আশাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আশাই জীবন। মা-বাবা আশা রাখেন সন্তান একদিন মানুষ হবে, শিক্ষক আশা রাখেন একদিন প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যেও তাঁকে অনেকদিন পর কাছে পেয়ে কোন জজ/ব্যারিস্টার ছাত্র-ছাত্রী তাঁর পা জড়িয়ে ধরে কদমবুসি করবে, পারার নেতা আশা রাখেন একদিন তিনি সংসদ সদস্য হবেন, প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন তিনি আরেকবার দেশকে নেতৃত্ব দিবেন।
ঠিক এভাবে, একজন ভিক্ষুক বা টোকাইয়েরও আশা আছে। কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে অথবা ডাস্টবিনে কোন একদিন গুপ্তধন পেয়ে যাবে, এই হয়তো তাদের আশা। এই আশা কি আরো একটু বাড়িয়ে নেওয়া যায়? শুধুই জীবিকার অন্বেষণে তাদের রত না রেখে, তাদের আশার পরিধি আরো বিস্তৃত করা যায় কি? গেলে, সেটা কিভাবে?
হয়তো এখন থেকে মা-বাবা আশা রাখবেন তাঁদের ছেলে এস্ট্রোনট হবে, শিক্ষক অবাক হয়ে দেখবেন তাঁর কোন ছাত্র মহাকাশের কোন যান থেকে তাঁকে চিঠি লিখেছে, পাড়ার নেতা এলিয়েনদের সাথে কিভাবে কথোপকথন করে জ্ঞান বাড়ানো যায় তা নিয়ে ভাবিত হবেন, প্রধানমন্ত্রী আরেকটি গ্রহে বসতি করে সেখানকার সম্রাজ্ঞী হবার স্বপ্ন দেখবেন।
এভাবে, ভিক্ষুক বা টোকাই রাস্তায় ঘুমাবার আগে আকাশের তারা গুনতে গুনতে ভাবতে থাকবে, ঐ আকাশ থেকে ঠিকই একদিন কেউ নেমে এসে তাদের সকল সমস্যা মিটিয়ে দিবে। তাদের হয়তো তখন আর ভিক্ষা করতে হবে না। আকাশে চাঁদ নামক বস্তুটিকে তখন শুধু রুটি বলে মনে হবে না, ভাবিষ্যতের একটু মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবেও গন্য হতে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এমন আশা তৈরী করতে পারলে দোষ কি!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৭