প্রিয় মানুষের লাথি খাওয়া কি অসম্মানের? আমার কিন্তু তা মনে হচ্ছেনা। আমি বরং আনন্দিত, গর্বিত। যাক, লাথির ছলে হলেও তো তোমার পায়ের পরশ পেলাম! যদিও এই লেখা কারও পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তারপরও যদি কেউ পড়ে ফেলে তাহলে সে ভাববে, শালা ছেলেটা তো বিশ্ব বেহায়া, একজন নারীর লাথি খেয়ে সে গর্ব অনুভব করছে। তবে লোকে যাই বলুক আমি কিন্ত ভীষন খুশি। তোমার পায়ের পরশ পেতে প্রতিদিন এই রকম ১০০ টা লাথি খেতে আমি রাজি। লোকে কি আর বুঝবে, তুমি আমার কাছে কি?
এখন আমার আফসোস হচ্ছে, ইস, যদি আমার খুনসুটির মাত্রা আরেকটু বেশি হত!তাহলে হয়ত একটা চড় খেতে পারতাম।আমার গাল ধন্য হত তোমার তোমার ছোট্ট হাতের পরশ পেয়ে।আশা করি পরবর্তীতে আমার সে চাওয়া টাও পূরণ করবে তুমি। প্রয়োজনে সারাদিন কাজ বাদ দিয়ে শুধু তোমাকে জ্বালাব, বিরক্ত করব।
আর যদি চড় নাই মার, তাতেও কোন সমস্যা নাই। তখন আমি দেখব তোমার প্রাণখোলা হাসি, অভিমানী অভিব্যাক্তি, আর শুনতে থাকব তোমার চড়,লাথি খাওয়ার হুমকি। সবদিকেই আমার লাভ!!!!!!
মাঝে মাঝে ভাবি তোমার সাথে খুনসুটিতে আমি এত মজা পাই কেন? আসলে তুমি স্বীকার কর আর নাই কর আমরা কিন্ত পারফেক্ট জুটি, তুমিও ত্যাড়া, আমিও ত্যাড়া, এ যেন " যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেতুল"। যদিও প্রবাদটা বিপরীতমুখী বস্তু বুঝাতে ব্যাবহৃত কিণ্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু একসাথে হলেই তৈরী হয় প্রবল আকর্ষণ। তাইত তোমার সাথে আমার খুনসুটি এত জমে।
এই মুহুর্তে কল্পনা করতে ইচ্চা করছে যদি আমরা বাস্তব জীবনে চলার পথের সঙ্গী হতাম তাহলে কেমন হত। সবসময় দুজনে খুনসুটিতে মেতে থাকতাম। এক সাথে কাজ করতাম, কাজের ফাঁকে তোমার সাথে ফাজলামো করতাম, কাজ শেষে বাসায় ফিরে আবার তোমাকে জ্বালাতন করতাম, একসাথে রান্না করতাম। রান্নার সময়ও তোমাকে খোচাতাম, তুমি মুচকি হেসে আমাকে সতর্ক করতে; এই অসভ্য ছেলে/দুষ্টু ছেলে/ বেয়াদব ছেলে, বিরক্ত করলে ভাল হবে না! কিন্তু তোমার কথায় মিশে থাকত একটা আভাস " তুমি আরো জ্বালাতন কর!" আমি আরো অনুপ্রেরনা পেতাম। রান্না শেষে একসাথে খেতাম, তুমি এই দুষ্টু ছেলেকে খাইয়ে দিতে (আমার তোমাকে খাইয়ে দেবার পথ খোলা নেই কারণ তুমি তো কারও হাতে খেতে পছন্দ করনা)। খাওয়া শেষে আবার তোমাকে নিয়ে খুনসুটি তে মগ্ন হতাম, নীঝুম রাতে মেতে উঠতাম তোমাকে নিয়ে নরনারীর আদিম খেলায়, তুমি হয়ত আদর করে চড়- লাথি দিতে, কিন্তু তখন আমি তোমাকে ছাড় দিতাম না, বাহুবেষ্টনী তে আবদ্ধ করতাম তোমাকে, চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিতাম তোমার হাতের আঙ্গুল,..........................
উফ! আর কল্পনা করতে পারছিনা।সত্যিই কি এমন দিন আসবে কোনদিন! প্রতিটি দিন- রাত কি কাটবে তোমার সাথে অন্তরঙ্গময় দুষ্টামিতে! প্রতিটি মুহুর্তে কি পাব স্বর্গীয় সুখ!
তেমন কোন আশার আলো তো এই জনমে দেখছিনা। সেই দিনের আশায় রইলাম মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত।
আর যদি এ জীবনে এমন দিন আমার ভাগ্যে নাও জোটে, তাহলেও প্রতিটি রাতে কল্পনায় তোমার সাথে মেতে উঠব কাল্পনিক খুনসুটিতে! মৃত্যু ব্যাতীত অন্য কিছু আমাকে তা থেকে বিরত রাখতে পারবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



