকে ভীষন পছন্দ করতো।
তো এই নিকে আমারও প্রবেশাধিকার ছিলো। মানে আমার বানিয়ে দেওয়া নিকের পাস চেঞ্জ করবে তার ঘাড়ে কয়টা মাথা!!! তো মাঝে মাঝে তার হয়ে আমি কমেন্ট আনসার করে দিতাম। অনেক হাসতাম তারপরে দুজনেই।
যাইহোক একটা সময় এই নিকে আমি বেশ কিছু কবিতা ও গল্প লিখেছিলাম। যদিও ব্লগের ইতিহাসে আমি কস্মিনকালেও এই নিকের লেখাগুলি যে আমার সে কথা স্বীকার করিনি বা বলিনি বটে তবে আমার কবিতার বই- ইচ্ছেগুলো উড়িয়ে দিলাম প্রজাপতির পাখায়, বইটিতে যে কেউ ভালোভাবে সবগুলি কবিতা পড়লেই আর ঐ নিকটিকে চিনলেই ধরে ফেলতে পারবে আমিই সেই ব্যাক্তি ছিলাম!
এই সেই নিক
তবে আমার বন্ধুটি হয়ত এই লেখা দেখে ভীষন রাগ করবে তার প্রাক্তন বান্ধবীদের কাছে নিকের রহস্য বা কবিতা রহস্য প্রকাশিত হয়ে যাবার জন্য হয়ত!
আমার দেখা ১০ বছর আগের সেই ব্লগ আজ আর নেই। নেই শত শত নিকগুলিও। পুরোনোরা হারিয়েছে সেই নতুন ডালে এসেছে শত শত নতুন কুঁড়ি। তবে আজও কিছু গুণীজনেরা আমাদেরকে আগলে রেখেছেন পরম মমতায়। তেমনি কিছু মানুষ, আহমেদ জি এস ভাইয়া, খায়রুল আহসান ভাইয়া, ডঃ এম এ আলীভাইয়া, খলিল মাহমুদ ভাইয়া, আর ইউ ভাইয়া, রেজওয়ান তানিম,সোহানী আপু, মনিরা আপু, করুনাধারা আপু, আখেনাটেন ভাইয়া, হাসান মাহবুব ভাইয়া, প্রিয় ভাইয়া অপু তানভীর ভাইয়া,বৃতিমনি, কথাকথিকেথন, মোটা ফ্রেমের চশমা, জাহিদ অনিক, ফাতেমা ছবি আপু, গুলশান কিবরিয়া আপুনি, মাহমুদ ০০৭ ভাইয়া, গিয়াস লিটন ভাইয়া এদের জন্য ব্লগটা আজও মায়াময় এবং গৌরবান্নিত বলে আমি মনে করি।
সবশেষে জানা আপুর জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা। আমার জীবনের এত গুলো দিন ধরে এক আনন্দময় পরিভ্রমনের সুযোগ করে দেবার জন্য। সাথে শত্রু মিত্র সকলের জন্য ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