somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"শৈবতীর্থ শাক্তপীঠ তথা ব্যতিক্রমী পর্যটন কেন্দ্রঃ বক্রেশ্বর" - ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায়, এম.এ, বি.এড, পিএইচ.ডি, ডি.লিট্‌

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বঙ্গের বারানসী বক্রেশ্বর। সুবিখ্যাত শৈবতীর্থ। দেবাদিদেবের অধিষ্ঠান, প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য, বয়ে যাওয়া কলুষনাশিনী ‘বক্রেশ্বর নদী’, ঢেঊ খেলানো মৃত্তিকার লহর, অসংখ্য দেবালয় এবং উষ্ণপ্রস্রবনগুলি এই শৈবক্ষেত্র এবং সতীপীঠের অন্যতর আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। বাউল আখড়া, শ্বশানভুমি, আটটি উষ্ণকুন্ড এবং ভুপ্রকৃতির অপরূপ লীলাবিলাসে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও এই বক্রেশ্বর অনন্য। আসলে ছোটনাগপুর মালভুমির কন্ঠলগ্ন এই ‘বক্রেশ্বর ধাম’ তীর্থক্ষেত্র হিসেবে যতখানি, প্রকৃতি-পিপাসুর কাছেও তার চেয়ে কম নয় এতটুকু।

প্রাচীন বক্রেশ্বর প্রথম সংস্কার করেন সম্ভবত রাজনগরের হিন্দু ‘বীররাজা’। তিনি ঢাক ঢোল্‌ পিটিয়ে পুজো করতেন বাবা বক্রনাথ ‘বটুক ভৈরবে’র। বীররাজার পর রাজনগরের তথা বীরভূমের রাজা হন পাঠানেরা। এই ‘পাঠান রাজারা’ও শিবরাত্রির পুজো এবং মেলায় আসতেন হাতিতে ঘোড়াতে চেপে। ‘বীররাজা’ এই বক্রেশ্বরের শিবসেবার জন্য হাজার বিঘের মতো নিষ্কর জমি দান করেছিলেন। বক্রেশ্বর তখন ছিল ‘তপ্পে হরিপুর’-এর সীমানায়। দেবোত্তর মৌজা ‘চক গঙ্গারাম ডিহি’ ও ‘চক শিবপুর’ সাবেক মৌজা। বীররাজার দেওয়া ‘সনন্দখানি বক্রেশ্বরের কৃষ্ণবিহারী আচার্যের কাছে ‘বীরভূম বিবরনে’র তথ্য-সংগ্রাহক ডঃ হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় দেখেছিলেন। আমার দুর্ভাগ্য, আমি তার কোনো হাল-হদিস করতে পারিনি। তবে বক্রনাথের নামে উৎসর্গীত নিষ্কর প্রায় হাজার বিঘে জমি পুরুষানুক্রমে গোপিনাথ, রামজীউ, লক্ষ্মীকান্ত, জয়চন্দ্র এবং রাজ্যধর-এর বংশধরেরাই ভোগদখল করে আসছেন। বীররাজার ‘সনন্দ’ লেখার কাল ১১৭২ বঙ্গাব্দ। পরে ১৭৬১ খ্রীষ্টাব্দে ‘বীরভূম-রাজ’ আসাদ জামান খান-এর মন্ত্রী দর্পনারায়ন মন্দিরের উত্তর-পূর্বের অংশটি নির্মান করে দেন। বাকী অংশও নির্মিত হয় রাজনগরের পাঠান রাজাদের উদ্যোগেই। তাঁরাও বহু দান করেছেন এই তীর্থক্ষেত্রে। কালক্রমে