বেশ একটা ছ্যাড়াবেড়া ব্যাপার আর কি।। সাদা মাছি। মনে কইরেন না আবার দুধের মাছি। এই সাদা মাছি নাকি শুধু মাত্র সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডের ১৩ খানা নারিকেল গাছকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মব জাস্টিস হয়তো। নুনুসের জামানায়। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণেই নাকি ঘটেছে। বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডে এই সাদা মাছি নেই?
আপনারা যেকোন স্থানে এই শীত কাল হতে বর্ষাকালের আগ পর্যন্ত যদি দেখেন তবে দেখবেন নারিকেল পাতার নীচের দিকে সাদা আর উপরের দিকে কাল। ডাব ধরছে না আর নারিকেল গাছ মৃত পায়। কেন এমন হয়? বৈষয়িক উষ্ণতা।
এই সাদা মাছির নাম রুগোস স্পাইরালিং হোয়াইট ফ্লাই। আমেরিকার ফ্লোরিডায় ২০০৪ সালে মার্কিন নামক একজন এই সাদা মাছি সর্বপ্রথম লিপিবদ্ধ করেন। বাংলাদেশে যশোরে ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই সাদা মাছি লিপিবদ্ধ হয়। যশোর কেন? বর্ডার এরিয়া। ভারতীয় বর্ডার। বর্ডারের সাথে সাদা মাছির কি সম্পর্ক? আমেরিকা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সাদা মাছি ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যে ভারতের কেরালা অন্যতম। কারণ নারিকেলের বাগান এখানে প্রচুর। ভারত থেকে এই মাছি বাংলাদেশে আসে।
এই সাদা মাছির এডাল্ট আর নিম্ফাল স্টেজ গাছের পাতার রস চুষে খায়। বিনিময়ে হানি ডিউ সিক্রেট করে। ওই মধু খেতে ব্লাক মোল্ড চলে আসে ফলে পাতার উপরিভাগ কাল দেখায়। বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতে মোল্ড আর মাছি কম বিস্তার করে। ভারতে ম্যাকানিকাল কন্ট্রোলের অন্যতম উপায় হোস পাইপ দিয়ে গাছের পাতা ধুয়ে দেওয়া।
অতি উচ্চতাপমাত্রায় এই মাছি দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। সারা বাংলাদেশে এই মাছি ছড়িয়ে পড়েছে। এই কারণে কতগুলি নারিকেল গাছ শহীদ হয়েছে বা হচ্ছে তা আমাদের উপদুষ্টুরা বলছেন না।
০৩/১১/২০২৪