somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপ্রকাশিত,অগোছালো কথামালা

২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ঈদ। অন্যসকলের মত এই খুশির দিনে আমার মনে আনন্দ থাকার কথা, বরং এই সময়ে আমার ঘুমিয়ে পড়ার কথা। কারণ সারাদিন অনেক ব্যস্ততার ভিতরে ছিলাম। কিন্তু আমার মনে যে আনন্দের ছিঁটেফোঁটাও নেই। আছে শুধু হতাশা, বিষাদ আর তোমাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার বেদনা(এখনও তুমি হারিয়ে যাওনি তবে এটুকু নিশ্চিত যে তোমাকে হারানো অনিবার্য)। তোমাকে কিভাবে ধরে রাখব তা আমি জানিনা, এটা এখন আমার আয়ত্তের বাইরে(অবশ্য এটা কোনদিনই আমার আয়ত্তে ছিলনা)।শুধু এটুকু জানি সময় আমার হাতে খুব কম, যে কোন মুহুর্তে তোমাকে হারিয়ে ফেলব। কিন্তু আমার যে তোমাকে অনেক কথা বলা বাকী রয়ে গেছে! তাইতো এতরাতে, বারান্দায় কম্বল মুড়ি দিয়ে সমস্ত কষ্টকে উপেক্ষা করে তোমায় লিখতে বসেছি।আমার অপ্রকাশিত কিছু কথা তোমাকে শোনাতে এসেছি। তুমি কি শুনবে আমার কথা?

নাই বা শুনলে! তবুও আমি বলে যাব।জান! একতরফা ভালবাসাকে আমি এতদিন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এসেছি, যারা একতরফা ভালবেসে যায় তাদের কে নিয়ে অনেক হাসি তামাশাকরেছি। কিন্তু আজ আমি বুঝেছি, একতরফা ভালবেসে যেতে কতবড় হৃদয় লাগে, কতটা কষ্ট সইতে হয়, কতটা নিঃস্বার্থ হতে হয়। তোমাকে আমি পাগলের মত ভালবাসি কিন্তু আমি যে এখনও তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারিনি।মনের কোনে এখনও তোমাকে আপন করে পাবার বাসনা রয়ে যায়।তোমাকে হারাতে চলেছি এই কথাটা মনে হলেই জীবণটাকে অর্থহীন মনে হয়, মনে হয় তোমাকে ছাড়া এ ভুবনে থেকে লাভ কি? তুমি না থাকলে যে আমার জীবণ থেকে হাসি আনন্দ সককিছুই বিলীন হয়ে যাবে! তবুও আমি এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই, তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে চাই, জীবণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত!

আজকাল মহা সমস্যায় পড়েছি। নিজের অজান্তেই তোমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকি, তোমায় নিয়ে ভাবতে থাকি, এমনকি তোমার কথাও মাঝে মাঝে অনুসরণ করিনা। আসলে তুমি চলে যাবার আগেই দু নয়ন ভরে তোমাকে দেখে নিতে চাই, চোখ জুড়িয়ে নিতে চাই, তাই অমন করি।তুমিও হয়ত ব্যাপারটা খেয়াল করে আমাকে যা তা ভাবছ। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি এমন নই, ছিলাম না কোনদিন।এখন আমি তোমার মাঝেই আমাকে খুঁজে পাই, তাইতো সামনে পেলে আমি বারে বারে তোমার মাঝে নিজেকে খুঁজে ফিরি। জানিনা! এভাবেই হয়ত তোমার মাঝে নিজেকে খুঁজে ফিরব,জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত!

তোমার বহু পুরোনো অভিযোগ, আমি নাকি সবসময় তোমাকে খোঁচা দেই, এমন কি তোমার প্রশংসা করলেও সেটা নাকি খোঁচার রুপ ধারণ করে। এও অভিযোগ কর, আমার খোঁচা খেতে নাকি তুমি খোঁচা দেওয়া শিখেছ। কিন্তু তুমি কি জান বা বোঝ কেন আমি এমন করি? আমি যখন তোমাকে জ্বালাই, কথার খোঁচা দেই, তখন তুমি যে আদুরে গলায় ধমকিয়ে বলে ওঠ " ইস! এই ছেলেটা এত pain দেয়!অসভ্য কোথাকার! ভাল হবেনা বলছি!থাপ্পড় খাবা!......ইত্যাদি" এগুলো শুনতে আর সেই সময়কার অভিব্যাক্তি দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। তাইতো আমি সবসময় এমন করি! জানিনা আর কতদিন পারব কিন্তু আমি এভাবেই তোমাকে জ্বালাতন করতে চাই, তোমার আহ্লাদি কন্ঠে ধমক খেতে চাই, জীবণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত!