বক্রেশ্বর জঙ্গলে ঢেকে গেলে মঙ্গলকোটের ‘শ্বেতরাজা’ সেই জঙ্গল পরিষ্কার করিয়ে পুনরায় বক্রনাথের মাহাত্ম্য প্রচার করেন এবং তীর্থস্থান হিসেবে বক্রেশ্বরকে তুলে ধরেন। পরে বিড়লারাও এখানের মন্দির উন্নয়নে অংশ নিয়েছেন। বহুজনের অংশগ্রহনেই বক্রেশ্বর আজ শিবস্থান এবং সতীপীঠ হিসেবে পর্যটকদের মন কেড়েছে। কিন্তু এখানের পীঠাধিষ্ঠাত্রী মহিষমর্দিনীর যে রূপ মন্দিরে দেখা যায়, সেই পিতলের মূর্তি নাকি আসল নয়। আসল প্রস্তরময় অষ্টাদশভুজা দেবীমূর্তি তথা পীঠদেবী রয়েছেন আচার্য বাড়িতে। আচার্যদের দূর্গাপূজার সময় সেই মূর্তিরও পূজো হয়, তখনই দেখতে পাওয়া যায় সেই বিরল প্রস্তরমূর্তি। তখন আশপাশের কোনো গ্রামে দূর্গাপুজা নেই, ব্রাক্ষন নেই। ‘অষ্টাদশভূজা’র সঙ্গে মৃত্তিকামূর্তির ‘দশভুজা’ কেবলমাত্র বক্রেশ্বরের আচার্য বাড়িতেই পুজো পাচ্ছেন। ঝাপটতলা, গদাধরপুর, পলাশবন, বাহাদুরগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, গৌড়গঞ্জ প্রভৃতি গ্রামগুলি থেকে আচার্য বাড়িতে ঢল্‌ নামতো মানুষের। তারা দূর্গাপুজো দেখতে আসতো। বক্রেশ্বরের পীঠস্থানটি চিহ্নিত করে দিয়ে গেছেন খাঁকীবাবা। ক্ষেত্রনাথ এবং বক্রনাথের পাশেই তিনি মহিষমর্দিনীর পুজো হয় ৩৬০ দিনের হিসেবে, বাকী ৫দিন ‘উদমো’ বা বাড়তি। তার মধ্যে এখনও আচার্যদেরই সাত আনার বেশী ভাগ। বাকী সব দৌহিত্ররা। দাঁইহাটের বাবুরাও এই বক্রেশ্বরে কালী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে কালীরও ‘পান্ডা’ ছিলেন এই আচার্যরাই। দেবতা ও মন্দিরের জন্যই এখানে গ্রামের সৃষ্টি। সে কারনেই গ্রামের দক্ষিনদিকে দেবতা এবং মন্দির আর উত্তরে গ্রাম। বক্রেশ্বরের গ্রামদেবতা বক্রনাথই। তাঁর নামেই গ্রামের নাম বক্রেশ্বর। আবার সুদর্শনচক্র খন্ডিত সতীর দেহাংশের ভ্রুমধ্যস্থ অংশ (মনঃ) পড়েছিল এই বক্রেশ্বরে এবং সেটি প্রস্তরীভূত অবস্থায় এখনও আছে, তাকে ছোয়াও যায়। তিনিই মহিষমর্দিনী। সেই তাঁর ভিত্তিভূমিতেই নাকি নির্মিত হয়েছে অষ্টধাতুর (অধিকাংশই পিতল) দশভুজা দেবী দূর্গার মূর্তি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। এই দেবী নাকি আসল দেবী নয়, আসল দেবী আছেন ওই আচার্য বাড়িতেই।

