০৮.১১.২০১৯
আজ সন্ধ্যেটুকু বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। মাথার ভেতর ঢুকে পড়েছে কয়েক ফোঁটা জল। পথের উপর মানুষের পায়ের সব চিহ্ন কখন-যে ধুয়ে মুছে গেছে।—কী অনুসরণ করে এগুবো এবার বুঝতে পারছি না। কোন দিকে মানুষের কোলাহল আর কোন দিকেই-বা নির্জনতার অরণ্য তা আর বুঝা যাচ্ছে না একটুও। স্মৃতির শব্দগুলো জলের সাথে মিশে মাথার ভেতর নরম ঘিলু তৈরি করেছে। ঢলে পড়ছে অদ্ভুত সব বিস্মরণ। অথচ, আমাকে পৌঁছুতে হবে তোমাদের দ্বারে। যে করেই হোক তোমাদের ওই প্রায়ান্ধ শহরে সরু শান্ত একটা নদী বইয়ে দেয়ার আমার অঙ্গীকার তোমাদের জানাতে হবে। শান্ত, শুভ ও শীতল ওই নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে তুলবো আমাদের সয়ম্বর সভ্যতা। কিন্তু, ওই-যে শোনো, উত্তাল সমুদ্রের শেষ সংবাদ নিয়ে আছড়ে পড়ছে বাতাস। উৎকণ্ঠার ঘূর্ণির ভেতর এই রাত এই-যে 'বুলবুল'—জানি না কয়-নম্বর সতর্কতা সংকেতের পর নিরুদ্দিষ্ট হবে ও। আজ রাত্তিরে আর কী-কী-ই-বা ভিজে যাবে আমাদের!—আর কতোটা জল নেমে এলে প্লাবিত হবে আমার অঙ্গীকার! আমাকে বলো, কাল সকালে যদি ওঠে, ধরে নাও উঠবেই যে রোদ্দুর, প্রথম প্রাতে, তার দিকে মুখ করে আমার প্রসারিত হাতে হাত রাখবে তুমি। এই শতাব্দীর সমস্ত অসভ্যতা ভেঙে উঠে দাঁড়াবো আমরা। একটা শান্ত, শুভ্র ও শীতল নদীর দিকে তাকিয়ে ভালোবাসবো আমাদের পৃথিবীকে।
২১:০৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১