somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেলফি: এক ত্রাসের নাম!!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গতানুগতিক সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় হলো সেলফি। বিয়ের অনুষ্ঠান হতে শুরু করে রোগী দেখতে যাওয়া পর্যন্ত যেখানেই যাওয়া হোক না কেন আর যাইহোক না হোক সেলফি তোলা আবশ্যক।

সেলফি অত্যন্ত নিরীহ একটি বস্তু। এর কোন হাত-পা নেই। একে যেভাবে তোলা হয় সেভাবেই থাকে; অনেকটা পানির সাথে তুলনা করা চলে বৈকি! তাই এর কোন দোষ দেওয়া বুদ্ধিমানের কর্ম নয়। অতএব, সচেতন হতে হবে এর উত্তোলনকারীদেরই।

সাধারণত সেলফি বলতে আমরা “নিজের ছবি নিজে উত্তোলন করাকে” বুঝি। কিন্তু আজকালকার দিনে অন্যের দ্বারা তোলা ফটোও মানুষ সেলফি বলে চালিয়ে দিচ্ছে এবং তা ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যাকগে ভাবনার বিষয় তা নয়, ভাবনা লুকায়িত রয়েছে অন্য জায়গায়। [সে ব্যাপারে পরে আসছি]

এই তথাকথিত সেলফির প্রসারের অন্যতম কারণ হচ্ছে স্মার্টফোনের ব্যাপক বিস্তার ও সহজলভ্যতা। একসময় এমন একটি সময় ছিল যখন স্মার্টফোন তো দূরে থাক, সাধারণ একটি ফোনই ছিল মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে। আর নিউটনের ৩য় সূত্রের মতো, "প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকবেই।" অতএব এতে মানুষদের কাছে যোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয় যেমন সহজলভ্য ও আরামদায়ক হয়েছে। তেমনি বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষগুলোর কার্যকলাপেরও ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। যার বাস্তবিক রূপই ছবিতে দেখা যায়।



ভাত খাওয়ার যেমন নির্দিষ্ট স্থান, কাল, পাত্র রয়েছে। সকালের নাস্তা বিকেলে করলে যেমন আমরা তাকে ব্রেকফাস্ট বলতে পারি না। তেমনি মানুষেরও তার বিবেকবোধ দ্বারা সেলফি তোলার স্থান , সময়, পাত্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সুন্দর একটি থালায় পোলায়, বিরিয়ানি অথবা রেজালা পরিবেশন করে যদি বাথরুমে খেতে দেওয়া হয়, তবে খাবার যত সুস্বাদুই হোক না কেন, কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ তা মুখেও তুলবে না [বিকৃত মস্তিষ্কের লোক হলে ভিন্ন কথা]। তেমনি তথাকথিত সেলফি তোলারও বিষয়নস্তু ও স্থান থাকা জরুরি। সকল ইভেন্টে যোগ দিলেই যেমন তার সাক্ষ্য রাখা যায় না [মানুষ বাসর রাতেও ঢোকে, তাই বলে কী ওখানে কী করেছে না করেছে তা নিশ্চয় বিকিয়ে বেড়ায় না? এক্ষেত্রেও বিকৃতি মস্তিষ্কের লোকদের এক্সেপসনাল হিসেবে ধরা হলো, এর চেয়ে খারাপভাবে বলা সম্ভব নয়।]

অতএব, সময় থাকতে সংযত হোন। মানুষ হিসেবে মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় দিন, নিজের বিকৃত মানসিকতার পরিচয় বিলিয়ে বেরিয়ে সমাজে লজ্জিত হবেন না। তথাকথিত সেলফি তুলুন তবে মনে রাখবেন, সীমার অধিক কোনকিছুই ভালো নয়।

বি.দ্র.: নিরাপত্তার খাতিরে ও মানবিক দিক বিবেচনা করে ছবির চেহারা ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

©SaSagar
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×