এহঃ বাহ্য। বক্রেশ্বর আছে তার অতুল প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য নিয়ে বক্রেশ্বরেই। এখানের পাষাণ হরগৌরী, দাঁইহাটের কালী, নিত্যানন্দের চরণচিহ্ন, খাঁকী বাবা প্রতিষ্ঠিত (১৩৮৩ বঙ্গাব্দে) ভবতারিনী, অষ্টাবক্র মুনির আরাধ্য ‘বটুক-ভৈরব’ ‘বক্রেশ্বরনাথ’ সমস্তের সঙ্গে শান্ত ময়ালের নদীটিও দেখ্‌বার। এখানেরই ‘শ্বেতগঙ্গার’ কূলে ছিল প্রাচীন বটগাছ, সেখানেই নগ্ন-সন্ন্যাসী খাঁকীবাবা সাধনা করতেন। এসবের উপরেই রয়েছে বক্রেশ্বরের সবচেয়ে বেশী আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু আটটি ঊষ্ণকুন্ড বা উষ্ণ প্রস্রবন। অগ্নি, ক্ষার, ভৈরব, জীবিত, ব্রক্ষ্মা, শ্বেত, বৈতরনী এবং সৌভাগ্য। এইসব কুন্ডে স্নান করলে চর্মরোগের উপকার হয়। তাছাড়া প্রবাদ রয়েছে ‘অগ্নিকুন্ডে’ বৈশাখী পূর্ণিমাতে শ্রাদ্ধ করলে পূর্বপুরুষেরা সন্তুষ্ঠ থাকে। এই কুন্ডের ঊষ্ণতা ২০০০ডিগ্রী ফারেনহাইট। ‘ক্ষারকুন্ডে’ আষাঢ়ি গুরুপূর্নিমায় স্নান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। ‘ভৈরবকুন্ড’ মহাদেবের হৃদয় শান্ত করেছে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই কুন্ডের জলে স্নান করলে বক্রনাথের দর্শন মেলে। ‘জীবিত বা অমৃত কুন্ডে’র জলে চারুমতী তার মৃত স্বামীর প্রান ফিরে পেয়েছিল, সেই সুত্রে এই কুন্ড অতীব পবিত্র। ‘ব্রহ্মাকুন্ড’ স্নানে সব পাপ মুক্ত হওয়া যায়। ‘শ্বেতগঙ্গা বা সূর্যকুন্ডে’র জলে স্নান করলে গঙ্গা স্নানের সমান পুন্যলাভ অর্জিত হয়। ‘বৈতরনী কুন্ডে’ স্নান করলে স্বর্গে যাওয়ার পথ সহজ হয় এবং ‘সৌভাগ্যকুন্ড’ স্নানে মানবজীবনে সৌভাগ্যের সূচনা হয়। এমন বিশ্বাস নিয়েও বহু ভক্ত-দর্শনার্থী আসেন বক্রেশ্বরে।

‘গুপ্তকাশী’ বলে পুরানে উল্লেখ আছে বক্রেশ্বরের। ব্রহ্মান্ড পুরানে উল্লিখিত আছে সুব্রত মুনি ইন্দ্রের সভায় অপমানিত হয়ে ক্রোধে কাঁপতে থাকেন। আর তাতেই তাঁর শরীরের আটতি স্থান বেঁকে যায়। তখন থেকেই তিনি ‘অষ্টাবক্র মুনি’ নামে পরিচিতি পান। পরবর্তীকালে তিনিই বক্রেশ্বরে এসে সাধনা করেন এবং কুন্ডের জলে স্নান করেন। তাতেই তাঁর সিদ্ধিলাভ হয় এবং শরীরের বিকৃতিও
দূর হয়ে যায়। সেই থেকেই অষ্টাবক্রের আরাধ্য ঈশ্বর বক্রনাথ। সঙ্গে সতীপীঠের মহিষমর্দিনী। বক্রেশ্বর একইসঙ্গে সতীপীঠ এবং শৈবক্ষেত্রও। তবে এখনও এখানে শিবরাত্রিতেই সর্বাধিক জনসমাগম। পরবর্তীকালে এই বক্রেশ্বরে অঘোরীবাবা, খাঁকীবাবা, অজপানন্দ, চক্রবর্তীবাবা প্রমুখেরা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন।

