রাত গভীরে দর্মার বেড়ার ফাঁক চুইয়ে,
উড়ে এসে জুড়ে বসলো
এক টুকরো পূর্ণ চাঁদের আলো,
আমার প্রিয়তমার মুখে।
কি অপরূপ! কি অপরূপ!!
আহা!!মরি মরি।
আমি একবার চাঁদ দেখি, আবার প্রেয়সীকে দেখি।
কে সুন্দর কার চেয়ে বেশি?
ভেবে হই সারা।
জোছনা না প্রিয়া?
কে কার অলংকার?
চিত্ত দিশেহারা।
আমি পুলকিত।
আমি শিহরিত।
আমি বিহ্বল।
আমি চমকিত।
আহ!এতো রূপের ঝলকানি, সত্যি সহ্য করা দায়।
অঘ্রাণের এই হিম ঝরানো রাতে।
আমি
উঠোন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ঝরা শিউলি
কুড়িয়ে এনে বিছিয়ে দিলাম গভীর আবেগে,
প্রিয়তমার জোছনাস্নাত ঘুমন্ত বিছানাতে।
ঠিক তখনই হঠাৎ,
কোত্থেকে এলো এক ঝলক মাতাল সমীরণ।
মধু মঞ্জরি, হাসনা হেনার সৌরভ গায়ে জড়িয়ে।
মুগ্ধ আমি বললাম হেসে,
ও মাতাল হাওয়া,
ফুল সৌরভে বয়ে যাও কোমল উষ্ণ তাপে।
দেখো খুব সাবধানে
আমার প্রিয়ার ঘুম যেন না ভাঙে।
তারপর ঘাড় ফেরাতেই দেখি
অজস্র জোনাক পোকা।
বললাম হেসে,
ও জোনাক পোকা আলোক ছড়াও আঁধারের ফাকে ফাঁকে।
ভুল করেও বসো যেন আমার প্রিয়ার চাঁদ মুখে।
তারপর
অপার্থিব মুগ্ধতায় আমি চেয়ে চেয়ে কাটাই মায়াবী প্রহর
রতিক্লান্ত ওই প্রেমময় মুখ দেখে।
আহা এ লগনে বেঁচে থেকেও সুখ।
আমি শুধু মুগ্ধ চোখে দেখি ঘুমন্ত প্রিয়ার মুখ।
©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক।
ফুটনোট
দরমা /বিশেষ্য পদ/ চাঁচ, চাঁটাই, চাঁচারি হতে প্রস্তুত আবরণ।
কৃতজ্ঞতাঃনুরুলইসলা০৬০৪
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১