শিকের অনিয়ম নিয়ে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন একজন শিার্থী। শিার্থীর ওপর সেই ক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন শিক পরীার হলে। বাইরে থেকে নকল এনে তা ওই শিার্থীর খাতার সঙ্গে গেঁথে দেয়ার চেষ্টা চালান তিনি। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুসতাক আহমেদ। ঘটনার শিকার বিভাগের শিার্থী ও দৈনিক যুগান্তরের রাবি প্রতিনিধি সায়েম সাবু।
ঘটনার পর সায়েম সাবু গতকাল শনিবার বিভাগের সভাপতিকে ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
ঘটনার শিকার সায়েম সাবু জানান, তিনি ওই বিভাগের ২০০৫-২০০৬ শিাবর্ষের শিার্থী। গত শুক্রবার তার চতুর্থ বর্ষের চুড়ান্ত পরীার শেষ দিনে ৪০৮ নম্বর কোর্সের পরীা ছিলো। সহকারী প্রক্টর মুসতাক আহমেদ ওই কোর্সের কোর্স শিক থাকায় তিনি পরীার হলে দায়িত্বরত ছিলেন। পরীার তিন ঘন্টা অতিবাহিত হলে তিনি অতীতে তার অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাবুর বিরুদ্ধে অবৈধপন্থা অবলম্বনের অভিযোগ তুলে তাকে মনস্তাত্বিকভাবে নির্যাতন এবং খাতা আটকিয়ে রেখে অযথা সময় পেণ করে পরীা খারাপ করতে বাধ্য করেন। তিনি পরীার হল সংলগ্ন বাথরুম থেকে হাতে করে কয়েকটি দোষণীয় কাগজ নিয়ে এসে সেগুলো সায়েম সাবু নকল হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। এর প্রেেিত তিনি তার প্রবেশপত্র ও খাতা নিয়ে নেন। এঅবস্থায় খাতা ফেরত চাইলে তিনি কাগজগুলো মুল খাতার সঙ্গে গ্রথিত করে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে সভাপতির কে চলে যান। এসময় তাকে খাতা ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, ‘তুমি তোমার পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করে আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক মর্যাদা যেভাবে ুণœ করেছ তার মুল্য আজ দিতে হবে। আমার ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তি এনে তুমি ক্যাম্পাস থেকে নির্বিঘেœ চলে যাবা তা হতে পারে না। তুমি ক্যাম্পাসের ইতিবাচক সংবাদ লেখার েেত্র পরিকল্পিতভাবে আমার বক্তব্য বাদ দাও’। তাকে নিয়ে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সাপ্তাহিকে সাংবাদিক আনিস রায়হান লিখিত প্রকাশিত সংবাদটিও সাবুর ইন্ধনে লেখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান, সাবুকে শিা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিভাগে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি সাংবাদিকদের নিবৃত করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালান বলে সাবু অভিযোগ করছেন। প্রায় ৪৫ মিনিট এই অবস্থা চলার পর কোনো উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তিনি সাবুকে খাতা ফেরত দেন। তখন সময়ের অভাবে সাবু দু’টি প্রশ্ন অসম্পূর্ণ রেখেই খাতা জমা দিতে বাধ্য হন। পরীার হলে দায়িত্বরত কর্মচারি আরিফ জানায়, তাকে নিয়ে শিক মুসতাক আহমেদ নিজে বাথরুমে গিয়ে ওই দোষনীয় কাগজগুলো (নকল) সংরণ করে আসেন।
এই ঘটনার প্রেেিত সাবু গতকাল ঘটনা তদন্তের দাবিতে বিভাগীয় সভাপতি মশিহুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার চতুর্থ বর্ষের দুইটি কোর্সের কোর্স শিক মুসতাক। তাই ওই দুই কের্সের উত্তরপত্র পরীণ করতে গিয়ে তিনি যথার্থ মূল্যায়ন করবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরে তিনি মতিহার থানায় শিক মুসতাক আহমেদের এমন আচরণের ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
এব্যাপারে বিভাগীয় সভাপতি মশিহুর রহমান সায়েম সাবুর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টির ব্যাপারে বিভাগীয় শিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রক্রিয়া অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