বীরভূম জেলার সুখ্যাত এই তীর্থক্ষেত্র এবং প্রকৃতিক্ষেত্রের এখন পর্যটন মানচিত্রে অসম্ভব খ্যাতি। উন্নয়নও হয়ে চলেছে দ্রুত। সিঊড়ি বা দুবরাজপুর থেকে বক্রেশ্বর আসা সহজ। বক্রেশ্বরে হোটেল, লজ সবই আছে। তথাপি নেই পান্ডাদের উৎপাত। বক্রেশ্বরের ভূ-সম্পত্তির অর্ধাংশই আচার্য বংশের। তাঁরাই মূলত বক্রনাথের সেবাইত। বিবাহ বা দৌহিত্রসূত্রে অন্যেরা এসেছেন। তবে এখানে দুর্গার কোনো সম্পত্তি নেই, আচার্যদের সব সম্পত্তিই ‘শিবোত্তর সম্পত্তি’। সম্ভবত বীররাজার দানেরই এসব। তথাপি বিশ্বাস প্রাচীন সতীপীঠটি ছিল ‘ডিহি বক্রেশ্বর’ বা ‘গ্রাম বক্রেশ্বরই’। হয়ত মন্দিরটি ছিল। কোনো কালাপাহাড়ের ভয়ে দেবীকে রক্ষা করার জন্য তাঁকে পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই অষ্টাদশভুজা পাথরের মূর্তিটিই পাওয়া গিয়েছে বক্রেশ্বরের ‘ধরমগড়’ থেকে। পরে সেই দেবীকেই তুলে এনে মাটির মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আচার্যদেরই কোনো পূর্বপুরুষের মাধ্যমে। সে বিতর্কের অবসান এখনও বহুদুরের বিষয়। এখানের একটি সুদৃশ্য কালীমন্দিরে কালীর সঙ্গে ‘রাধা-মাধব’ও থাকেন। এখানের ‘দাঁইহাট কালীমন্দির’টি প্রতিষ্ঠা করেন ৺হরিনারায়ন মুখোপাধ্যায়। জেনে রাখা প্রয়োজন দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর, যিনি দক্ষিনেশ্বরের কালীমূর্তি নির্মান করেছেন, এই কালীমূর্তিও তাঁরই নির্মিত। বীরভূম পঞ্চসতীপীঠের দেশ। এখানের কংকালীতলা, ফুল্লরা, নন্দিকেশ্বরী, নলাটেশ্বরী এবং বক্রেশ্বর সেই পীঠভূমি। তথাপি বক্রেশ্বরে সতীপীঠের প্রচার কম। মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় বক্রেশ্বর তীর্থক্ষেত্রের দিকে যথেষ্ট নজর দিয়েছিলেন। এ আমলেও সে উন্নতি অব্যাহত।

বক্রেশ্বরের মূল মন্দিরটি উড়িষ্যার রেখদেউল স্থাপত্য রীতিতে তৈরী। মন্দির মধ্যে শিব বক্রনাথের সঙ্গে সেবক অষ্টাবক্র মুনি রয়েছেন। এই অষ্টাবক্রেরই পূর্বনাম নাকি ‘সুব্রত’। এখানে ভক্ত ভগবানের চেয়ে উঁচুতে অবস্থান করেন। তাই বক্রনাথ রয়েছেন নীচে। প্রাচীন এই জঙ্গলভূমে একদা বক্রনাথ আবিস্কৃত হলে তাঁর পুজোর প্রয়োজনেই এসেছেন পান্ডারা আচার্যরা। শ্বশানের প্রয়োজনে বক্রেশ্বর নদীর তীরে এসে বাসা বেঁধেছেন শ্বশানবন্ধুরা। দেবতা ও মন্দিরের জন্যই এখানে গ্রামের সৃষ্টি। নগররাজের মুন্সি রেয়াজউদ্দিন