চলে যাবে বলেছিলে কোন একদিন।
অকস্মাৎ ত্র্যহস্পর্শের কালে গেলে অজ্ঞাতবাসে।
সত্যি সত্যি আর ফিরবেনা, তাতো বলোনি।
কে জানে কেন তুমি স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলে?
এদিকে এখন আমি একলা একা থাকি।
অসীম অনন্তে,দিক দিগন্তে তোমায় খুঁজতে থাকি।
অবশেষে তোমার দেখা পেলাম একদিন।
স্ফটিক স্বচ্ছ কপোতাক্ষ নদের জলে।
যেমন তুমি পড়তে কালো টিপ,মধ্য সিঁথি বরাবর দুই ভ্রুর ঠিক মাঝখানে।
নীলাম্বরী শাড়িতে এখনো তুমি জাগ্রত দেবী সম,আমার হৃদয় জুড়ে।
আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে চেয়ে দেখলাম অপলক।
কি সতেজ! আজ অবধি বকুলগুলো তোমার করবীবন্ধনে,
আহ! আমি ঠিকই পাচ্ছি সুবাস এতোটা দুর হতে।
জানো কিনা জানিনা, এখনো আমার ভাবনাগুলো আবর্তিত হয় কেবলই তোমায় ঘিরে।
আমি যে এখনো বিহ্বল, সেই প্রথম দিনের মতো তোমার রূপ মাধুরিতে।
গ্রীষ্মের তাপদহ, বর্ষার বারিধারা, শরতের স্নিগ্ধ হাওয়া, হেমন্তের হৈমন্তী রং,
শীতের মিষ্টি কোমল রোদ,বসন্তের বাসন্তী বাতাস আসে ঋতু চক্রের আবর্তে যথানিয়মে, পালাক্রমে।
শুধু তুমি আসো না ফিরে।
একাকী জীবনে রাত নিশিথে দুর কোথা হতে ভেসে আসে ভায়োলিনের করুন সুর।
আমার বিষন্ন প্রহরকে করে তোলে আরো বিষন্ন।
তবুও ভালো আছি প্রিয়তমা, বিষন্নতা আমার ভালোই লাগে।
ভালো লাগে এই একাকীত্ব।
ভালো লাগে তোমার প্রতি আমার ধ্যান মগ্নতা।
চলে গেছো সময়ের হাত ধরে,
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে হয়তো।
তাতে কিছু যায় আসে না আর,
দিয়ে গেছো যত ভালোবাসা,যত মধুর স্পর্শ।
সেই সব স্মৃতি রোমন্থনেই কাটাবো সকল প্রহর।
এভাবেই রয়ে যাবো যতটা দিন বাঁচি।
জানি অবশেষে একদিন চলতে চলতে পৌঁছে যাবো ঠিকই তোমারও দ্বারে।
জানি আমি জানি।
সেই সব দিনগুলি হবে মর্ত্যলোকের চেয়ে আরো বেশি স্বপ্নিল ও বর্ণাঢ্য।
সেথা রবো শুধু তুমি আর আমি।
আর নয় কেহ।
আর কেহ নয়।।
©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১