somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

প্রাণ হরিয়ে তৃষা হরিয়ে আরো আরো চায় প্রাণ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সৌভাগ্য হলো দু হাজার আটারোর বসন্তে, ইউরোপের সংস্কৃতির ক্যাপিটেল লিউয়ার্ডেন যাবার । পঞ্চাশ ইউরোর একটি টিকেট নিলাম ইউরোস্টার আন্তদেশ ট্রেনের। ইউরোপের রাজধানী খ্যাত বেলজিয়ামের ব্রাসলেসের জাভেন্টেম বিমানবন্দর, ব্রাসেলস সেন্টার, পেরিয়ে ব্রাসলস মিডি স্টেশনে পৌঁছালাম, লোকাল ট্রেনে। এখান থেকে নেদারল্যান্ডের সি্চপল বিমানবন্দর পর্যন্ত ইউরোস্টার ট্রেনটি যাবে। তারপর ট্রেন বদল করে চড়তে হবে লিউয়ার্ডেন যাওয়ার লোকাল ট্রেনলাইন ট্রেনে।
মোট যাত্রা সময় চার ঘন্টার বেশি। অপেক্ষা মিলিয়ে আরো বেশি।
ব্রাসলস মিডিতে ত্রিশ মিনিটের অপেক্ষা করতে হলো আন্তদেশ ট্রেনের জন্য। ঝিম দুপুরের সময়টা ভীড়হীন বেশ নিরব। অপেক্ষার সময় টুকুও সহজ প্লাটফর্মে ট্রেন খুঁজে পাওয়ার জন্য। কানাডা থেকে এসে বেশ গরম অনুভব করছি বসন্ত শুরুর এই সময়টায়।
সব কিছুই বেশ মশৃণ গতিতে এগুচ্ছে। শুধু আমার লাগেজ হারিয়ে যাওয়া ছাড়া।
কানাডা থেকে আমার সাথে এক প্লেনে আমার লাগেজ এসে পৌঁছায়নি। প্লেন কতৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করার সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে স্যুটকেস খুঁজে পেতে। হাত ব্যাগের কয়েকটা কাপড় দিয়ে চলছে কদিন। এছাড়া আর কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
ব্যাগ পাওয়া যাবে একটু সময় লাগছে এই যা। আর না গেলে ক্ষতি পূরণ দিবে। কিন্তু যা ছিল স্যুটকেসে তার জন্য মায়া অনেক। যদিও এক্ষণ মনেও করতে পারছি না কি নিয়েছিলাম আর কি নেই নাই। হারালে কি যাবে। যতই ভাবি, হালকা ভাবে বেরিয়ে পরব কি ভাবে যে বিশ কেজিতে পৌঁছে যায় ব্যাগের ওজন শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারি না।
ঐ ভাড়ি ব্যাগ টেনে উঠা নামা করা লাগবে না। বিমান কতৃপক্ষ বাড়ি পৌঁছে দিবে ব্যাগ এটা বেশ মন্দের ভালো হয়েছে। যেহেতু বেলজিয়ামের ঠিকানা বদল করে নেদারল্যাণ্ড যাচ্ছি সে ঠিকানা দিয়ে যেতে হলো এয়ারপোর্টে গিয়ে আবার। পথেই পরল একটু সময় ব্যায় হলো, এছাড়া তেমন সমস্যা হলো না।
ট্রেন চলে এলো উঠে বসলাম জানলার পাশের সিটে। বিশাল জানলা থাকলেও বাইরে ঐ কাঁচের মধ্যে দিয়েই দেখতে হবে। জানালা খুলে হু হু হাওয়ার ঝাপটার সাথে বাইরে তাকিয়ে দেখার সুযোগ এসব দেশে নেই।
আহা কি যন্ত্রনা! বেলজিয়ামে একটা সীম কিনেছিলাম সারা ইউরোপে ব্যবহার করা যায় এমন। কিন্তু ব্রাসলস পেরুতে না পেরুতে কাজ করা বন্ধ করে দিল। আধুনিকতার এই সুযোগ যে কি দারুণ। কোথায় যাবো, কোথায় খাব। দোকানপাট কতক্ষণ খোলা। কি দেখব। ট্রেন,টিকেট দাম থেকে সময় কি দারুণ ভাবে জানিয়ে দেয়
