শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবদের বরাত দিয়ে জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনা করে তাদেরই এক শিবিরকর্মী বড়ভাই। সেও একই ইউনির্ভাসিটির ছাত্র।
রাজিবকে হত্যা তাদের ঈমানী দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে আটককৃতরা জানিয়েছে এমনটাই উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অনিক, ফয়সাল বিন নাঈম দুইজন ধারালো ছুরি দিয়ে রাজীবকে হত্যা করে। বাকিরা চারিদিকে অবস্থান করে। মূল পরিকল্পনাকারীকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
এসময় আরও বলা হয়, আটককৃতরা রাজীবকে নিশ্চিত করার জন্য ফেসবুকের মাধ্যমে তাকে চিহ্ণিত করে। পরে শাহবাগে তাকে বের করে এবং হরতালের মধ্যে রাজীবের বাড়িতে গিয়ে ক্রিকেট খেলার সময় তাকে দেখে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম (পশ্চিম), ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান, এডিসি মশিউর রহমান, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে। এরা হলেন- ফয়সাল বিন নাইম (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রোমান (২৩), নাঈম সিকদার (১৯) ও নাফিস ইমতিয়াজ (২২)।
এর মধ্যে ফয়সালের বাসা ঢাকার মাতুয়াইলে, মাকসুদ থাকেন কেরাণীগঞ্জে, রোমানের বাড়ি ঝিনাইদহে, নাঈম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমতিয়াজের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি চাপাতি, ৪টি চাকু, ১টি বাইসাইকেল, ৭টি সেলফোন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সহকারী পুলিশ কমিশনার গাজী রবিউল হোসেনের বরাতে বাংলানিউজ এ খবর ফলাও করে প্রচার করে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহবাগে প্রজন্মের গণজাগরণের অন্যতম ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে (৩৫) নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মিরপুরের পলাশনগরের তার বাড়ির সামনে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাজীবের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ৫৬ নম্বর। পরেরদিন পল্লবী থানায় রাজীবের বাবা ডা: নাজিম উদ্দিন এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের নামে একটি মামলা করেন।
এদিকে এ হত্যার জন্য নিহতের স্বজন,ব্লগার ও সহকর্মীরা জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে এ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পল্লবী থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করে। একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আটক করা হয়।
link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