মহম্মদ ১১৭২ বঙ্গাব্দের ৯ই ফাল্গুন রাজনগর রাজপ্রদত্ত সনন্দটি লিখেছিলেন বক্রেশ্বর দেবোত্তর মৌজা হিসেবে পান্ডাদের আনুকূল্যে ‘জীউর সেবা এবং পূজা’ উপলক্ষ্যে। তাই এখানের সমস্ত ভূ-সম্পত্তিই বীরভূম-রাজ রাজনগরের রাজাদের দান। ‘বীররাজা’র যেমন আনুকূল্য পেয়েছে বক্রেশ্বর, তেমনই পাঠান রাজাদের বিশেষ নজর এবং দান ছিল এই হিন্দু তীর্থক্ষেত্রটির দিকে। তাঁরাও সৈন্য-সামন্ত-অমাত্যদের নিয়ে হাতি-ঘোড়ায় এসেছেন শিবরাত্রির মেলা উপলক্ষ্যে বক্রেশ্বরে। সেই পরম্পরাতেই শিবরাত্রি, শিবগাজন, চৈত্র-সংক্রান্তিতে এখানে বিশেষ উৎসব ও মেলা বসে। গাজন ভক্তেরা বোলান গায়। বোলান গান একসময় এই এলাকার বিশেষ সম্পদ ছিল। দিন দিন সেসব হারিয়ে যাচ্ছে লোক-সংস্কৃতির আঙিনা থেকে। তবু তার ক্লান্ত অবশেষ এখনও এখানে রয়ে গেছে, যা কিনা দ্রুতই চলে যাচ্ছে অবলুপ্তির পথে। চড়কের ধুমও যথেষ্ট বক্রেশ্বর এবং সংলগ্ন এলাকায়। বাণ ফোঁড়া, কাঁটার উপর দিয়ে হাঁটা, আগুনখেলা এসব এখনও আছে। স্থানীয় মেটেলা গ্রামে এই কৃচ্ছ্রসাধন সর্বাধিক।

তীর্থক্ষেত্র শিবস্থান এবং সতীপীঠ বক্রেশ্বরের ‘ল্যান্ডস্কেপ’ অতীব সুন্দর। ঝাড়খন্ড সীমান্তের এই পর্যটন ক্ষেত্রটির গুরুত্ব রয়েছে অনেকদিন থেকেই। একদা ছোটনাগপুর মালভূমির এই ঢা্‌ল এলাকায় ঘটে গিয়েছিল সাঁওতাল-বিদ্রোহ। সিঊড়ি থেকে বক্রেশ্বর আসার পথে ‘চন্দ্রপুর’ সেই ঐতিহাসিক স্থান। ডানদিকের পথে গেলেই বীরভূমের প্রাচীন রাজধানী রাজনগর। ভবানীপুর, সিসালফার্ম, কবিলাসপুরের পাথরের মন্দির, লোকপুরের সেরপাই শিল্প কত কী। সঙ্গে দুবরাজপুরের অপূর্ব দর্শন মামা-ভাগ্নে পাহাড়, হেতমপুরের রাজবাড়িও আকর্ষণের অন্যতম বৃত্তবিন্দু হতে পারে। ট্রেনে অবশ্য সিঊড়ি অথবা দুবরাজপুরেই নামতে হবে। তারপর বাস বা গাড়িতে বক্রেশ্বর। পথে পাথরচাপুড়িতে দাতাবাবার মাজার, কড়িধ্যার ভূঁইফোরনাথ সবই দেখা সম্ভব। বক্রেশ্বরে হিলিয়াস গ্যাস সংগ্রহও অনেকের হিসেবের মধ্যে থাকে। শিবরাত্রির মেলা আটদিনের। সিঊড়ি থেকে ১৪কিমি আর দুবরাজপুর থেকে ৮কিমি পথ। বক্রেশ্বর যাওয়া আসার জন্য এটুকুই সম্বল। তবে পথের শোভা অতুলনীয়। বক্রেশ্বর নদীর সেতুর উপর দাঁড়িয়ে পশ্চিমের পাহাড়ের ডাক আর গাছ-গাছালির আমন্ত্রন আজও শোনা যায়। বক্রেশ্বর তাই আজও রয়েছে বক্রেশ্বরেই।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×