তুমি জাননা, আমি প্রায় প্রতি রাতেই তোমার ছবি গুলো দেখি। তোমাকে তো সামনে পাইনা তাই তোমার ছবির সাথে কথা বলি, মন শান্ত করি। তোমার ঐ ছবি গুলোর সাথে কথা না বললে কেন জানি ঘুম আসতে চায়না।আসলে তোমার ছবি গুলোর সাথে আমি নিজের কল্পনার একটা আলাদা জগৎ তৈরি করে ফেলেছি। রাতের কাল আঁধারে, শুনশান নীরবতায় আমি কল্পনার রাজ্যে তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। সেই রাজ্যে শুধু তুমি আর আমি এই দুজনের বাস। আমি এভাবেই কপনার রাজ্যে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে চাই, জীবণের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত!

আমি সবসময় জানতে চেষ্টা করি, তোমার কোন জিনিস টা পছন্দের এবং তোমাকে তা সারপ্রাইজ দিতে চেষ্টা করি যদি তা আমার আয়ত্তের মধ্যে থাকে। ব্যাপার টা মনে হয় তুমি খুব একটা পছন্দ করনা, না করাটাই স্বভাবিক কারণ সেটা কখনও কখনও অনধিকার চর্চার মধ্যে পড়ে যায়। তারপরও আমি এই কাজটা করি শুধু একটা কারণেই। তোমাকে যখন কিছু দেই; তখন তুমি যে শিশু সুলভ আচরণ কর, তোমার চোখে মুখে আমি আনন্দের যে ঝিলিক দেখি, যে মিষ্টি হাসি দিয়ে তুমি আমায় ধন্যবাদ দাও তাতে আমি বিমোহিত হয়ে যায়। তোমার সাথে ঐ মুহুর্ত টুকু উপভোগ করার লোভ সামলাতে না পেরেই আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেষ্টা করি।তুমি আর কিছুদিনের মধ্যেই অন্যের হয়ে যাবে,হয়ত ইতিমধ্যে হয়ে গেছ; কিন্ত তবুও আমি তোমাকে তোমার পছন্দের জিনিস গুলো দিয়ে যেতে চাই জীবণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত!

কিছুদিন আগে আমি তোমাকে মিথ্যেবাদী বলেছিলাম। তুমি খুব রাগ করেছিলে। তারপর আমি তোমার কাছে করজোড়ে মাফ চেয়েছি। তুমি ক্ষমা করনি বরং বলেছ "আমি তোমায় সারাজীবণ ক্ষমা করব না"। তুমি কি জান! কি কষ্টে আছি আমি? তুমি আমার উপর রাগ করে আছ এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।প্রতিটি ক্ষণে আমি নিজের কথার ভুলের আগুণে জ্বলছি। তাই তো সকাল বিকাল তোমার কাছে মাফ চাই।তুমি কোন প্রতিউত্তর করনা, তারপরও ৩ সপ্তাহ ধরে আমি সরি বলে যাচ্ছি শুধু এই আশায় যে তুমি একদিন আমায় ক্ষমা করবে। জানিনা কতদিন এভাবে চলবে, তবুও আমি প্রতিদিন তোমার কাছে মাফ ছেয়ে যাব। আমার প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে যাবে শুধু একটা শব্দ......."SORRY", জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত!

তুমি আমায় কয়েক দিন আগে বলেছ, "আমার সাথে তোমার যায়না'। কিন্তু তুমি কি কখোনো ভেবে দেখেছ, আমরা সারাদিন fighting এ ব্যাস্ত থাকলেও আমাদের মাঝে কিন্তু একটা অন্য ধরনের বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে। আমার একে অন্যের সাথে সবসময় লড়াই করি , তুমি সবসময় তোমাকে আমার শত্রু হিসেবে দেখানোর ভান কর, কিন্তু আমাদের মিষ্টি সম্পর্কে কখনও ফাটল ধরেনি। তুমি মাঝে মাঝে অত্যন্ত রাগ করলেও তা কয়েক মুহুর্তের(শুধুমাত্র একবার ৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল) বেশি স্থায়ী হয়নি। তাই তো আমার ইচ্ছা করে তোমার সাথে লড়াই করে যেতে, লড়াই শেষে যখন তোমার রাগ ভাঙ্গাই তখন হাসি আর বিরক্তি মেশানো যে অভিব্যাক্তি দেখাও তা দেখতে; জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত!


পরিশেষে তোমায় বলছি: আমি তোমাকে আমার নিজের চাইতেও বেশী ভালবাসি। আর যাকে এতটা ভালবাসা যায়, তার মনে কষ্ট দিয়ে কিভাবে শান্তিতে ঘুমাব বল!তাইতো আবারও তোমার কাছে মাফ চাইছি। একটি বারের জন্য কি আমায় ক্ষমা করে দেওয়া যায়না!





সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×