somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করিডর,টিফা এবং দক্ষিন এশীয় টাস্কফোর্স নিয়ে হুড়োহুড়ি

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পযবেক্ষনশীল মানুষের চোখে বিগত অবৈধ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত অবৈধ নির্বাচনটি ছিল পাতানো।তারই ধারাবাহিকতার প্রমান মেলে উপজেলা নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ভেতেরে ও বাহিরে শব্দের বাহারি গোলক ধাধায় যে কটি বিষয়ে ইঙ্গিত ছিল সেগুলো হলোঃ ক)অবৈধ ফখরুদ্দিন সরকারের সকল অবৈধ কাজের বৈধতা দান খ)ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডোর প্রদান গ)চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এশীয়দের জন্য উন্মুক্ত করার উছিলায় ভারতের জন্য উন্মুক্তকরন ঘ)মার্কিন খবরদারি জোরদারের জন্য সোফা চু্ক্তির ন্যায় টিফা চুক্তি বাস্তবায়ন ঙ)ইসলামপন্থীদের দমনের উদ্দেশ্যে এবং ভারত-মার্কিন সামরিক স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী দক্ষিন এশীয় টাস্কফোর্স গঠন ও তথাকথিত যুদ্ধপরাধী বিচার।
যদি বলা হয় মোটাদাগের এই পাচটি কাজ সংঘটনের জন্য শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে তাহলে বোধহয় সত্যর অপলাপ হবেনা। আর এসব কারনেই চারদলের নির্বাচনী শ্লোগান ছিল, “দেশ বাচাও,মানুষ বাচাও”।

চরম বিপজ্জনক ও অদক্ষ এক মন্ত্রীসভা নিয়ে শেখ হাসিনা এই ৫ বিষয় বাস্তবায়নে কোমর কষে লেগেছেন।যে সুনির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়নে তাদের বদ্ধপরিকর বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।মন্ত্রীসভায় সংস্কারপন্থী সুরন্জিত,আমু,রাজ্জাক,তোফায়েলরা স্থান পায়নি,কারন তারা ফখরুদ্দিনপন্থী ছিলেন।খুব ভালো কথা,তাহলে ফখরুদ্দিনের রোষানলে পতিত আব্দুল জলিল,সেলিম,নাসিম,ওবায়দুল কাদেররা কেন মন্ত্রীত্ব পাননি?কারন নাকি তারা দূর্নীতির কারনে জেলে গেছেন!ভালো কথা, তাহলে শেখ হাসিনা কেন প্রধানমন্ত্রীত্ব পেলেন? আর জেলে যেতে হয়নি এমন সৎ লোকেরা (?)কেন মন্ত্রীত্ব পায়নি?আসলে পরস্পর স্ব-বিরোধী এইসব কুযুক্তির আড়ালে প্রকৃত যে সত্যটি লুকায়িত তা হলো, যাদের পিঠে মেরুদন্ড নাই তাদেরই মন্ত্রীত্ব দেয়া হবে।তাই আমরা দেখছি জামানত বাজেয়াপ্ত লোকটিও মন্ত্রীত্ব পান।শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে না পারা লোকটিও মন্ত্রীত্ব পান।যে লোকটি সংসদ নির্বাচনে নমিনেশন পেতেই হিমশিম খান, মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত তিনিই মন্ত্রী হয়ে যান।সুতরাং ১/১১,ফখরুদ্দিন,মইন ইউ আহমেদ,শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র নীতির প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্যের শেষ কোনদিন হবেনা।তাকে দাড়াতে বললে দাড়াবেন,বসতে বললে বসবেন,চুক্তি সই করতে বললে করবেন।চোখ তুলে কোন প্রতিবাদ করবেন না।এমন মন্ত্রীসভায় ঠাসা এবারের মন্ত্রীপরিষদ।সংসদে বসে কানে হেডফোনটি তাই তারা উল্টা করে লাগান।সম্পূরক প্রশ্ন কি তা জানেনা। মাইকে হাস্যকর ভাবে ফু দেন।বাংলাদেশকে বাফার স্ট্যাট বললে মযাদাহানি হয়না।প্রধানমন্ত্রী ও তার মরহুম পিতার তোষামোদে কেটে যায় মন্ত্রী,এমপিদের বক্তব্যের নব্বই ভাগ।আসলে এমন মন্ত্রী সভা না হয়ে যদি মন্ত্রীসভায় শেখ সেলিম,ওবায়দুল কাদের,মহিউদ্দিন খান আলমগীর,আবদুল জলিলরা আসতেন তাহলে কি মইন ইউ আহমেদরা এত আয়েশে লেখক হতে পারতেন?উপরোক্ত চুক্তিগুলোর ব্যাপারে দাদারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারতেন?কখনোই না।

