নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কালচারটা শুরু হয়েছে গত সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে । তবে এর আগেও কম বেশি হয়েছে কিন্তু অতটা মহামারি আকারে না । ব্যাপারটা এরকম যে, আমি তো তোরে মাঠে চাই না, তাহলে তুই কেন থাকতে চাইবি ? অবশ্য যেসব প্রার্থীকে মাঠ থেকে ভাগানোর চেষ্টা করা হয়, তারাও জানে, তাকে নাজেহাল করা হবে । প্রথমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবং তাতে কাজ না হলে আইনের প্যাচে ফেলে, তারপরও যেসব প্রার্থী এসব কিছুকে উপেক্ষা করে মাঠে টিকে থাকার জন্য পণ করে এবং লড়াই চালিয়ে যায়; তাদের জন্য অপেক্ষা করে ভয়ংকর কিছু ।
আহারে, জীবন তো একটাই, কী দরকার এসব নির্বাচন নির্বাচন খেলায় অংশগ্রহণ করার পণ করে ? অবশ্য এর একটা ফযিলতও আছে, আর তা হল, নির্বাচনের মাঠে বিরোধী পক্ষ কেউ না থাকলে কিছু অপকর্ম দেখা থেকে দেশের মানুষ বঞ্চিত হয় । আর ঐ অপকর্মগুলোই হলো বিরোধী পক্ষের জন্য বড় ফযিলত । যদিও এসব ফযিলতের ভবিষৎ হাতের তালুর উপর পশম গজানোর মতই দূর্লভ ।
যাইহোক, গোল দেওয়ার আগেই যে প্লেয়ার জেনে যায়, তার কিক কখনো মিস হবেনা; সে গোল দেবেই । ফাকা মাঠ না পেলে ঘুরিয়ে, প্যাচিয়ে হলেও ।
সব শেষে আশি আলুক্ষেতের কথায় । বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা গান খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, "পাট ক্ষেতে ছাগল বন্দী, জলে বন্ধী মাছ" । সম্প্রতি পত্রিকায় দেখলাম, বিএনপি সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে মুন্সিগঞ্জের আলুক্ষেত থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে । তবুও ভাগ্য ভাল যে, তাকে কোন নর্দমা, পুকুর বা খাল-বিল থেকে উদ্ধার করা হয়নি । তাহলে আর ওর ধারের কাছে কেউ যেতে পারত না দূর্গন্ধে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩০