রাজধানীর মতিঝিলে আজ মঙ্গলবার সাধারণ জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়েন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। জনতার বাধার মুখে তাঁরা পালিয়ে যান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়া ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাসহ কয়েকটি দাবিতে আজ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল।
মতিঝিলের সিটি সেন্টার ও জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে প্রতিরোধের মুখে পড়েন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। জনতা ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালান। তবে একটি গাড়িতে হামলা চালানোর পরপরই আশপাশের অফিসগুলো থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বিশেষ করে গাড়িচালক, বিভিন্ন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী, দোকানদার, ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা এক হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেন। এরপর সিটি সেন্টারের দিক থেকেও ধাওয়া দেওয়া হয়। এই প্রতিরোধের কারণে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এ এলাকায় অন্য দিনের মতো ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করতে পারেননি।
ব্যাংক কর্মচারী শাহাদাত প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনি সেখানে অফিসের কর্মীদের জন্য খাবার নিতে এসেছিলেন। অন্যদের সঙ্গে মিলে তিনিও কয়েকজনকে ধাওয়া করেন। তিনি বলেন, এ সময় অনেকে স্লোগান দেন: ‘শিবির ধর, শিবির ধর’।
প্রত্যক্ষদর্শী বিমা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, হঠাত্ করে সিটি সেন্টার ও জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে এসে হাজির হন শিবিরের কর্মীরা। প্রথমে বিভিন্ন অফিসের লোকজন তাঁদের ধাওয়া দেন। এরপর পুলিশের সঙ্গেও শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় সাধারণ মানুষও শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে অবস্থান নেন। শাপলা চত্বরের কাছে শিবিরের কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা
বিস্তারিত প্রথমআলো

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