বানিজ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক লম্ফ-জম্ফ দেখে মনে হচ্ছে তিনি বুঝি ট্রানজিটের নামে করিডোর চুক্তি সই করার জন্যই নির্বাচিত হলেন।তিনি আমাদের সংকীর্নতা ত্যাগ করে ট্রানজিট প্রদানের বিরোধীতা না করার জন্য এবং আরো পড়াশুনা করার পরমর্শ দিয়েছেন।নিশ্চয় আমরা পরিধেয় বস্ত্র ফেলে দেওয়ার মত উদার কিংবা টিআইবির মোজাফফর আহমেদের মতো শিক্ষিত হতে চাইনা।আমরা জানি যার স্বার্থ থাকে সেই আগ বাড়িয়ে আসে।ট্রানজিট যদি আমাদের উপকারেই আসত তাহলে প্রিয়াংকা গান্ধী,প্রণব বাবুরা কেন আগ বাড়িয়ে আসলেন?আসলে আমাদের ভারত প্রেমিক পেপারগুলো এবং ভারত প্রেমিক রাজনীতিকরা যাকে ট্রানজিট বলছে তা তো করিডোর।করিডোর যে আমাদের জন্য বিপজ্জনক তা শব্দচুরির ভেতর দিয়েই আচ করা যায়।হিটলার অন্যর দেশ দখল করার জন্য এরুপ ট্রানজিট ব্যবহার করতেন।বর্তমান বিশ্বে কোথাও করিডোর ব্যবস্থা আছে কিনা আমাদের জানা নেই তবে ট্রানজিট আছে এবং তা আছে সমমান ও সমমনা দেশদ্বয়ের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে।বাংলাদেশ,ভারতের মতো সকল ক্ষেত্রে অসম ও শত্রুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে নিশ্চয় নয়।ভারত আমাদের নেপালে বানিজ্যর জন্য মাত্র ১৮ কিলোমিটার করিডোর দেয়নি,চুক্তি আগ্রাহ্য করে তিন বিঘা করিডোর দেয়নি।একই দেশের নাগরিক সত্ত্বেও বাংলাদেশী ছিটমহলের নাগরিকরা বন্ধী।তারা যাতায়াতের জন্য কোন রুট পায়নি।
আসলে ভারত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দিন থেকেই আমাদেরকে ঠকাচ্ছে।শান্তি বাহিনী,কাটাতারের বেড়া,তিস্তা বাধ,ফারাক্কা বাধ,চাল নিয়ে চালবাজি, চোরাচালান, সীমান্তে মানুষ হত্যা,মিথ্যা অপপ্রচার ,সাংস্কৃতিক আগ্রাসন,বানিজ্য ঘাটতি,ইসলাম বিদ্বেষ এমন কোন বিষয় নাই যা তারা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে না। এই সমস্যাগুলোর কোনটার সমাধানের আশ্বাসে আওয়ামী সরকার তাদের ট্রানজিটের নামে করিডর দিচ্ছে?কোনটাই না।তবু আমরা নাকি সিঙ্গাপুর হয়ে যাব ট্রানজিট দিলে!তবে হ্যা, এটা সত্য যে, কিছু রাজনীতিক এবং কিছু বুদ্ধিজীবী ট্রানজিটের সুবিধায় সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে।
ভারত ও আমেরিকা সমর্থিত ফখরুদ্দিন সরকারও এইসব দেশবিরোধী চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল তবে পরে তা স্থগিত রেখে তাদের উত্তরসুরী শেখ হাসিনা সরকারের জন্য রেখে যায়।পূর্ববর্তী সরকার কাজটা করে গেলে আওয়ামী সমর্থরাও কেউ কেউ চুক্তিটির বিরোধীতা করত।সম্ভবত তাদের সমর্থন আদায়ের জন্যই চুক্তিগুলো শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে ঘটতে যাচ্ছে।সরকার গঠনের পর পরই এইসব চুক্তির উদ্যেগ দেখে মনে হচ্ছে,আরেকটি সংসদ নির্বাচনের আগে আগেই পাবলিক আবার ট্রানজিট সংক্রান্ত তাদের শোকটি কাটিয়ে ওঠবে।তখন যুদ্ধপরাধ-টরাধ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠ গরম করা আবার সহজ হবে।
১২/০২/০৯





Email: [email protected]
Mob: 01670495397

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×