ফেসবুকে ছবি দিয়ে জানানো যায় সাথে সাথে কোথায় আছি, জায়গাটা কেমন।কখনোই মনে হয় না কারো থেকে দূরে আছি।
কোন খরচ ছাড়া ফোনও করা যায় শুধু ডাটা থাকলে। এমন সুবিধা হাতে নিয়ে ঘুরতে কেমন রাজারাজা লাগে। যে কোন জায়গায় একজন গাইড পাশে আছে কারো সাথে কোন কথা না বলে সব খবর পাওয়া যাচ্ছে। সাথে পৃথিবীর কোথায় কি হচ্ছে সে খবরও তাতক্ষনিক পাওয়া যাচ্ছে। হোমফোনের ডাটা ব্যবহার করলে গলা কাটবে বীল দিয়ে। যদিও সারাক্ষণ ম্যাসেজ দিয়ে জানাচ্ছে, “ইউজ এজ লাইক হোম।“ তারপর দেখা যাবে রোমিং, ইন্টারনেট ব্যবহার, লংডিস্টেন্স কল, ম্যাসেজ,এই চার্জ ঐ চার্জ করে পাঁচ মিনিটের জন্য একশ ডলার নিয়ে নিবে। আগের বার এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। ভুল ক্রমে ওপেন হওয়ার জন্য চল্লিশ ডলার গচ্ছা দিতে হয়েছে। যতই বলি ব্যবহার করিনি। তারা মানবে না। এবার তাই সীমই খুলে রেখেছি।
লিউয়ার্ডেনে পৌঁছার পর যেখানে যাবো সে ঠিকানা স্টেশন থেকে আট মিনিটের দূরে। ঠিকানা সব কিছু লেখা আছে অন লাইনে।
এক সময় মানুষ কোন যোগাযোগ ছাড়া কত অচেনা জায়গায় চলে গেছে। এই আমিও কত গেছি। অথচ এখন হাতের মুঠোর পৃথিবীর বাতি নিভে গেলে সব থেকে অসহায় মনে হয়। এমন সুবিধা বঞ্চিত হয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
তবে দমে যাবার মতন অবস্থা হলো না। যা হোক একটা উপায় হয়ে যাবে। এই ভেবে বাইরে প্রকৃতি এবং পরিবেশ দেখায় মন দিলাম। পাশে কোন গাইড না থাকলেও আধুনিক শহর এবং প্রাচিন ঘরবাড়ি, কারখানা, ফসলের মাঠ দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম নগরের পরিবেশ, ইতিহাস।

অন্টারোপ, পৌঁছাল ট্রেন বেশ সাজানো গোছানো বড় শহর। আধুনিকতার ছোঁয়া বেশি। বিশাল প্লাটফর্মে অনেকগুলো ট্রেন সারি সারি। বেশ খানিকটা সময় থামার পর রওনা হলো ট্রেন । খানিক সময়ে পেরিয়ে গেল সীমানা। দেশ ছাড়িয়ে ঢুকে পরল অন্য দেশে। বেলজিয়াম থেকে নেদারল্যান্ড। আরো একটি বড় শহর রোটারডামে থামল, ছোট স্টেশনগুলোর চেয়ে বেশ খানিক সময় নিয়ে অপেক্ষা করল ট্রেন এখানে।
লিউয়ার্ডেনে যার বাড়ি যাচ্ছি উনার সাথে গতবার এই রোটারডাম থেকেই কথা হয়েছিল। খুব বলছিলেন যেতে। একদম উত্তরের এই জায়গায় একা পরে আছেন। কেউ খুব একটা যায় না দূরে বলে। আফসোস করেছিলেন খুব এবং সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ। কিন্তু সেবার যাওয়ার সময় হয়নি তো এবার সুযোগ হয়ে গেল।
