
টুপটাপ বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তাবুর মধ্যে একটা রাত কাটিয়ে দিলাম, পাশেই খরস্রোতা এক নদীর উত্তাল স্রোতের শব্দ।
ভোর হলো, আজকের দিন টা অনেক বড় যাবে... মানে আজ অনেক জায়গায় যেতে হবে। তাই দিনটা শুরু করলাম একদম ভোরে। সবেমাত্র ৪.৩০ বাজে ঘড়িতে। বাইরে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে, বাইরে একপলক তাকিয়ে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো।

সীমান্ত থেকে মাত্র ৮.৩ কিলমিটার দূরে অবস্থিত এই এক টুকরো স্বর্গ। রাষ্ট্র নামের এক বেড়াজালে আবদ্দ হয়ে আছে প্রকৃতি ও।
বিন্দুমাত্র সময় নস্ট না করে বৃষ্টির মধ্যেই চলে গেছি নদীর পারে। হাজারো পাথর জমে আছে,ছোট বড়। পাহারের ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে। পানির পরিমান কাল রাতের থেকে অনেকটা বেরেছে,কিন্তু পানির রঙ এখনো অবিশ্বাস্য। পানির মধ্যে দিয়ে নদীর নিচ পর্যন্ত স্পস্ট দেখা যায়। প্রকৃতির রুপসুধা পান করছিলাম একটি পাথরের উপর বসে!

শুন্যে ভাসছিলো রঙ্গিন নৌকা গুলো, না ঠিক শুন্যে না। পানিতেই ভাসছিলো, কিন্তু চখে মরিচিকা কাজ করছিলো তখন।

প্রায় ২.৫ ঘন্টার একটা গোসল দিলাম, চলে গেলাম ঝুলন্ত ব্রিজ টির উপর। ব্রিজ টি নদীর এই পারের সাথে অপর পার ক সংযুক্ত করেছে, অনেক বড় ব্রিজ টি। একসাথে ১৫ জনের বেশি উঠা বারন ছিলো ব্রিজ টিতে! তবে আমরা ৭ জন উঠতেই ব্রিজটির বুক কাপছিলো,সাথে আমাদের ও ।

ব্রিজ থেকে পুরো গ্রামটির রুপ আরো বেশি অনবদ্য লাগে। অসাধারন পাহাড়ি নদি আর ঝিরি, জানতে পেরেছিলাম এই পুরো নদীটির উৎস হলো বিশালাকার একটি ঝর্না।



চলে গেলাম ব্রিজ এর নিচে,ছবি তোলার জন্যে


উপর থেকে তোলা ছবিগুলো অনেকে ড্রোন শট ভেবে ভুল ও করতে পারেন। ৮ টা বেজে গেছে, ফ্রাঙ্ক আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো। পরটা আর ছলা,সাথে গরম এক কাপ চা। প্রকৃতির পাশে বসে চা খাওয়া টা আজিবন মনে থাকবে হয়ত!
তারপর আমাদের সুমো চলে আসলো। আমরা রউনা দিলাম শিলং এর উদ্দেশে। ডলার কে রুপি তে রুপান্তর করার জন্যে আমাদের বেসময়ে শিলং যেতে হচ্ছিলো। পাহাড়ি পথ দিয়ে আমাদের চলাচল শুরু, পাহাড়ের উপর হাইওয়ে রাস্তা। উন্নত মেঘালয় দেখে ভালোই লাগছিলো। প্রায় ১.৫ ঘন্টা চলার পর অসাধারন একটা গ্রামে প্রবেশ করলাম আমরা। গ্রামের নাম লাইলিংকট, এক কথায় অসাধারন। এক মুহূর্তের জন্যে ম্নে হচ্ছিলো কেনো শিলং কে প্রাচ্যে্র স্কটল্যান্ড বলা হয়।



আরো ৩০ মিনিট যাওয়ার পর আমরা পৌছাই শিলং এ , কখন দালানকোটা দেখতেও এতটা ভালো লাগবে ভাবিনি!!


শিলং এর পুলিশ বাজার থেকে রুপি করে আমরা রউনা হই চেরাপুঞ্জির উদ্দেশে। আগামি পর্বে থাকবে চেরাপুঞ্জির গল্প।
চলবে........
প্রথম পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