রোটারডামটাও খুব ছিমছাম সাজানো শহর। গতবার অনেকটা সময় নিয়ে ঘুরে ফিরে দেখছিলাম। তারপর রাতে কাছের শহরে প্রিয় ভাইজির, বাড়িতে খুব মজায় গল্প এবং খাওয়া দাওয়া আনন্দ হয়ে ছিল । খাওয়া আর আলোর ঝলক উৎসবের আমেজ নিয়ে গভীর রাতের শহর জেগে ছিল পর্যটকের ভীড়ে। সেই সাথে মিশে ছিল আমার পদচারনাও। ভালো লাগল খুব দেখে মেয়েটি অর্নগল ডাচ, ইংলিশে কথা বলে। কাজ করে উপার্জন করে, গাড়ি ড্রাইভ করে। দুটে বাচ্চা নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন সুখি স্বামী স্ত্রী। পরিবেশ মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব রাখে।
দুপুরের মেঘলা দিনের শান্ত আমেজে দুঘন্টা পেরিয়ে গেল। সি্চপল এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর। অন্য ট্রেন নেয়ার জন্য আন্তদেশ রেল থেকে নামলাম।
সময় মাপা পনের মিনিট রেল বদলের। লিউয়ার্ডেনে যাওয়ার ট্রেন পাওয়ার জন্য বেশি দূরে যেতে হলো না কাছেই ছিল। প্লাটর্ফম নাম্বার এবং ট্রেনের নাম্বার মিলিয়ে ঝটপট উঠে বসলাম দোতলার সিটে। সাথে বড় ব্যাগ টানার ঝামেলা নেই। ঝাড়া হাত পা, হয়ে চারদিক দেখে শুনে এসে বসলাম।
নেদারল্যান্ডের ট্রেন মনে হলো বেশি চকচক করছে। বগির দুপাশে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখাচ্ছে শহর এবং পৌঁছার সময়। এখানে মেইন দরজার পরে গ্নাসের একটা দরজা বন্ধ হয়ে যায়। আপনা আপনি খুলে না। বাটন চাপ দিলে খুলে। একবার বন্ধ দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম অটোমেটিক খোলার অপেক্ষায়। যেমনটা অভ্যস্থ আমেরিকা,কানাডা, জাপান, চীনের ট্রেনের দরজা আপনাআপনি খুলে যায়।
সে ভাবে খুলবে ভেবে অপেক্ষা করছি কিন্তু দরজা আর খুলে না। ভাগ্যিস সে সময় একজন ঢুকার জন্য দরজা খুললো তাই আমি বেরুতে পারলাম শেষ মূহুর্তে। নয় তো শেষ যাত্রী আমাকে অন্য গন্তব্যে নিয়ে যেত আবার ট্রেন। ইউরোপ জুড়ে ট্রেন স্টেশনে ঢুকার দরজা গুলোও গ্লাস দিয়ে আটকানো থাকে। টিকেট পাঞ্চ করার সাথে সাথে খুলে যায়। কোথাও ট্রেনে ঢুকার আগেও এমন কাঁচের দরজা । কাঁচগুলো এমন পরিস্কার বোঝাই যায় না সামনে কাঁচের দেয়াল। যেমন পাখিগুলো উড়ে ধাক্কা খায় কাঁচের জানালায়। অনেকবার হুড়মুড়িয়ে পরার অবস্থা হয়েছে। তবে পা দেয়ার সাথেই সরে যাচ্ছে কাঁচের দরজা । তাই ধাক্কা লাগার কোন সম্ভাবনা নেই পাখিদের মতন।
ডাটা কাজ করছে না আমার চারপাশের লোকজন ফোনে চোখ দিয়ে বসে আছে। আর আমি দেখছি বাইরে। বিকেল হয়ে যাওয়ায় অফিস ফিরত যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। টপাটপ ক্যামেরার সাটার টিপছি বাইরের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে। কিন্তু ছুটন্ত গাড়ি আর গাড়ির ভিতরের আলোর প্রতিফলনে ছবিগুলো ভালো আসছে না। যা দেখি ছবিতে তার পরের অংশ আসে। মেঘলা আকাশ এখন কান্না শুরু করেছে। ছবি তাই আরো বাজে হচ্ছে।
ক্যামেরা রেখে তাই ফোনের দিকে মনোযোগ দিলাম। দেখি তো ডাটা কাজ করে কিনা আবার ।
ওয়াইফাই পাওয়া যায় কিনা ও মা কি দারুণ। ট্রেনের ওয়াইফাই পেয়ে গেলাম। এবং কি ফাস্ট । যাক কোন ঝামেলা না করেই সমস্যা মিটে গেল। আনন্দ হলো খুব ঐ বিষয়টা নিয়ে অকারণ অস্থির হয়ে সময় নষ্ট করিনি বলে। নিজেকেই ক্রেডিট দিয়ে দিলাম।
ডাটা পাওয়ার সাথে সাথে কথা বলে হোস্টকে সময় হিসাব করে জানিয়ে দিলাম কখন পৌঁছাব তাদের শহরে। সাতটা স্টেশনে থামল ট্রেন। নতুন লোকজন উঠছে নামছে। সিট এখন আর একটাও খালি নেই। পাশে বসা মানুষটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম। ডাচ ভাষায় অভ্যস্থ মানুষ তবে ইংলিশও পারে। অবশ্য তার চেহারায় ডাচ বা কোকেসিয়ান মানুষের ছাপ নেই। আফ্রিকা থেকে আলাদা করতে পারলাম না কোন ভাবেই। টেনেটুনে কিছু কথা হলো। তার সাথে কথা বলে জানলাম বাসের স্ট্রাইক তাই ট্রেনে ভীড় বেশি আজ। বাহ হরতাল তবে এখানেও হয়। দাবী আদায়ের জন্য। এতক্ষণ কানে বাজছিল ফ্রেঞ্চ এখন ডাচ। কত কথা লোকজন বলছে, কিছুই আমি বুঝি না।
বেলজিয়াম থেকে আসার সময় দুজন মেয়ে উঠেছিল। ওরা আমার পাশেই বসল। বহুদিন পর খাটি ব্রিটিস ভাষা শুনলাম। তবু ওদের কথাবার্তা বেশ বুঝতে পারছিলাম। মাঝে মাঝে আমি তাদের গল্পে ঢুকে পরছিলাম অনিচ্ছাকৃত ভাবে। যেহেতু তারা জোড়ে কথা বলছে, আমার কানের কাছে এবং তাদের ভাষা আমি বুঝতে পারছি।
মেয়ে দুজন খুব হাশিখুশি। দুজন লম্বা সময়ের একটা বাচ্চাদের ক্যাম্প থেকে ফিরছে। তাদের ব্যাগ প্যাক থেকে চেহারাও সেরকম বিদ্ধস্ত। তবে তাদের মনে খুশির জোয়াড়। নানা ঘটনা বলে হাসিতে উল্টেপাল্টে পরছে। কোথায় ডিনারে গিয়ে কে কি বলেছিল। হাঁটতে গিয়ে কার পা ফসকে গিয়েছিল। এমন সব গল্প আর হাসি চলছে সমানে।
কথা বোঝার কারণেই এক সময় আমিও তাদের গল্পে সামিল হয়ে গেলাম। তারা ফান্স থেকে আসছে। বিশদিনের ক্যাম্প সেরেছে এখন যাবে ইটালির মিলান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরবে মাসখানেক পরে।
কর্ম জীবনের অভিজ্ঞতা সহকর্মিদের নানান গল্প বাচ্চাদের অদ্ভুত আচরন তাদের হাসাচ্ছে। মজাই লাগল ওদের এই কর্ম জীবনের হাসির খোরাক পাওয়া দেখে।
এখান থেকে ওখানে ঘুরে বেরিয়েও মজা পাচ্ছে ওরা কাজ করে। সি্চপল এয়ারপোর্টে গুডলাক জানিয়ে চলে গেল ওরা ওদের পথে প্লেন ধরতে। আমি ধরলাম আমার অন্য ট্রেন।
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৩
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×